বৌদ্ধ বিহার কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের হয়রানির শেষ কোথায় ! 

লেখক: Amadersomaj
প্রকাশ: ১ বছর আগে


এনামুল কবীর এনাম, স্টাফ রিপোর্টার॥ নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার শাখা রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের কাছে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির শেষ কোথায় ! নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ও দিচ্ছে না জমির দলিল।

জানা গেছে, উপজেলার মিঠাপুর ইউনিয়নের উত্তর পাকুরিয়া গ্রামের মৃত্যু আহমেদ আলীর ছেলে মোজাফফর হোসেন মুরগীর ব্যাবসার জন্য পাহাড় পুর বৌদ্ধ বিহার কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক শাখা হতে প্রথমে ৩ লাখ টাকা লোন গ্রহন করে যথারীতি পরিশোধ করেন। পরবর্তীতে গত ১৮/১/১৩ ইং তারিখে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা লোন গ্রহন করে থাকেন মোজাফফর হোসেন, উক্ত লোনের টাকা ১৭/৮/১৪ ইং তারিখে পরিশোধ না করতে না পারায় খেলাপি হিসেবে আখ্যায়িত হন।

এর প্রেক্ষাপটে পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার রাকাব শাখা গত ২৫/৮/১৫ ইং তারিখে ৪ লাখ ২০ হাজার ৯৫৫ টাকার একটি সার্টিফিকেট মামলা দায়ের করেন, যাহার মামলা নং ৪৭/১৫।

উক্ত মামলার চুড়ান্ত শুনানির পরে সুদ মওকুফ হিসাবে, গত ৯/০১/২০ ইং তারিখে ৩ লাখ ৬১ হাজার ১০৫ টাকা পরিশোধের চিঠি প্রদান করেন খেলাপী মোজাফফর হোসেনকে পাহাড় পুর রাকাব শাখার ততকালীন ব্যাবস্হাপক কাফিজুল ইসলাম ।

কিন্তু ডিপোলডার মোজাফফর হোসেন বলেন, আমি পর্যায়ক্রমে প্রায় ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করিয়াছি।বেশ কিছু জমাকৃত রশিদ না পেয়ে বর্তমানে হাতে থাকা টাকা জমার রশিদ মোতাবেক ৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা ব্যাংকে প্রদান করা হয়েছে কাগজ পত্র সুত্রে জানা যায় । ব্যাংকের জমাকৃত রশিদে গত ১০/২/২০ ইং তারিখে ২০ হাজার, ২৬/৬/২০ ইং তারিখে ৫ হাজার, ২২/১/২০ ইং তারিখে ১০ হাজার, ৭/১০/২০ ইং তারিখে গোবর চাপা জনতা ব্যাংকের চেক ১/ CC /১৩-১৪, ১ লাখ। ৮/১০/২০ ইং তারিখে ২৫ হাজার, ০৩/০১/২১ ইং তারিখে ৫০ হাজার, ১৪/১২/২০ ইং তারিখে ৫০ হাজার, ১৭/৮/২০ ইং তারিখে ৬৫ হাজার, ২৮/১২/২০ ইং তারিখে ১ লাখ,০৩/৭/১৯ ইং তারিখে ১৫ হাজার, এবং সর্ব শেষ ১৪/১১/২২ ইং তারিখে বৌদ্ধ বিহার রাকাব শাখা ব্যাবস্হাপকের ৮০ হাজার টাকার নোটিশ বাই পোস্টে গত ৬/১২/২২ ইং তারিখে হাতে পাওয়ার পরে গত ১৮/১২/২২ ইং তারিখে ৮০ হাজার টাকা প্রদান করেন। মোট ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা প্রদানের কাগজ পত্র সুত্রে পরিশোধ। তিনি বলেন, বেশি দিন হওয়ায় আনেক অনেক জমা রশিদ বাড়িতে পাওয়া যাচ্ছেনা।

