যশোর সদর দলিল লেখক কল্যাণ সমিতির ফের পকেট কমিটি গঠনের পায়তারা

লেখক: Amadersomaj
প্রকাশ: ১০ মাস আগে


যশোর অফিস : অবৈধ কমিটি দিয়ে চলছে যশোর সদর দলিল লেখক কল্যাণ সমিতি। ২০১৯ সালে সর্বশেষ দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু ওই কমিটির সভাপতির মৃত্যুর পর কতিপয় প্রভাবশালী দলিল লেখক পদ ভাগা-ভাগি করে নেতা বনে যায়। তাদের মর্জিতে চলছে কথিত কার্যক্রম। বর্তমানে আবারো নিজেদের মতো করে গোপনে কমিটি গঠনের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে নানা খাতে বেপরোয়া চাঁদাবাজি নির্বিঘ্ন করার লক্ষে দলিল লেখক সমিতির সাথে ‘কল্যাণ’ শব্দ জুড়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।

জানা গেছে, যশোর রেজিস্ট্রি অফিস কেন্দ্রীক ‘সদর দলিল লেখক কল্যাণ সমিতি’ নামে একটি সংগঠন রয়েছে। এর আগে সংগঠনটির নাম ছিলো সদর দলিল লেখক সমিতি। জমির ক্রেতা-বিক্রেতার পকেট কেটে ও রেজিষ্ট্রি অফিসে প্রভাব বিস্তার করে অবৈধ পন্থায় দলিল সম্পাদনের পথ নির্বিঘ্ন করতে সু-কৌশলে কল্যাণ শব্দটি জুড়ে দেয়। এতে সংগঠনটির চাঁদাবাজি বেশ সহজ হয়ে পড়ে।

 

এদিকে প্রতি দুই বছর পর পর ভোটের মাধ্যমে এই সংগঠনের দ্বি-বার্ষিক কমিটি গঠন করার বিধান থাকলেও এসবের কিছু তোয়াক্কা করছে না এই পকেট কামিটি। সর্বশেষ ২০১৯ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে এই সংগঠনের কমিটি গঠিত হয়। যার সভাপতি নির্বাচিত হন মোমিনুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন হায়দার আলি এবং যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন হায়াতুর রাজিব রনি। ২০২০ সালের ১০ অক্টোবর সভাপতি মোমিনুর রহামন মৃত্যুবরণ করেন। এরপর থেকে শুরু হয় অনিয়ম। সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলি নিজের পক্ষের কয়েকজনকে ডেকে নিজেই সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত হন।এরপর কপাল খুলে যায় কথিত সভাপতি হায়দার আলি র নামে বে-নামে করেছেন কোটি কোটি টাকার সম্পাদ, যশোর শহরের পুলিশ লাইনে বাড়ি, শহরতলি হামিদ পুরের রয়েছে কোটি টাকার বাড়ি ও সম্পাদ যা খোঁজ নিলে পাওয়া যাবে।

সাধারণ সম্পাদক করা হয় যুগ্ম সম্পাদক হায়াতুর রাজিব রনিকে, যুগ্ম সম্পাদক করা হয় সহ সম্পাদক নেছার আহমেদকে এবং কমিটির বাইরে থেকে নিয়ে এসে সহ সম্পাদক করা হয় মিজানুর রহমান নামে একজনকে। আর এ কমিটির ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব পালন করেন কথিত দলিল লেখক সোহাগ। নামে দ্বি-বার্ষিক কমিটি হলেও নির্বাচিত সভাপতি মোমিনুর রহমানের মৃত্যুর পর এভাবেই স্বঘোষিত কমিটি দিয়ে চলছে ৪ বছর।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ সদস্যরা বৈধভাবে কমিটি গঠনের জন্য বারবার তাগাদা দিলেও স্বঘোষিত সভাপতি হায়দার আলি ও সাধারণ সম্পাদক হায়াতুর রাজিব রনির নেতৃত্বাধীন অবৈধ কমিটি সাধারণ সদস্যদের দাবির কোন মূল্যায়ন করেনি। বর্তমানে আবারও কোন নির্বাচন ছাড়াই নিজেদের মতো করে গোপনে কমিটি গঠনের চেষ্টা করছেন হায়দার আলি ও হায়াতুর রাজিব রনি। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকে সাধারণ সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

সাধারণ সদস্যদের কয়েকজনের সাথে আলাপকালে তারা জানান, নির্বাচন না দিয়ে এবার গোপনে কমিটি গঠন করার চেষ্টা করলে ফলাফল ভালো হবে না। এমনকি অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটতে পারে। তাদের মতে, স্বঘোষিত অবৈধ সভাপতি হায়দার আলি এবং সাধারণ সম্পাদক হায়াতুর রাজিব রনি গত চার বছর ধরে সমিতির কোন হিসাব দেন না। নিজেদের খেয়াল খুশি মতো সংগঠনের টাকা লুটেপুটে খাচ্ছেন। আবারো গোপনে কমিটি গঠনের চেষ্টা করছেন। এটা আমরা সাধারণ সদস্যরা কোনভাবেই মেনে নেব না।

এ ব্যাপারে সভাপতি হায়দার আলি কমিটি গঠন সংক্রান্ত বিষয় মুঠোফোনে বলেন, আমার কাছে এই ধরনের কোন খবর নেই। পরিবেশ পরিস্থিতি বা সংগঠনের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যরা যদি চায় নির্বাচন ছাড়া কমিটি গঠন করতে তাহলে কোন বাধা নেই। তিনি বলেন গোপনে কমিটি গঠন করার কোন খবর সম্পর্কে আমার কাছে কোন তথ্য নেই।

এ ব্যাপারে সাধারণ সম্পাদক হায়াতুর রাজিব রনির মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

IT Amadersomaj