এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকার বিনিময়ে ছয় লাখের অধিক পরিশোধ করেও অশান্তিতে শান্তি মিয়া

লেখক: Amadersomaj
প্রকাশ: ১ বছর আগে


নিজস্ব প্রতিবেদক বাবলু মিয়া॥ ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার কুশনা ইউনিয়নের আলোকদিয়া (ডুমুর তলা) গ্রামের মোঃ মকবুল হোসেনের ছেলে সুদে-ব্যবসায়ী আল-আমিন (৩৫) এর খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত শান্তি মিয়া।

উপজেলার সাফদারপুর ইউনিয়নের বহিরগাছী গ্রামের মোঃ নুর ইসলামের ছেলে শান্তি মিয়া (৩৬) বলেন, সুদে ব্যবসায়ী আল-আমিনের সাথে আমার সু-সম্পর্ক থাকায়, আমি বিশেষ প্রয়োজনে ও নিরুপায় হয়ে আল-আমিনের কাজ থেকে দৈনিক সুদ প্রদানের চুক্তিতে ৫০,০০০/- টাকা গ্রহণ করি। ফলে আল-আমিনের দেওয়া উক্ত সুদের টাকার শর্ত স্বরুপ আল-আমিন আমার কাছ থেকে আল-আরাফহ্ ইসলামি ব্যাংক লিমিটেড,কোটচাঁদপুর শাখা,ও আমার স্বাক্ষরিত ৪ টি চেক নেয়। যাহার হিসাব নং- A/C no.9901080197301 ও একটি ১০০ টাকার আমার স্বাক্ষরিত ফাঁকা স্ট্যাম্প রেখে দেয়।

শান্তি মিয়া আরও বলেন, এরপর সুদ ও আসল টাকা উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে টাকা আল-আমিন কে টাকা পরিশোধ করে দিই। কিন্তু আল-আমিন আমার চেক ও স্ট্যাম্প ফেরত চাইলে ফেরত না দিয়ে আমাকে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিতে থাকে। ফলে ১৪/০৭/২০২৩ তারিখে আমি সাক্ষীদের মাধ্যমে খবর পাঠালে আল-আমিন আসে।উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে চেক ও স্ট্যাম্প ফেরত চাইলে, উক্ত চেক ও স্ট্যাম্প এর কথা স্বীকার করে ও বলে ফেরত দিব না। আর বলে তোর চেকে মোটা অংকের টাকা লিখে কোর্টে তোর বিরুদ্ধে মামলা করব। আরও বলে তোর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করবো। তুই যা পারিস করবি। এরপর থেকে ভীতিকর অবস্থায় বসবাস করছি। আমি কোনো কুলকিনারা না পেয়ে আল-আমিনের হাত থেকে বাঁচার জন্য ঝিনাইদহ বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করি।

এ ঘটনার সরেজমিনে খোঁজ খবর নিয়ে জানাযায়,ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স বীমার চাকরীরত আল-আমিন সরলতার সুযোগ বুঝে শান্তি মিয়া’কে ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স এ-র সদস্য করার অফার দেয় শান্তি’কে। শান্তি বলে আমার কাছে টাকা নাই তখন শান্তির সরলার সুযোগ নিয়ে আল-আমিন নিজের ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স এর একটি বই করে দেয়। কিছুদিন যাওয়ার পর শান্তি’কে আবার বলে,আপনার দোকানের ব্যবসার জন্য ১ লাখ নেন যা মোট ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা’য় সুদ দিতে হবে দিন ৩৫ শত টাকা। প্রতিদিন ৩৫ শত টাকা নিয়ে যায়, যার সাক্ষী মোঃ রুহুল আমীন পিতা আসাদুল ইসলাম বহিরগাছী বলেন, সহজ সরল শান্তির কাছ থেকে স্টাম্প ও ৪ টি চেকের পাতা নিয়ে নেন সুদ-খোর আল-আমীন। শান্তি মিয়া ৬ মাস প্রতিদিন ৩৫ শত করে সুদে টাকা দেয় মোট ৬ লাখ ৩০ হাজার এতো টাকা দেওয়ার পরও টাকা পরিশোধ হয় নাই সর্ব শান্ত হয়ে পড়ে শান্তি। পরে টাকা দিতে না পারায় শান্তি’র বাড়িতে যেয়ে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়ে পুনরায় শান্তির মা’য়ের কাছ থেকে আবারও একটা চেক নেই আল-আমীন।

এ বিষয়ে ন্যাশনাল লাইফ ইনসুরেন্সের জোন প্রধান মোঃ বাবলু’র রহমানের কাছে বাংলাদেশ সকাল এর প্রতিবেদক জানতে চাইলে তিনি বলেন, আল-আমীন এলাকার বিভিন্ন সহজ সরল মানুষের সর্বশান্ত করছে শুনেছি এবং আমাদের উপর মহল বিষয়টি জানে বলে ফোনটি রেখে দেন।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে আল-আমীন এর নিকট বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি টাকা লেনদেন করেছি স্টাম্প ও চেকের মাধ্যমে।শান্তি মিয়া আমার টাকা দিতে চাই ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা।আমার কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা নিয়েছে, পরে শান্তি আমার ৭ লাখ টাকা অস্বীকার করাই।আমি চেক ও স্টাম্প দিয়ে আদালতে মামলা করি ১৭ লাখ টাকার মামলা চলমান(পর্ব ১)

IT Amadersomaj