রংপুরে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির দায়ে ১৯ জন গ্রেফতার 

লেখক: Amadersomaj
প্রকাশ: ১০ মাস আগে


রংপুর ব্যুরো: রংপুরে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ডিভাইস জালিয়াতির দায়ে ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। এ সময় বেশ কিছু ডিভাইস ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

শুক্রবার ৮ই ডিসেম্বর ২০২৩ইং দুপুর ১২টায় রংপুর নগরীর ডিবি কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মনিরুজ্জামান এসব তথ্য জানান।

পুলিশ জানায়, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ডিভাইস ব্যবহার করে পরীক্ষার্থীর প্রশ্নপত্রের উত্তর প্রদানের চুক্তি করা হয়।

সেই চুক্তি অনুযায়ী প্রস্তুতির প্রাক্কালে পরীক্ষার আগের রাতে ও সকালে রংপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন রংপুরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ১১ জন পরীক্ষার্থী এবং পাঁচজন ডিভাইস জালিয়াতি সিন্ডিকেটের সদস্য।

গ্রেফতার পরীক্ষার্থীদের মধ্যে আটজন নারী রয়েছেন যাদের পরীক্ষা শুরুর আগেই পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে ডিভাইসসহ আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছে থেকে ১১টি ডিভাইস, ৮০টি ফোন ও এডমিট কার্ড উদ্ধার করা হয়।

ডিভাইস জালিয়াতি সিন্ডিকেটের সদস্যদের আটক অভিযানে মোট চারটি দল কাজ করে।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মনিরুজ্জামান বলেন, সরকার সব নিয়োগ পরীক্ষায় সর্বাত্মক সচেতন হওয়া সত্যেয় তারপরও একটি অসাধু চক্র ডিজিটাল ডিভাইস অপব্যবহার করে এই জালিয়াতি কাজের সাথে জড়িত বলে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ডিভাইস জালিয়াতি চক্রটিকে পরীক্ষার আগে রাতে সকালে ও পরীক্ষা শুরুর আগেই কেন্দ্র থেকে আটক করে। তাদের আটকের ফলে পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস করতে পারেনি চক্রটি। এই ঘটনায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে পুলিশ কমিশনার প্রেস ব্রিপিংএ জানান।

এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর রংপুর বিভাগের উপ-পরিচালক মুজাহিদুল ইসলাম বলেন পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য সবধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পরীক্ষা বাতিল হবে কি না এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয়ের। তাছাড়া রংপুর বিভাগীয় কমিশনার বিষয়টি তত্ত্বাবধান করছেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি ডিবি কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান, ডিসি ক্রাইম আবু মারুফ হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর রংপুর বিভাগের উপ-পরিচালক মুজাহিদুল ইসলাসহ রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তা।

এদিকে রংপুর বিভাগে পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে ১৯ জন কে গ্রেফতার। এ ছাড়া ১১ ডিভাইস ও ৮০ টি মোবাইল জব্দ করা হয়।

এর আগে সকাল ১০টায় রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগ দিয়ে প্রথম ধাপে ১৮টি জেলার ৫০৩টি কেন্দ্রে একযোগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ও জালিয়াতি ঠেকাতে ভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানাগেছে।

IT Amadersomaj