বদলগাছী পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের মূল মন্দিরের চারপাশ জলাবদ্ধতা, দর্শনার্থীদের ভোগান্তি

লেখক: Amadersomaj
প্রকাশ: ১ বছর আগে


এনামুল কবীর এনাম॥ নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের মূল মন্দিরের চারপাশে জলাবদ্ধতা সৃষ্টিতে একটি ছোট নদীতে রুপান্তর হয়েছে।

শনিবার ২৬শে আগস্ট  বিকেলে বাংবালাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির চেয়ারম্যান খোন্দকার আছিফুর রহমান কে নিয়ে ঐতিহাসিক দর্শনার্থীয় এ স্থান দেখতে গেলে বিরম্বনায় পড়তে হয়।

সামান্য বৃষ্টির পানিতে নওগাঁর বদলগাছির উপজেলার বিশ্ব ঐতিহ্য পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের মূল মন্দিরের চারপাশে জলাবদ্ধতা দেখা যায় । এতে দর্শনার্থীরা ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন।নেই তাদের মনে স্বস্তি, তাঁরা স্বাভাবিকভাবে মূল মন্দিরের চারপাশ সাবাবিক মনের আনন্দ নিয়ে ঘুরতে পারছেন না। মূল মন্দিরের দুটি পাম্প নষ্ট হওয়ায় এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ সহ একাধিক ব্যাক্তি সুএে জানা গেছে ।

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার সূত্রে জানা যায়, জাদুঘরের চেয়ে মূল মন্দির এলাকা অনেক নিচু। বর্ষা মৌসুমে সামন্য বৃষ্টিতে মূল মন্দির এলাকার চারপাশে পানি জমে উঠে । এতে মূল মন্দিরে যাওয়ার রাস্তা পানিতে ডুবে যায়। পানি নিস্কাসনের জন্য সেখানে দুটি পাম্প বসানো ছিল। পাম্প দুটি অকেজো হওয়ায় পানি বাহির করা সম্বভ হচ্ছে না । গত দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে মূল মন্দির এলাকার কোথাও তিন ফুট, আবার কোথাও তার চেয়ে বেশি ফুট পানি জমে আছে। এ কারণেই দর্শনার্থীদের মূল মন্দিরে যেতে সমস্যা হচ্ছে বলে মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির চেয়ারম্যান মহাসচিব সহ যুগ্ন মহাসচিব সুমি আক্তার দেখতে গিয়ে স্হানীয় সাংবাদিকদের জানান।

গতকাল শনিবার দর্শনার্থী শামীম, সাকিল, অনেক নারী পুরুষ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা অনেক দূর থেকে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার দেখতে এসেছি। বৌদ্ধবিহারের মূল মন্দিরের চারপাশ পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে, এবং চারি পার্শে কিছু বিধি ঘাসের সৃষ্টি হওয়ায় জাপা পেন্ট অপরিষ্কার হচ্ছে। আমরা কয়েকজন হাঁটুপানি ভেঙে মূল মন্দির দেখতে গিয়েছি। আমাদের সঙ্গে থাকা নারী দর্শনার্থীরা যেতে অনেক কষ্টে পার হতে হয়েছে।’

বৌদ্ধবিহার ২ নং গেটসংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা সবুজ, রফিক বলেন, বিশ্ব ঐতিহ্য পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের মূল মন্দিরের চারপাশের জলাবদ্ধতা দ্রুত নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার ঐতিহাসিক পাহাড় পুর বৌদ্ধ বিহারের প্রতি বাংলাদেশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের মেঘ দৃষ্টি ও সহায়তা কামনা করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী সহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।

IT Amadersomaj