বদলগাছী বেগুনজোয়ার উচ্চ বিদ্যালয়ে এডিসি ও ইউএনও কে অবরদ্ধ,  মাইকে বহিষ্কার ঘোষণা

লেখক: Amadersomaj
প্রকাশ: ১ বছর আগে


এনামুল কবীর এনাম স্টাফ রিপোর্টার॥ নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বেগুনজোয়ার উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিসরুমে প্রধান শিক্ষক ও-শিক্ষিকার অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগ উঠেছে। জেলা প্রশাসক সহ বিভিন্ন দপ্তরে এলাকাবাসীর পক্ষে গত ৪ এ জুলাই শেখর আহমেদ নামের এক ব্যক্তি লিখত অভিযোগ করেন বলে জেলা প্রসাশকের অভিযোগ সুএে জানা যায়। বিষয় টি প্রকাশের পর শিক্ষার্থী, অভিভাবক সহ এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

গত ৬/৭/২৩ তারিখ ১০ টা ১০ মিনিটে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) এস এম জাকির হোসেন উপস্থিত হলে স্থানীয় এলাকাবাসীর মুখে ঘটনার বিবরণ গুলি শুনেন এবং সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। ১১ টা ৫০ মিনিটে বিদ্যালয় থেকে বাহির হওয়ার সময় বিদ্যালয়ের গেটে জনতার মুখুমুখি অবরুদ্ধ হন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক । সেখান থেকে আবার ও বিদ্যালয়ের বারান্দায় দাঁড়িয়ে জনগণের তোপের মুখে সাময়িক বহিষ্কার ঘোষণা করলে এলাবাসী কিছু টা শান্ত হলে বিদ্যালয় থেকে বাহির হয়ে , গাড়ি টি ব্রিজের উপর গেলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও পুরাতন শিক্ষার্থীরা যৌথভাবে রাস্তা অবরুদ্ধ করে ফেলেন।এবং গাড়ির সামনে বসে পড়েন তারা দাবি করেন উক্ত কুলাঙ্গার শিক্ষক ও শিক্ষিকার বহিষ্কার চাই নইলে ডিসি স্যার কে চাই।

কোনভাবেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনতে পাড়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলপনা ইয়াসমিন কে ফোন দিলে তিনি থানার অতিরিক্ত ফোর্স সহ উপস্থিত হয়ে ছাত্রদের প্রতি আইনগত সঠিক ব্যবস্থা ও বহিস্কারের বারংবার আশ্বাস দিলেও তারা মানতে নারাজ। তারা বলেন, আমরা আপনাদের মাধ্যমে বহিষ্কার ঘোষণা চাই।তিনি বলেন আমাকে যেতে দিন আমি খেলার অনুষ্ঠানে যাবো বল্লে, ছাত্র জনতা পতি উত্তর দেন আমাদের এখানে বড় খেলা হচ্ছে ।

শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( শিক্ষা) ও বদলগাছি উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনতার তোপের মুখে ব্রিজ থেকে বিদ্যালয়ের ভিতরে ফিরে আসতে বাধ্য হন মর্মে সরেজমিনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দেখা যায়। এবং লিখিত ভাবে মাইকে বেগুনজোয়ার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু শাদাত শামিম আহম্মেদ মিঠু ও সহকারি শিক্ষিকা রিফাত আরা কে নিজ অনৈতিক ও অসামাজিক কার্যকলাপের দায়ে সাময়িক বহিষ্কার ঘোষণা করলে উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

কি বলিব দুঃখের কথা বুকটা যায় ফাটিয়া, যেখানে সভ্যতারই ফুল ফোটানো হয়, সেখানেই আবার অসভ্যতার ফুল ফোটা নো অফিস।

উপস্হিত ছাত্র জনতার মুখে জানাযায় বিগত কয়েক বছর যাবৎ অত্যন্ত নারী লোভী, অবৈধ ক্ষমতা বিস্তারকারী এবং অর্থলোভী প্রধান শিক্ষক আবু সাদাত শামিম আহমেদ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের বিভিন্ন কু-প্রস্তাব দিতেন। এবং বেশ কয়েকবার বিচারের মুখামুখী ও হয়েছিলেন তিনি । কিন্তু কিছু অদৃশ্য সরকার দলীয় শক্তির কারণে ছাড় পেয়ে বিদ্যালয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন । সহকারী শিক্ষিকা মোসা. রিফাত আরার সাথে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অফিস রুমে অনৈতিক কার্যকলাপ সঠিক বলে তদন্ত কারী কর্মকর্তাকে জানান স্বচেতন মহল। ঘটার বিষয় টি মানেজিং কমিটির নিকট সঠিক প্রমান উপস্থাপন করলেও কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে গত ৪/৭/২৩ ইং তারিখ জেলা প্রশাসক সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন শেখর আহমেদ। তিনি বলেন আমি ঐ দুই শিক্ষকের বহিষ্কার চাই।

তিনি অভিযোগে আরও বলেন, মানেজিং কমিটিও একটি পুতুল কমিটি রয়েছে। যা বিগত কয়েক বছর যাবৎ অভিভাবকের আশা- আকাঙ্খার কমিটি গঠন করার সুযোগ দেন নাই প্রধান শিক্ষক।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগকারী শেখর আহমেদ বলেন, আমি এলাকার একজন সচেতন মানুষ হিসাবে ঘটনার ভিডিও ক্লিপ দেখে বিদ্যালয়ের ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যৎ জীবন রক্ষার্থে এবং বিদ্যালয়ের মান মর্যাদা রক্ষার্থে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

স্হানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কেটু জানান বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ এর জন্য জেলা প্রশাসক আইন গত সঠিক সিদ্ধান্ত নিবেন বলে আশ্বাস দেন।

বিদ্যালয়ের কমিটির সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজ ম শফি মাহমুদ জনতার তোপের মুখে বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন না, এবং মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে ও কোন মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে ফোন টি রিসিভ হয়নি। সহকারী শিক্ষিকা (ইংরেজি) মোসা. রিফাত আরার মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি একজন ভাল মানুষ ভাই, আমার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ মিথ্যে। কে বা কাহারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তুলেছেন। বিষয় টি এলাকায় তোলপাড় চলছে।

IT Amadersomaj