কারো চেহেরার প্রেমে না পরে কখনো কখনো কারো মনের প্রেমে পড়া উচিত । যে মানুষের চেহারা যত উজ্বল থাকে তাদের হিডেন সাইড ততটা ডার্ক থাকে ।আমরা মানুষরা জন্মগত ভাবে নিজের সৌন্দর্যের পূজারী ।আর যে মানুষটা যতবেশি নিজের প্রেমে মুগ্ধ সে মানুষটা ততবেশি নার্সিসিষ্ট ব্যাক্তিত্ব সম্পূর্ন ।চলেন আগে জেনে নেই আপনি যাকে ভালোবাসেন সে মানুষটা নার্সিসিষ্ট ব্যাক্তি কিনা ? নার্সিসিষ্ট হচ্ছে সেইরকম নিজেকে বড় মনে করার এক উদ্ভট অসুস্থ চিন্তা! শুধু নিজেকে বড় বা খুব জ্ঞানী মনে করা তাদের স্বভাব , এই ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তি নিজেকে খুব বিশেষ কিছু মনে করে ।আত্মপ্রেমে এত বেশি বিভোর থাকে যা বাস্তব অবস্হা থেকে একেবারে ভিন্ন ।এই ধরনের প্রেমিক অথবা প্রেমিকাদের সাথে কখন একজন সাধারন মানুষ সম্পর্কে জড়িয়ে সুখী হতে পারে না ।তাদের আচরনে প্রধান বিষয়গুলো হলো :-
*স্বার্থপর হতে পছন্দ করেন।
*ধ্রুব প্রশংসা এবং প্রশংসা পছন্দ করেন ।
*কোনও অপরাধ বা লজ্জা ছাড়াই অন্যেকে শোষণ করেন।
*অন্যকে খারাপ, ভয় দেখানো, বুলি বা বেল্টল করেন ।
*প্রায়োরিটি লিষ্টে সব সময় নিজেকে দেখতে প্রথমে ভালোবাসেন ।
তাই এদের সাথে ডিল করা কখনই সহজ না ।
কখনো যদি আপনার এদের সাথে ডিল করতে হয় আসুন জেনে নেই কিভাবে তাদের সাথে আচরন করা উচিত ।
১/আমরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তাদের ব্যখ্যা করে বোঝাতে চাই আমাদের যুক্তি-ভাবনা, এতে অপমানের বোধ তৈরী করে তাদের ।তারা বুঝে তো নাই, উল্টো আক্রমনাত্মক ভাব সৃষ্টি করে ।
২/তারা কারো অনুরোধ উপরোধেও কাজ করে না, তারা নিজেদের পারফেক্ট মনে করে ।তাই অন্যকে ছোট মনে করা স্বভাব তাদের ।কেননা কারো দু্র্বলতম জায়গায় আঘাত করা নার্সিসিস্টিক ডিসঅর্ডারের বড় লক্ষণ।
৩/তারা নিজের সমালোচনা কখনও নিতে পারেনা । তাদের কেউ সমালোচনা করলে সে তার প্রিয় মানুষ হলেও তাকে শত্রু ভাবা শুরু করে ।
৪/একজন নার্সিসিষ্ট প্রেমিক অথবা প্রেমিকার কাছে তার পার্টনার কখনও পারফেক্ট হয়না ।তাই তাদের জন্য হাজার সেক্রিফাইজ করলেও সে অনুতাপ আসবে না ।
তাহলে ,আমরা যারা এই ধরনের সম্পর্কে না চাইতেও জড়িয়ে যাই তাদের এ টাইপ এ্যাবিউস সম্পর্ক থেকে পরিত্রানের উপায় কি ?
কয়েকটা সহজ হিসাব মিলিয়ে দেখতে পারেন হয়তবা , কাজে আসতেও পারে ।
অ্যবিউজকে অ্যালাও করলে নিজের আত্মসম্মান বোধ নষ্ট হয়। কাজেই ওই বর্মটি তৈরি করতে হবে যাতে অ্যাবিউজার সহজে আক্রমণের সুযোগ না পান,হাসি ও ঠাট্টার ছলে আপনাকে যখন তখন অপমান করার ।দরকার হলে বাউন্ডারী তৈরী করুন নিজেকে কখনই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে ছোট করবেন না । যৌনতায় না করা, ব্যক্তিগত বিষয়ে গোপনীয়তা রক্ষা সকলের মৌলিক অধিকার। এ বিষয়ে অ্যাবিউজারের লাগামছাড়া হস্তক্ষেপ মেনে নেবেন না।কখনও কখনও সে দুরন্ত হয়ে যাবে আপনার উপর অধিকার জমানোর জন্য আপনার আচরনে কখনও নেতি বাচক কিছু তার কাছে ধরা পরলেই সে মরিয়া হয়ে উঠবে আপনাকে হাসিল করার জন্য । কিন্তু পেয়ে গেলে আবার সেই একই রকম আচরন দিয়ে আপনাকে কষ্ট দিবে ।তখন আপনি তাকে ষ্টপ করুন ।করেছি , ভেবে দেখেছি এই ধরনের বাক্য বলুন । এই ধরনের বক্তব্য এক ধরনের দূরত্ব তৈরি করে। এই বাক্যগুলি আক্রমণের মুখে প্রতিরোধ হিসেবে ভালো। কতগুলি ক্ষেত্রে সম্পর্কের শক্তি নিহিত থাকে। চেষ্টা করুন সেই দিকগুলিকে উর্বর করতে, তাহলে সম্পর্কটি বাঁচবে, অন্য মানুষটিও নিজের ভুলটি বুঝতে পারবেন।প্রয়োজন মনে করলে কাউন্সেলারের সাহায্য নিন।
~মাসুমা ইসলাম নদী
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ শেখ কামালউদ্দিন স্মরণ
নির্বাহী সম্পাদক : মোহাম্মদ শেখ শাহিনুর রহমান
সোহরাওয়ার্দী এভিনিউ বারিধারা ঢাকা 1212
অফিসঃ 09638152617 │বিজ্ঞাপনঃ 01701884405│বিজ্ঞাপনঃ 01701884405
ইমেইল : info@amadersomaj.com│ওয়েবসাইট : amadersomaj.com
স্বত্ব ©২০২৪ আমাদের সমাজ