ময়মনসিংহের ফুলপুরে মানসিক ভারসাম্যহীন হলেন জমজ শিশু সন্তানের মা

লেখক: Amadersomaj
প্রকাশ: ১ বছর আগে


রবিউল হক বাবু, ফুলপুর ময়মনসিংহ॥ ময়মনসিংহের ফুলপুরে রাস্তায় বসবাস করা ভারসাম্যহীন মানসিক পাগলী সুফিয়া ওরফে শিউলি(২০) নামের অজ্ঞাত পরিচয়ের সেই যুবতী পাগলীটি ১৪ মে রবিবার ভোর সকালে ফুটফুটে দুই কন্যা সন্তান প্রসব করেন। কিন্তু বাবা হয়নি কেউ।

আমাদের বিবেক, মানবতা, নৈতিকতা আজ চরমভাবে বিপর্যস্ত তবে বাবাকে হবে তা এখনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। বাবু দুটি একটু অসুস্থ থাকায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, ফুলপুর হাসপাতালের সামনে গত ২ মে মঙ্গলবার সকালে অসুস্থ অবস্থায় ঘুরাফেরা ও কান্না করছিল। এমন অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর বিষয়টি জানতে পেয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসা দেন। এ সময় আলট্রাসনোগ্রাফে ধরা পড়েছিলো তার পেটে দুটি কন্যা সন্তান এবং ৩২ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। ৩৬ সপ্তাহ না গেলে সিজার বা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না। তবে মানসিক ভারসাম্যহীন পাগলীর যেন কোনো সমস্যা না হয় ফুলপুর হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ সার্বক্ষণিক তার চিকিৎসা খোঁজখবর রাখেন । রবিবার ভোর সকালে প্রসব ব্যাথা উঠলে নার্স উম্মে সালমার হাতে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে দুই কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। সকাল ৮:২০ মিনিটে ১ম সন্তান ওজন ২ কেজি, ২য় সন্তান ৮:২৫ মিনিটে ওজন ১কেজি ১৫ গ্রাম হয়। পাগলীর প্রসব ব্যাথা খবর শুনে তাৎক্ষণিক ছুটে আসেন অত্র হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর নবজাতক শিশুর খোঁজখবর শারীরিক অবস্থা জানতে হাসপাতালের দায়ীতে থাকা গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার তানহীন আক্তার সুমি, শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ রেবেকা সুলতানা, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ করিমন পন্ডি, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অনুপম ক্লান্ত ঠাকুর প্রমুখ।

এসময় হাসপাতালের দায়ীতে থাকা সকল চিকিৎসকগণ মা ও শিশুটিকে দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিদ্ধান্তক্রর্মে উক্ত হাসপাতালের অফিস সহায়ক আজহারুল ইসলামের মাধ্যমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে জান।

ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর জানান, ভারসাম্যহীন মানসিক পাগলীটিকে নিয়ে অনেক চিন্তিত আছিলাম তবে মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে রোববার সকালে তার নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে দুটি কন্যা সন্তান হয়। মা ও শিশু সুস্থ আছেন! তবে পরিপূর্ণ সময়ে না হওয়ায় (৩৩সপ্তাহ), দুটির শিশুরি ওজন কম ও পুষ্টিহীনতায় রয়েছে ।

এছাড়াও মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর সমস্যা থাকায় সকল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শক্রর্মে মা ও জমস দুটি শিশুকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন । ভারসাম্যহীন মানসিক রোগীরা অবুঝ শিশুর মত। কিছু লম্পট পশু জাতের মানুষেরর কারনে পাগল মানুষ গুলো মাথা উঁচু করে ধারাতে পারে না? তবে সবাইকে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। তাহলেই ফিরে আসবে মানবতা। জানোয়ারের হাত থেকে রক্ষা পাবে ভারসাম্যহীন মানসিক রোগী ও শিশুরা।তবে ভারসাম্যহীন মানসিক পাগলী সুফিয়া ওরফে শিউলির বক্তব্যে একটি কথায় উঠে আসছে বারবার, তার বাড়ি হালুয়াঘাট উপজেলার কৈচাপুর গ্রামে। তার স্বামীর নাম ময়েজ উদ্দিন। তবে তার পরিবারের অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোন খোঁজ এখনো মিলেনি। সে বিগত এক বছর ধরে ফুলপুরের বাসস্ট্যান্ড ও আমুয়াকান্দা বাজারের বিভিন্ন ফুটপাতে বসবাস করে আসছে।

IT Amadersomaj