এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও : কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে স্কুলে স্কুলে চলতি মৌসুমে ভর্তি উৎসব শুরু হয়েছে। এই নিয়ে শিক্ষার্থীরা খুশিতে উৎফুল্ল হয়ে পড়েন।
জানা যায়, নবসৃষ্ট ঈদগাঁও উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন ইসলামপুর,ইসলামাবাদ, পোকখালী, জালালাবাদ,ঈদগাঁওতে প্রতিষ্ঠিত নানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলছে উৎসাহ উদ্দীপনা মুখর পরিবেশে প্রাইমারী পাশ করা শিক্ষার্থীদের ভর্তি। অধিক আগ্রহভরে গ্রামাঞ্চলের অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের সু-শিক্ষা লাভের আশায় পছন্দনীয় স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার হিড়িক পড়েছে। পাশাপাশি এই উৎসবে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছেন শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরাও।
এমনকি বৃহৎ ঈদগাঁওয়ের প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সদ্য ৫ম শ্রেণী পাশ করা ছাত্রছাত্রীরা নতুন ড্রেস পরে প্রাথমিক স্তর পেরিয়ে মাধ্যমিক স্তরে পা বাড়াতে গিয়ে অনেকের চোখেমুখে হাসির ঝিলিক ফুটে উঠেছে।
প্রাথমিক পেরিয়ে মাধ্যমিক স্তরে পা দেওয়া কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা হলে তারা জানান, প্রাইমারী থেকে ভালো রেজাল্ট করে এবার তারা বিভিন্ন মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি হতে যাচ্ছেন। মাধ্যমিক পর্যায়ের জীবনের প্রথম দিন হিসেবে তাদের খুবই ভাল লাগছে বলেও জানান।
ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, ঈদগাহ আদর্শ শিক্ষা নিকেতন, ঈদগাহ জাহানারা ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, পোকখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়,গোমাতলী উচ্চ বিদ্যালয় ও
নাপিতখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্কুল-মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানে এই চলতি মৌসুমে ভর্তি উৎসব চলছে আনন্দমুখর পরিবেশে।
সূত্রে জানা যায়, ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফরম বিতরণ করা হয় ৩০ নভেম্বর। ভর্তি শুরু হয় ২রা ডিসেম্বর। তবে আসন সংখ্যা সীমিত বলে জানান অফিস সহকারী শামসুল আলম অন্যদিকে ঈদগাহ আদর্শ শিক্ষা নিকেতনেও ভোট কার্যক্রম শুরু হয়। তবে শিক্ষার্থী ভর্তির সময় জন্ম নিবন্ধন,ছবি, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি প্রত্যয়ন প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন শিক্ষক নুরুল ইসলাম। একইভাবে ভর্তি শুরু হয় ঈদগাহ জাহানারা ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে।
অভিভাবক হোসন ও রমিজ জানান, তাদের সন্তানদের প্রাইমারী স্তর পেরিয়ে মাধ্যমিকে ভর্তি করানে যাচ্ছে ব্যাপক উচ্ছ্বাস নিয়ে। সব মিলিয়ে বৃহত্তর এলাকার নানা প্রাইমারী স্কুল থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীরা তাদের কাঙ্খিত মাধ্যমিক শিক্ষাঙ্গনে ভর্তি হতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছে।
সচেতন মহলের মতে, বিশাল এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীদেরকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসাবে গড়ে তোলার দায়িত্ব বিদ্যালয়ের। সেদিক বিবেচনা করে সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে পাঠদানের মাধ্যমে মেধার বিকাশ ঘটিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে ভাল মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার আহবান তাদের।