ঈদগাঁওর নাসীখাল হতে পারে সম্ভাবনাময়ী বিনোদন স্পট 

লেখক: Amadersomaj
প্রকাশ: ১ বছর আগে


এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও ( কক্সবাজার)॥ দূষণে মৃতপ্রায় ঈদগাঁওর ঐতিহ্যবাহী নাসিখাল। ময়লা-আবর্জনায় পরিণত হওয়ায় যৌবন হারাল এই খালটি। পরিবেশ-প্রকৃতি চরম হুমকির মুখে পড়ছে। পরিত্যাক্ত খালটিতে উদ্যোগ নিলে বিনোদন স্পটে পরিণত করা সম্ভব। এটি কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহা সড়কের ঈদগাঁও কলেজ গেইটস্থ খালটি।

নাসি খাল খনন, উভয় পাশের পাড় নির্মাণ, পর্যটক যাতায়াতের রাস্তা সংস্কার, ভ্যালি ব্রীজ নির্মাণ, চারাগাছ রোপণ, ফুল বাগান, ঝর্ণাসহ পরিপূর্ণ লেক গড়ে তুলার যাবতীয় উপকরণ স্থাপন করা হলে অনন্য ও জনপ্রিয় বিনোদন লেকে পরিণত হয়ে উঠত। কক্সবাজারের নবঘোষিত ঈদগাঁও উপজেলায় এটি হতো প্রথম পর্যটক লেক।

লেকটি মহাসড়ক সংলগ্ন হওয়ায় স্থানীয়দের পাশাপাশি কক্সবাজারমুখী দেশী-বিদেশী হরেক রকম মানুষের নজর কাড়বে। যার ফলে, খাল রক্ষার পাশাপাশি রাজস্ব আয়ের উৎস হবে লেকটি। এটি বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন স্থানীয়রা।

সচেতন মহল জানান, ঈদগাঁওর নাসিখালটি ঐতিহ্যবাহী পুরনো একটি খাল। দখল-দূষণ আর বর্তমানে অযন্তে অবহেলায় পড়ে রয়েছে এটি।মহাসড়কের পাশ্ববর্তী দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে বয়ে যাওয়া এই খালটি দখলের থাবা থেকে উদ্ধার করে লেকের আদলে গড়ে তোললে মনোমুগ্ধকর দৃশ্যে পরিণত হতো। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে পদক্ষেপ নিলে সুন্দর ও অনন্য পর্যটন লেক হওয়ার সম্ভবনা কিন্তু কম নয়।

ঈদগাঁও ঐক্য পরিবার এডমিন রেহেনা নোমান কাজল, মহিউদ্দিন মাহী, কার্যকরী সদস্য রোকেয়া জান্নাত জানান, লেকে পুরো বছর পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করলে লেক কেন্দ্রিক অপার পর্যটনের সম্ভাবনা দেখা যাবে। এতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, প্রাকৃতিক সৌন্দয্যে উপভোগসহ নানা অনুষঙ্গ সৃষ্টি হবে। সরকারও প্রচুর রাজস্ব আয় করতে পারবে।

স্থানীয় কজন জানান, সেই দীর্ঘদিনের নাসি খালটি লেক হিসেবে গড়ে তুলার উপযুক্ত স্থান। পরিত্যক্ত খালটিকে ঐতিহ্যবাহী বিনোদন স্পটে গড়ে তোলার দাবী।

এ পুরনো খালকে ঘিরে পর্যটন লেক গড়ে তুলার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন এলাকাবাসী।

IT Amadersomaj