কোটচাঁদপুরে টাকায় মিলছে নিয়োগের বৈধতা

লেখক: Amadersomaj
প্রকাশ: ১১ মাস আগে


নিজস্ব প্রতিবেদক বাবলু মিয়া॥ বিতর্কিত নিয়োগে ফেঁসে যেতে পারেন ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, সাফদারপুর মনসুর আলী একাডেমীর প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি।

অনুসন্ধানে জানা যায়,সাফদারপুর মনসুর আলী একাডেমিতে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর,অফিস সহায়ক, পরিচ্ছন্নতাকর্মী,ও নিরাপত্তাকর্মী পদে নিয়োগের জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের কাছ থেকে দরখাস্ত আহ্বান করা হয়।স্থানীয় দৈনিক স্পন্দন ও জাতীয় দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকায় গত ১৫-১২-২২ তারিখে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে ৭ জন,অফিস সহায়ক পদে ৩ জন, পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে ৬ জন,নিরাপত্তাকর্মী পদে ৫ জন কে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য চূড়ান্তভাবে বাছাই করা হয়।

(৩ জুন)শনিবার ঝিনাইদহ সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪ টি পদের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও অফিস সহায়ক পদে কোরাম পূরণ না হওয়ায় ওই পরীক্ষা স্থগিত করা হয় এবং কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে পূর্ব থেকে চূড়ান্ত প্রার্থী মোঃ আশিকুর রহমানের ত্রুটিপূর্ণ আবেদনটি যাচাই বাছাই না করে এ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হয়। কিন্তু পরীক্ষা আরম্ভের কিছু সময় পূর্বে ত্রুটিপূর্ণ আবেদনের বিষয়ে অভিযোগ দায়েরের পর ডিজির প্রতিনিধি ওই পদের পরীক্ষা স্থগিত করে বাকী দুটি পদের পরীক্ষা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

যোগ্য প্রার্থীদের বাদ দিয়ে প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নিয়োগ বোর্ড কমিটি কে ম্যানেজ করে ফোরাম পূরণের মাধ্যমে নিরাপত্তাকর্মী মোঃ রানা মিয়া এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে মোঃ আশরাফুল ইসলাম কে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ পরীক্ষার পূর্বেই চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এসব বিষয়ে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদের আবেদন প্রার্থী মোঃ নাসিম হোসেন জানান,মোঃ আশিকুর রহমান সভাপতির পছন্দের ও পূর্ব থেকে চূড়ান্ত প্রার্থী হওয়ায় ওই একজন প্রার্থীর ত্রুটিপূর্ণ আবেদনের কারণে কোরাম পূরণ হওয়া সত্ত্বেও কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদের পুরো নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

প্রার্থী চূড়ান্তের বিষয়ে অভিযোগ দিলে ডিজির প্রতিনিধি সরকারি বালক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন,নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে যা কিছু জানার ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির কাছে জানতে পারবেন।

এসব ব্যাপারে কোটচাঁদপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বলেন, আপনারা নিয়োগের বিষয়ে সভাপতির সাথে কথা বলেন। এ কথা বলে তিনি পরীক্ষাপর্ব শেষ করার পর রেজাল্ট প্রকাশ না করেই তড়িঘড়ি করে প্রাইভেটকার যোগে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

প্রধান শিক্ষক মোঃ আমিন উদ্দীন জানান, কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে একজন প্রার্থীর আবেদনপত্র যাচাই- বাছাইয়ের সময় ভুল হয়েছে যে কারণে সভাপতির পরামর্শে পুরো নিয়োগ স্থগিত করা হয়েছে। নিয়োগ বাণিজ্য ও প্রার্থী চূড়ান্তের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। এছাড়াও পরীক্ষা শেষে চূড়ান্ত প্রার্থীদের ফলাফল ঘোষণা না করে তিনি সাংবাদিকদের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে দ্রুত বিদ্যালয় ত্যাগ করেন।

অত্র বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবু সাঈদ বলেন,মোঃ রানা মিয়া আমার ভাতিজা এটা সত্যি তবে আমি কোন টাকা লেনদেন বা নিয়োগ বাণিজ্যের সাথে জড়িত নয়। পরীক্ষায় যারা পাস করবে তাদেরকে চাকরি দেওয়া হবে।স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বাণিজ্যের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির মান ক্ষুন্ন হওয়ার আশঙ্কায় নিয়োগ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বঞ্চিত চাকরী প্রত্যাশীরা।

IT Amadersomaj