কিন্তু দুঃখের বিষয় পাহাড় পুর বৌদ্ধ বিহার রাকাব শাখা ব্যাবস্হাপক বলেন তার কাছে ব্যাংকের বকেয়া পাওনা ৪ লাখ, ৭২ হাজার টাকা।

এ বিষয়ে বৌদ্ধ বিহার রাখাব শাখা ব্যাবস্হাপক আবদুল মোত্তালিবের কাছে ৪ লাখ ৭২ হাজার টাকা পাওনা কিন্তু ৮০ হাজার টাকার বকেয়া আদায়ের চুড়ান্ত নোটিশ ডিপোলডারকে দিলেন কেন জানতে চাইলে, তিনি বলেন পূর্বের ম্যানেজার ভুল করেছেন। এর জন্য দায়ী কে জানতে চাইলে তিনি বলেন ভুল হতেই পারে।

উক্ত বিষয়ে গত ১৩ আগষ্ট রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের জোনাল ব্যাবস্হাপক নবিউল করিমের কাছে কাগজ পত্র হাতে দিয়ে ৮০ হাজার টাকার নোটিশ দিয়ে টাকা পাওয়ার পর কিভাবে ৪ লাখ ৭২ হাজার টাকা পাওনা থাকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সুদের মোট টাকা উল্লেখ না করা বৌদ্ধ বিহার শাখা ব্যাবস্হাপকের একটু মিস্টেক। তিনি আরও বলেন, পাটি সুদ মওকুফের আবেদন দিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালায় সুব্যাবস্হা করা যেতে পারে।

এ বিষয়ে বদলগাছী রাকাব শাখা ব্যাবস্হাপকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৮০ হাজার টাকার নোটিশে একটু মিস্টেক, আপনারা জোনাল সারের শরনাপন্ন হলে সুব্যবস্হা পাবেন।

ভুক্তভুগি মোজাফফর হোসেন সাংবাদিকদের জানান, তার গত ২১/১২/২২ ইং তারিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত আবেদনে ৪৭/১৫ নং সার্টিফিকেট মামলার জমাকৃত দলিল পত্রাদী ফেরত চেয়ে আবেদন সুত্রে এবং সুদ মওকুফ বাদে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছেন মর্মে তার আবেদন সুএে জানা যায় । উক্ত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৮/১২/২২ ইং তারিখে ১৪০২ নং স্বারকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উক্ত ৪৭/১৫ নং মামলার জমাকৃত দলিলাদী ফেরতের ব্যাবস্হা নিতে বৌদ্ধ বিহার রাকাব শাখা ব্যাবস্হাপক বরাবরে লিখিত ভাবে চিঠি প্রদান করেন।

কিন্তু আজ পর্যন্ত আমাকে কোন প্রকার কাগজ পত্র ফেরত প্রদান করা হয়নি।

মোজাফফর হোসেন আরও বলেন, আমি বারংবার পাহাড় পুর বৌদ্ধ বিহার রাকাব শাখায় যোগাযোগ করলে তিনারা বলেন, আরও ৪ লাখ ৭২ হাজার টাকা পাওনা পরিশোধ করতে হবে।তিনি কান্না জরিত কন্ঠে বলেন বর্তমানে মুরগীর ব্যাবসায় আমি অসহায় অতি কষ্টে দিনআতীপাত করে জীবন কাটাচ্ছি। কি ভাবে কার সুবিবেচনায় আমি ভোগান্তি থেকে রক্ষা পাবো।

এলাকার কতিপয় স্বচেতন মহল জানান কৃষি ব্যাংকের কৌশল ও ভোগান্তির শেষ নেই, তিনারা বলেন লোন দিলেন ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, প্রদান করেছে ৬ লাখ, আরও ব্যাংকের দাবি ৪ লাখ ৭২ হাজার টাকা, আমরা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ভোগান্তি থেকে রক্ষা পেতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নেক দৃষ্টি ও নেক সহায়তা কামনা করছি।

IT Amadersomaj