শেরপুরে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন 

লেখক: Amadersomaj
প্রকাশ: ১ বছর আগে


শেরপুর প্রতিনিধি কাকন সরকার॥ শেরপুর সদর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র ব্রীজ সংলগ্ন অস্থায়ী স্টেন্ডে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও সিএনজি চালকদের জিম্মি করে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি করে আসছে একটি চক্র। এই ঘটনায় প্রতিনিয়ত চালকদের সাথে একটা দ্বন্দ্ব লেগেই থাকে। বিষয়গুলোকে কেন্দ্র করে নামধারী কিছু শ্রমিক নেতা ও চালকদের মাঝে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে প্রতিনিয়ত। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায় শতাধিক চালক ৮মে সোমবার উপজেলার নন্দীর বাজারে সংবাদ সম্মেলন করে তাদের চাঁদাবাজি বন্ধে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেন।

জানা যায়, শেরপুর জেলা অটো টেম্পু ও রিক্সা সিএনজি চালিত শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক আলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে শেরপুর-জামালপুর ব্রহ্মপুত্র নদের ব্রীজ থেকে জামালপুর জেলার বক্সীগঞ্জ, কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী, রাজিবপুর পর্যন্ত গাড়ি এখান থেকে চলাচল করে। কিন্তু এই রোডের চলাচলরত গাড়ি থেকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কথা বলে গাড়ি প্রতি ১৫ দিনের জন্য ১৬শ করে টাকা আদায় করে, বকসীগঞ্জ থেকে আসা প্রতি সিএনজি থেকে প্রতিদিন ৫০ টাকা করে আদায় করে, শেরপুর ব্রহ্মপুত্র ব্রীজের দক্ষিণাংশের সিএনজি থেকে ৪০ টাকা করে আদায় করে। এই নিয়ম যারা মানতে না চায় তাদের বিরুদ্ধে নেয়া হয় ব্যবস্থা। চাঁদা না দিলে গাড়ি স্টেন্ডে দাঁড়াতে দেয়না, শারীরিক ভাবে হেনস্তা করে আর প্রতিবাদ করলে নানা ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদান করে।

এ ব্যাপারে, শেরপুর জেলা অটো টেম্পু ও রিক্সা সিএনজি চালিত শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ওয়াজ কুরুনি বলেন, আমি নানা ভাবে এই চাঁদাবাজি বন্ধের চেষ্টা করেছি। কিন্তু সাধারন সম্পাদকের খামখেয়ালিপায় চাঁদাবাজি বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। দ্রুত সময়ের মধ্যে সংগঠন থেকে চাঁদাবাজ দূর করতে হবে।

এ ব্যাপারে আলাল উদ্দিন বলেন, শুধু মাত্র গাড়ীর সিরিয়াল ঠিক রাখার জন্য প্রতি গাড়ি থেকে ৩০টাকা করে নেয়া হয়। তবে আমার বিরুদ্ধে করা চাঁদাবাজির অভিযোগ সম্পূর্ন ভিত্তিহীন। ব্রহ্মপুত্র ব্রীজ এলাকায় স্ট্যান্ডকে কেন্দ্র করে দুইটি পক্ষ বিরাজমান। আমি আসলে গ্রুপিং এর শিকার। এছাড়াও কমিটিকে কেন্দ্র করে মামলা চলমান আছে বলেও তিনি জানান।

IT Amadersomaj