যশোরে ড্রাইভিং লাইসন্সের দালালীর টাকা না পেয়ে কুপিয়ে দুই লাখ টাকা ছিনিয়ে নিল দুর্বৃত্তরা

লেখক: Amadersomaj
প্রকাশ: ১ বছর আগে


যশোর জেলা প্রতিনিধি॥

যশোরে ড্রাইভিং লাইসন্সের দালালীর টাকা না পেয়ে কুপিয়ে দুই লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি যশোরে গত ৮ জুলাই সদর উপজেলার কোদালিয়া বাজারে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঘটেছে।

এই ব্যাপারে ১১ জুলাই ভুক্তভোগীর মা রিজিয়া বেগম কোতোয়ালি মডেল থানায় চঞ্চল ও রাশেদ নামে বিআরটিএ’র দালালের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

আসামি চঞ্চল হোসেন কোদালিয়া গ্রামের আজিজুল মাস্টারের ছেলে এবং রাশেদ শামসুর রহমানের ছেলে।

বাদী মামলায় জানিয়েছেন, তার ছেলে জাহিদ হাসান একটি বিশেষ বাহিনীর সৈনিক পদে চাকরি করেন। আসামি চঞ্চল তার পূর্ব পরিচিত। সে কারণে জাহিদ হাসানের একটি ড্রাভিং লাইসেন্স করার ব্যাপারে চঞ্চলের সাথে তার কথা হয়। চঞ্চল হোসেন এক মাসের মধ্যে ওই লাইসেন্সটি করতে জাহিদ হাসানের কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা ঘুষ হিসেবে নেয়। কিন্তু এক বছর পার হলেও তার লাইসেন্স করে দিতে পারেনি চঞ্চল। ফলে টাকা ফেরৎ চেয়েও না দিয়ে আজ না কাল বলে ঘুরাতে থাকে চঞ্চল। এরই মধ্যে জাহিদ হাসান অন্য মাধ্যমে লাইসেন্সটি করেন। এখন ওই লাইসেন্সের খবর পেয়ে চঞ্চল তার কাছে আরো টাকা দাবি করে। না দেয়ায় তাকে খুন ও জখমের ভয়ভীতি দেখায় এবং সুযোগ খুঁজতে থাকে। এক পর্যায় গত ৮ জুলাই সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দুই লাখ টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে তার ভগ্নিপতি হারুনুর রশিদ মিঠুকে দেয়ার জন্য বাড়ি থেকে বাহাদুরপুর গ্রামের দিকে রওনা করে। কোদালিয়া বাজারে একটি সেলুনের দোকানের সামনে পৌছানো মাত্র আসামি চঞ্চল হোসেন এবং রাশেদ হোসেনসহ আরো ৩/৪জনে চাকুসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জাহিদ হাসানকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। এসময় তাদের মারপিটে জাহিদ হাসান মাটিতে পড়ে গেলে তার কাছে থাকা দুই লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে খবর পেয়ে জাহিদ হাসানের মা রিজিয়া বেগম তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এই ঘটনায় থানায় মামলা হলেও কোন আসামিকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে এলাকার লোকজন জানান যে, বি আর টি এর অফিসে এখন রমরমা দালালী ব্যাবসা চলছে। এই চঞ্চল ও রাশেদের সাথে বি আর টি এর অফিসের লাাইসেন্স  শাখার কিুছু অসাধু কর্মকতা ও কর্মচারীদের বেশ সখ্যতা কারণে এই দালালি ব্যাবসা বেশ দাপটের সহিত করে যাচ্ছে। তারা দীর্ঘ দিন ধরে মানুষের লাইসেন্স করে দেওয়ার নাম করে অফিসের বিভিন্ন শাখায় ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়ায়।

এলাকবাসি আসামীদের আটকের জন্য জোর দাবি করেন। আসামী আটকের বিষয় জানতে চাইলে, তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম বলেছেন, আসামি আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।

IT Amadersomaj