পটুয়াখালী পৌর এলাকায় ছেলের কোপে জখম বাবা ও স্বজনরা

লেখক: Amadersomaj
প্রকাশ: ৯ মাস আগে


নিজস্ব প্রতিবেদক, পটুয়াখালী: পটুয়াখালী পৌরসভার বিসিক সংলগ্ন মাঝ গ্রাম এলাকায় বাবাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে ছেলে মিরাজ ও তার সহযোগীরা। বুধবার বেলা আনুমানিক ১১ ঘটিকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছেলেকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমিজমার ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে আত্মীয় স্বজন-বাবা-ছেলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল, বুধবার ১১ টার দিকে বাবা-ছেলে ও আত্মীয় সজনদের মধ্যে এ নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ছেলে ও তার সহযোগীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাবা শাহাদাৎ ভূইয়া ও চাচা আবুল হোসেন ভূইয়া সহ একাধিক ব্যাক্তিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। স্থানীয় লোকজন আশঙ্কাজনক অবস্থা এদেরকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ ব্যাপারে মিরাজের বাবা শাহাদাত ভুঁইয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ভাইদের সাথে জমি জমা নিয়ে দির্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে ৬/১২/২৩ ইং তারিখে শাহ আলম মৃধা এবং পটুয়াখালী সদর উপজেলা আ.লীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ শাহজাহান পারভেজকে নিয়ে সালিশ বৈঠকে বসা হয়। শালিশ বৈঠক চলাকালিন সময়ে উভয় পক্ষ তর্কে লিপ্ত হলে শাহজাহান পারভেজ তাদের নিবৃত করতে ব্যর্থ হয়ে স্থান ত্যাগ করে চলে যান। এক পর্যায়ে শাহ আলম মৃধার নির্দেশে আমার ভাইদের উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়, এ সময় আমি বাধা দিলে আমাকে এবং আমার ভাই ও বোনদের কে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে সন্ত্রাসী মিরাজ সহ তার সহযোগীরা। এর আগেও একাধিকবার আমার ছেলে আমাকে মারধোর করেছে। মিরাজের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী আছে, এ এজন্য আমি ও পরিবার ছেলের কাছে জিম্মি ও অসহায়, আমি প্রশাসনের কাছে আইনি সহায়তা চাই।

শাহআলম মৃধার ছত্র ছায়ায় থাকা মিরাজের কর্মকাণ্ডে তাঁর পরিবারের লোকজন বরাবরই অতিষ্ঠ ছিল। কিছুদিন আগেও টাকা-পয়সার জন্য স্বজনদেরকে শাহ আলম মৃধা মারধর করেছেন।

এ ব্যাপারে মানিত সালিশ শাহআলম মৃধার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ঐ মারামারির স্পটে ছিলামনা, আমি সামনে চায়ের দোকানে ছিলাম। কিন্তু ভিডিও ফুটেজে শাহ আলম মৃধাকে মারামারির স্পটে থাকতে দেখা যায় এবং আপত্তিকর কিছু কথা বার্তা বলতে শোনা যায়।

এ ব্যাপার পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মোঃ জসিম বলেন, আমাদের মৌখিক অভিযোগে জানানো হয়েছে, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং হামলাকারী মিরাজকে আমাদের হেফজতে রাখা হয়েছে।

IT Amadersomaj