ডাসারে সুদের টাকা পরিশোধ করেও হয়না পরিশোধ! 

লেখক: Amadersomaj
প্রকাশ: ১ বছর আগে


রতন দে, মাদারীপুর প্রতিনিধি॥ মাদারীপুরের ডাসারে সুদারুর জমজমাট সুদের ব্যবসায় অসংখ্য পরিবার নিঃশ্ব,অনেকে আবার স্ত্রী ও ছেলে সন্তান নিয়ে ঢাকা সহ বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করেন বলে জানা যায় এবং এর আগে সুদের টাকার চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটেছে। সুদের টাকা পরিশোধের পরেও হয়না পরিশোধ। স্টাম্প আটকে পুনরায় আবার টাকা দাবিতে হয়রানি ও স্টাম্প দিয়ে মামলার হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ভুক্তভোগী সুত্রে জানা যায়, ডাসার উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের আলীসাকান্দি গ্রামের হালিম ঘরামীর স্ত্রী সানি বেগম দীর্ঘ বছর যাবত সুদের ব্যবসা করে আসছেন। সে সুবাধে একই এলাকার ছন্দা রানী মন্ডল টাকার প্রয়োজন হলে সানি বেগমের কাজ থেকে ত্রিশ হাজার টাকা নেন। ত্রিশ হাজার টাকা সুদে নিয়ে প্রায় চার লক্ষ টাকা নেয়ার পরও পরিশোধ হয়নি সুদারুর সুদের টাকা। স্থানীয় এক মেম্বারের মাধ্যমে সর্বশেষ ষাট হাজার টাকা দিয়ে স্টাম্প চাইলে পরে দিবে বলে প্রবাসে চলে যান সানি বেগম। দীর্ঘ দুই বছর পর দেশে ফিরে পুনরায় স্টাম্পের ভয় দেখিয়ে টাকার চাপ সৃষ্টি করেন ওই সুদারু সানি বেগম। এক পর্যায় টাকার জন্য ছন্দা রানীর গলায় থাকা ওড়না ধরে টানাটানি করেন এবং টাকা না দিলে স্টাম্প দিয়ে মামলা দেয়ার হুমকি দেন বলে জানায় ভুক্তভোগী। ডাসার ও নবগ্রাম ইউনিয়নে কিছু সুদারু এলাকার কিছু অসহায় পরিবারকে টার্রগেট করে তাদেরকে সুদে টাকা দেন। কয়েক মাস চুপ করে থেকে, হঠাৎ করে চাপ দেন টাকা পরিশোধের জন্য,আর এ সময় তারা টাকা জোগার করতে না পারলে শুরু বিভিন্ন ধরনের চাপ। অনেক সময় ধানের জায়গা জমিও লিখে নিলেও তাদের টাকা হয়না পরিশোধ। এক পর্যায় স্ত্রী ও ছেলে সন্তান নিয়ে রাতের আধারে পালিয়ে গিয়ে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বসবাস করেন অনেক পরিবার। গত বছর খানেক আগে এ সুদের টাকার চাপ সহ্য করতে না পেরে নবগ্রাম ইউনিয়নের বেতগ্রাম এলাকার সুরেন বাড়ৈ (৬৫) নামে এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেন। এর আগেও এরকম ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।

ভুক্তভোগী ছন্দা রানী মন্ডল বলেন, আমি সানি বেগমের থেকে ত্রিশ হাজার টাকা এনে ছিলাম। ওরে টাকা দিতে দিতে আজ আমি নিঃশ্ব। আমি প্রায় তিন থেকে চার লক্ষ টাকা দিয়েছি তার পরও নাকি ওর টাকা পরিশোধ হয়নি। আমি সর্বশেষ এলাকার জাহিদ মেম্বারে মাধ্যমে ষাট হাজার টাকা দিয়েছি এবং বলেছি আমার স্টাম্প দিতে। তখন সানি বলে স্টাম্প একটু দুরে আছে,আমি এনে দিয়ে দিব। কিন্তুু স্টাম্প না দিয়ে ও বিদেশে চলে যায়। এখন বিদেশ থেকে এসে সেই স্টাম্পের ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করেন। টাকার জন্য আমার গলার ওড়না ধরে টানাটানি করে সম্মানহানিও করেছেন এবং স্টাম্প দিয়ে মামলা দেয়ার হুমকি প্রদান করেন সানি বেগম।

ও কারও কথাই শুনে না,তার একই কথা আমাকে আরও টাকা দিবে,তারপর স্টাম্প দিব।

এ ব্যপারে সুদারু সানি বেগম বলেন, আমি একাই সুদের ব্যবসা করিনা,এলাকার অনেকেই করেন। আমি সুদে দেইনি,ধানের উপরে দিয়েছি। আমার টাকা দিতে হবে, ওসিকে জানাইলে কি হবে,এসপি ওসি আমাদেরও মাদারীপুরে আছে।

এ ব্যপারে ডাসার থানার ওসি মোঃ হাসানুজ্জামান বলেন, এরকম ঘটনা শুনি নি, এধরনের ঘটনায় কোন ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ করলে,অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

IT Amadersomaj