বঙ্গবন্ধু ইন্ডাষ্ট্রিয়াল সার্ভিস চালু করেছিলেন – নাটোরে শিল্প মন্ত্রী

লেখক: Amadersomaj
প্রকাশ: ২ years ago


 

ইমাম হাছাইন পিন্টু, নাটোর॥ শিল্প মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের মেহনতি কৃষক-শ্রমিকের স্বার্থ সংরক্ষণে শিল্প কারখানা জাতীয়করণ করেন। তিনি ইন্ডাষ্ট্রিয়াল সার্ভিস চালু করেছিলেন। এর সুফল প্রাপ্তির আগেই তাকে ঘাতকরা নির্মমভাবে হত্যা করে। তবে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও সৎ নেতৃত্বে দেশ উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। করোনা সংকটসহ সকল অবস্থায় অর্থনীতিকে কিভাবে সচল রাখতে হয়, তা তিনি জানেন। জনগনের প্রতি মমত্ববোধ থেকে দেশের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনার যাদুকরী নেতৃত্বে দেশে উন্নয়নের চাকা ঘুরছে। সারা বিশ্বে উন্নয়নের বিস্ময় হিসেবে আমাদের দেশের নাম সম্মানের সাথে উচ্চারিত হয়।

শিল্প মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি এক সময় এদেশের শিল্প কারখানা পানির দরে বিক্রি করে দিয়েছিল। তাদের মধ্যে দেশপ্রেম নেই, মানুষের প্রতি মমত্ববোধ নেই। বর্তমান সরকারের এই উন্নয়ন তারা সহ্য করতে পারছেনা। তাদের সাথে বিদেশীরাও সোচ্চার হয়েছে। কিন্তু ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের ষড়যন্ত্র রুখে দেবে। দেশের শিল্পায়নে বর্তমান সরকারের ব্যাপক পরিকল্পনা রয়েছে। নর্থ বেঙ্গল চিনিকলসহ দেশের অন্যান্য চিনিকলকে লাভজনক পর্যায়ে নিয়ে যেতে উৎপাদন বহুমুখীকরণসহ কার্যকর সকল পদক্ষেপ গ্রহন করা হচ্ছে।

শুক্রবার বিকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান অপু। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এমপি, স্থানীয় সংসদ সদস্য মোঃ শহিদুল ইসলাম বকুল এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা।

অনুষ্ঠানে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, চিনি শিল্পকে লাভজনক করতে চিনিকলে কর্মরত অতিরিক্ত কর্মকর্তার সংখ্যা কমানো হবে, শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। সরকার কৃষি যান্ত্রিকিকরণের পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। এর মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং দূর্নীতি বন্ধ করতে পারলে চিনি শিল্প লাভজনক পর্যায়ে যাবে।

অনুষ্ঠানে আখের মূল্য ১৪০ থেকে বৃদ্ধি করে ১৮০ টাকা মণ নির্ধারণ করা, যথাসময়ে আখের মূল্য পরিশোধ, আখ চাষে গুণগতমানের সার সরবরাহ করায় ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন আখচাষী ইব্রাহিম খলিল, আনসার আলী দুলাল, সুকুমার রায় এবং শ্রমিক নেতা খন্দকার শহিদুল ইসলাম। চিনিকলের উৎপাদন কার্যক্রমকে বহুমুখীকরণের মাধ্যমে লাভজনক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার দাবী জানান কৃষক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।

শিল্প মন্ত্রী সকল অতিথি সহযোগে চিনিকলের ডোঙ্গায় আখ নিক্ষেপ করে মাড়াই কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।চলতি মৌসুমে নর্থ বেঙ্গল চিনিকল কর্তৃপক্ষ দুই লাখ ১৯ হাজার টন আখ মাড়াই করে ১৫ হাজার টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। চিনি আহরণের হার সাত শতাংশ।পরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সচিব এবং কর্পোরেশন চেয়ারম্যান নাটোর চিনিকল পরিদর্শন করেন।

IT Amadersomaj