জমাটবাঁধা সিমেন্ট দিয়ে চলছে কোটচাঁদপুর এড়ান্দাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের কাজ 

লেখক: Amadersomaj
প্রকাশ: ১ বছর আগে


নিজস্ব প্রতিবেদক বাবলু মিয়া: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার বলুহর ইউনিয়নের এড়ান্দাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবন এর কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

সরজমিনে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, উপজেলার এড়ান্দাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ১ কোটি ৯ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা চুক্তি মূল্যে সম্প্রসারিত ৪ কক্ষ বিশিষ্ট নির্মাণাধীন ভবনের কাজ পায় মেসার্স আল-আমিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কার্যাদেশ প্রদানের তারিখ ৯ মার্চ ২০২৩ ইং হইতে কার্যাদেশ সমাপ্তির তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০২৩ ইংরেজি। দেখা গেছে নির্মাণ কাজে ব্যবহারিত হচ্ছে নিম্নমানের ইট, ইটের খোয়া, ব্যবহার অনুপযোগী ঘোষণা করা সিমেন্ট।

স্থানীয়’রা জানান সিমেন্ট গাড়ি থেকে নামানো হলে দেখতে পায় জমাটবাঁধা সিমেন্ট। তাৎক্ষণিকভাবে জমাটবাঁধা সিমেন্ট দিয়ে স্কুলের কাজ হচ্ছে এমন সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্কুলের প্রধান শিক্ষক কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রকৌশলী অফিস’কে সিমেন্টের গুনগত মানের বিষয় জানানো হলে সিমেন্ট ব্যবহার করতে নিষেধ করেন উপজেলা প্রকৌশলী। সিমেন্ট ব্যবহার উপযোগী নয় মর্মে সরিয়ে নিতে বলা হলেও কোন অদৃশ্য কারনে সরিয়ে না নিয়ে স্থানীয় মানুষের সমাগম না থাকা অবস্থায় জমাটবাঁধা সিমেন্ট দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।

এ বিষয়ে কথা বলা হয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেনের সাথে। তিনি জানান, সিমেন্ট নিয়ে আসার পর জমাটবাঁধা দেখে উপজেলা প্রকৌশলী মিজানুর রহমান’কে জানাই, কিন্তু জানানোর পরে সিমেন্ট এখান থেকে সরিয়ে নিতে বলা হয়। কারন সিমেন্ট থাকলে মিস্ত্রি’রা সিমেন্ট শেষ হয়ে গেলে এখান থেকে ব্যবহার করছে তাদের কাজ তো বসে থাকবে না। প্রধান শিক্ষক বলেন, আমি সরিয়ে নিতে বলেছি কিন্তু  প্রকৌশলীতো কোন জোরালো পদক্ষেপ নিচ্ছে না, আমার কি করার আছে।

কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, আমি সিমেন্ট সরিয়ে নিতে বলেছি, জমাটবাধা সিমেন্ট দিয়ে কাজ করা যাবে না। নিম্ন মানের ইট খোয়া’র দ্বারা কাজ করা হচ্ছে জানানো হলে তিনি বলেন, এটা তো হওয়ার কথা না ঠিক আছে দেখছি বলে জানান।

কাজের সাইটে কর্মরত হেড মিস্ত্রির নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন ৪০-৫০ বস্তুা সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে বেশি না।কিন্তু জমাটবাধা সিমেন্ট দিয়ে কাজ করা হলে তার টেকসই কেমন হবে এবং প্রকৌশলী সিমেন্ট ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর ও কেন ব্যবহার করা হয়েছে জানা নেই এ প্রশ্নের উত্তর। এই ভবনের ভবিষ্যত কি দাঁড়াবে এ বিষয়ে মিস্ত্রি কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

কথা বলা হয় কাজে ঠিকাদার লাল্টু মিয়া’র সাথে। তিনি জানান, কাজের ঐখানে যে সিমেন্ট আনা হয়েছে ট্রাকে নিয়ে আসার সময় পানি পড়ে জমাটবাঁধা হয়েছে। ঐ সিমেন্ট সরিয়ে নিয়ে আসবো কোন কাজ করা হবে না ঔ সিমেন্ট দিয়ে। কিন্তু জমাটবাঁধা যে সিমেন্ট গুলো ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলো ভবিষ্যতে ভবনের টেকসই কি হবে তা জনমনে প্রশ্ন রয়ে গেল।

IT Amadersomaj