নিজস্ব প্রতিবেদক বাবলু মিয়া॥ ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার সাফদারপুর ইউনিয়নের কন্যানগর গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে মোঃ ইসমাইল হোসেন (৪৫) এর লোমহর্ষক পরিকল্পনায় মধ্যযোগীয় বর্বরোচিত কর্মকাণ্ডের ও হার মানিয়েছে।
অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে লোমহর্ষক কর্মকাণ্ডের সব তথ্য,আদম দালাল মোঃ ইসমাইল হোসেন বিদেশে প্রতারণা করে লোক পাঠায়।
অনেক বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে সরকারি খরচের চেয়ে অনেক মূল্যে সহজ সরল মানুষের সরল বিশ্বাসের সুযোগে অধিক পরিমাণের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে বিদেশে পাঠানো তার কাজ।
এভাবেই সর্ব শান্ত করে চলেছে এই আদম দালাল,শরীয়তপুর জেলার তিন জন কে ১৫ লক্ষ টাকা নিয়ে মালায়েশিয়া যে কাজের কথা বলে পাঠানো হয়েছে অধিক মূল্য নিয়ে সরজমিনে তারা যেয়ে তাদের সেই কাজ আর সেই বেতন পায়না। এভাবেই প্রতারনা করে চলেছেন এই আদম দালাল ইসমাইল হোসেন।
এবার ভোল পাল্টে শুরু করেন অন্যরকম প্রতারনার ফাঁদ। বেরিয়ে আসে তার অপকর্মের লোমহষর্ক বর্ণনা,কোটচাঁদপুর উপজেলার তালসার গ্রামের মোঃ আবুল কাসেম (৪৫) মিস্তিরির ছেলে হাফেজ মোঃ জাফরের সাথে নগদ ১০ হাজার টাকা দেনমোহর এ গত তিন বছর পূর্বে বিবাহ হয় ইসমাইলের বড় কন্যা মোছাঃ শিউলি আক্তারের সাথে। বিবাহিত জীবন তাদের সুন্দর ভাবেই চলতে থাকে।
(গত ১৯ই-জুন) তালসার জামাই বাড়িতে ঈদ উপলক্ষে মেয়ে নিতে আসেন ইসমাইল হোসেন সহ তিন জন। দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষ করে,জামাই হাফেজ আবু জাফর ও তার বোনায় সহ কন্যা শিউলি আক্তারের সাথে নিয়ে যায় কন্যানগর ইসমাইল হোসেন এর বাড়িতে। রাতে খাবার খাওয়া শেষ করে ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন হাফেজ আবু জাফর ও তার বোনায় আলমগীর।
রাতে তাদের ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে বাহির থেকে লক করে দেয় দরজা বুঝতে পারেনি তাদের কে নিয়ে সারারাত চক্রান্তের নীল নকশা তৈরি করছে ইসমাইল হোসেন ও তার সাজানো গোছানো বাহিনী। ফজরের নামাজের সময় নামাজ পড়তে দরজা খুলতে গেলে বাহির থেকে লক করা।
বাহির থেকে দরজা লক করা দেখে আবু জাফর তার ঢাকায় থাকা ফুফু কে ফোন দেয় যে কাজী এনে জোরপূর্বক ১০ লক্ষ টাকার দেনমোহরে সই করতে বলছে,আমাদের বাঁচা। সই করতে আবু জাফর অরাজি হলে,মোবাইল কেড়ে শুরু হয় শারীরিক নির্যাতন বেধড়ক মারপিট ভোর বেলা ইসমাইল ও তার বাহিনী নিয়ে চলে জান,দোড়া ইউনিয়নের কাজি মোঃ সাইদুর রহমান এর বাড়িতে জোরপূর্বক ১০ লাখ টাকার দেনমোহরে সই করতে বলে,কাজি সাইদুর রহমান।
আবু জাফর কাজি সাইদুর রহমান’কে বলেন,আমার একবার ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়েছে আবার কিসের বিয়ে আমার বাড়ি থেকে গার্জিয়ান আসলে আমি সই করবো তার আগে না। ১০ লাখ টাকার দেনমোহরে সই না করাতে কাজি সাইদুর রহমান আবু জাফর কে বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং ইসমাঈল’কে বলেন,এদেরকে বাসায় নিয়ে ঘরের ভিতর আটকে রেখে বেধড়ক মারপিট করেন সই অবশ্যই দিবে।
পরে সাইদুর রহমান কাজির বাড়ি ফেরার পথে সাফদারপুর ফাঁড়ির অপজিট রাস্তায় দাড়ান করে জঙ্গলের ভিতরে মারার পরিকল্পনা করে। পাশে কৃষকরা কাজ করা অবস্থায় ছুটে আসলে মারতে না পেরে আবু জাফর ও আলমগীর’কে নিয়ে চলে যায়। তারপর জাফরের ফুফু বিউটি খাতুন ঢাকা থেকে জাফরের আব্বাকে বলে ছেলে ও তোমার জামাই কে উদ্ধার করো পুলিশের মাধ্যমে এতক্ষণে দুই জন কে মনে হয় মেরে ফেলার চক্রান্ত করছে, শিউলির আব্বা ইসমাইল।
পরক্ষণেই কোটচাঁদপুর মডেল থানায় ছেলে ও জামাই কে উদ্ধার করতে অভিযোগ দায়ের করেন। কোটচাঁদপুর মডেল থানা সাফদারপুর পুলিশ ক্যাম্প’কে ভিকটিমদের উদ্ধার করতে বললে,পুলিশ কন্যানগর গ্রামে ভিকটিমদের উদ্ধার করতে যায়। যেয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারে তাদের কে ভারত সীমান্তে এলাকায় মোঃ হাসেম( ৫০) বাসায় আটকে রাখা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে মোঃ আলমগীর হোসেন এর মা মহেশপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করলে।মহেশপুর থানা পুলিশ তাদের দুই জন কে উদ্ধার করেন।
পরবর্তীতে তাদের কে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন আছেন হাফেজ আবু জাফর ও প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিয়ে বাড়িতে গেছেন আলমগীর হোসেন। এবিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা বিজ্ঞ আদালত মামলা দায়ের করেন আবু জাফরের আব্বা আবুল কাসেম। তিনি আদালতের মাধ্যমে ন্যায় বিচার চান।