গরু মোটা তাজা করণে ভাগ্য খুলছে আত্রাইয়ের পারিবারিক খামারিদের

লেখক: Amadersomaj
প্রকাশ: ১ বছর আগে


কামাল উদ্দিন টগর, নওগাঁ॥ দুই ঈদকে সামনে রেখে নওগাঁর আত্রাইয়ের জামগ্রামের সোহাগী বেগম (পঞ্চান্ন) দেশি জাতের গরু মোটাতাজাকরণ কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন স্থানীয় পারিবারিক গো-খামারীরা। প্রতি বছর ষাঁড় গরু বৈঞ্জানিক পদ্ধতিতে মোটা তাজা করে আর্থিক স্বচ্ছলতা লাভ করে দৃষ্টান্তমূলক নজির স্থাপন করেছে। এখানকার গ্রামের মানুষ। গরু মোটাতাজা করে দারিদ্র মুক্ত হয়েছেন। নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ভোঁপাড়া ইউনিয়ন এবং দেশের গবাদি পশু নওগাঁর ঐতিহ্যবাহী পশুর হাট আহসানগঞ্জ হাট শত শত গো-খামারে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বৈঞ্ঝানিক পদ্ধতিতে স্বল্প সময়ে অল্প বিনিয়োগে লাভবান হচ্ছে পারিবারিক খামারিরা।

উপজেলার ভোঁপাড়া, পাঁচুপুর, আহসানগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের খামারিরা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে প্রতি বছর শত শত ষাড় গরু মোটাতাজা করে অথনৈতিক ভাবে সফলতা অর্জনের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়ে সচ্ছলভাবে জীবনযাপন করছে।জামগ্রামের, বাবলু মেম্বার, আব্দুল জলিল,পাঁচুপুর ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ গ্রামের আব্দুল আজিজ(আজি) অনেকেই বিগত পনর/ বিশ বছর যাবত গরু মোটাতাজা করে প্রতিবছর লাভবান হচ্ছেন। জানা গেছে, প্রতি বছর দুই ঈদকে সামনে রেখে শাত/আট মাস আগে কম দামে গরু কিনে আধুনিক ও বৈঞ্জানিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করে দুই ঈদহাটে বিক্রি করে ব্যাপক লাভবান হচ্ছে। এ বছর আবুল আজিজ সাতটি,বাবলু পনরটি, সাহেবগঞ্জ গ্রামের টুকু সরদার আটটি গরু মোটাতাজ করেছেন। তাদের প্রতিটি গরু এক লাথ বিশ হাজার থেকে এক লাখ ত্রিশ হাজায় কেনা। সাত/ আট মাস মোটা তাজা করে স্থানীয় বড় বড় পশুর হাটে ও ঢাকায় কোরবানির হাটে প্রতিটি গরু দুই লাখ থেকে দুই লাখ বিশ হাজার টাকায় বিক্রি করেন বলে জানান। সে হিসেবে খরচবাদে প্রতিটি গরু বিক্রি করে তারা চল্লিশ হাজার থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা লাভবান হন।

অন্য দিকে আত্রাই উপজেলাসহ আটটি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে আধুনিক ও বৈঞ্জানিক পদ্ধতিতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সবচেয়ে বেশি গরু মোটাতাজা করা হয়।

ভোঁপাড়া গ্রামের জামগ্রামের গরু মোটাতাজা করণ খামারিরা জানান, বংশ পরস্পররায় আদি পুরুষের কাছ থেকে গ্রামের গ্রামের মুষ্টিমেয় কৃষক অতীত সময় হতেই ষাঁড় ও বলদের মোটাতাজা করণের কাজ করতে থাকেন। পেশাটি লাভজনক হওয়ায় ওই গ্রামের আদেশ আলী মন্ডল, শরিফুল ইসলাম, বাবলু মেম্বার জামাল মিয়া সহ শতাধিক বেকার গ্রামবাসী গরু মোটাতাজা করণের মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটিয়েছেন। তাদের ধারাবাহিক সাফল্য উপজেলার অন্যান্য গ্রামেও ছড়িয়ে পড়েছে।

আত্রাই উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ড. মোঃ আবু আনাছ বলেন, আগেকার মানুষ দুই একটি গরু পালতো শখ করে। বলদ গরু হলে হাল চাষের ক্ষেত্রে, আর ষাঁড় গরু হলে অনেক কৃষক মাংসের জন্য তৈরি করতো। গো-মাংস উৎপাদনে বাংলাদেশে অনেক পিছিয়ে রয়েছে।অনেক দেশের তুলনায় আমাদের দেশে গরুর সংখ্যা বেশি হলেও সংখ্যাগরিষ্ঠই র্জীণকায়গরু। অথচ সামান্য যত্ন নিলেই মোটা তাজাকরণের মাধ্যমে অধিক মাংশ উৎপাদন করা সম্ভব। যা দেশে মাংসের চাহিদা পূরণের পাশাপশি অনেক লোকের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র তৈরি করতে পারে। যার উৎকৃষ্ট উদাহরণ আত্রাইয়ের শতশত গরু মোটাতাজাকরণ করার পারিবারিক গো-খামার।

IT Amadersomaj