সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা না করার নির্দেশনা মানা হচ্ছেনা- আবুল বাশার 

লেখক: Amadersomaj
প্রকাশ: ১ বছর আগে


ডেস্ক রিপোর্ট॥ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা না করার নির্দেশনা মানা হচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল জার্নালিস্ট এন্ড হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এম এ বাশার।

তিনি বলেন, আইনমন্ত্রী এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে উচ্চ আদালত সম্প্রতি ৫৫ পৃষ্টার একটি রায় ও প্রদান করেন। হাইকোর্টের নির্দেশনা মানতে হবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, নির্দেশনা অনুযায়ী কোন সংবাদ প্রকাশ করায় সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি প্রেস কাউন্সিলে গিয়ে অভিযোগ করতে হবে। ৩৯ ধারায় গনমাধ্যমের স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। সাংবাদিকরা যে কোন স্হানে গিয়ে সংবাদ সংগ্রহ পূর্বক প্রকাশ করতে পারবেন। কেউ সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করতে পারবেন না। সাংবাদিকদের বিচার করার ইখতিয়ার একমাত্র প্রেস কাউন্সিলের, আদালত সাংবাদিকদের বিচার করতে পারে না। যদি কোন ফৌজদারি অপরাধ করে তবে তার জন্য আদালতে মামলা হবে।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল জার্নালিস্ট এন্ড হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আবুল বাশার বলেন, উক্ত নির্দেশনা কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে অহরহ মামলা হচ্ছে।

যদিও আইনমন্ত্রীর বক্তব্য সারাদেশে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে ৫৫টি মামলা হয়েছে। ভবিষ্যতে কোন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি, কিন্তু আইনমন্ত্রীর নির্দেশনা শতভাগ মানা হচ্ছেনা বলে মনে করেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান।

 

তিনি বলেন, আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিদের্শনা সত্ত্বেও মফস্বল সাংবাদিকরা হামলা ও মামলায় শিকার হচ্ছেন। রাষ্ট্রের কল্যাণ বয়ে আনতে হলে, দ্রুত গনমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত পূর্বক সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিতে হবে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার ও ভবিষ্যতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যাহাতে মামলা না হয়, তার যথার্থ ব্যবস্হা নিতে হবে।

সংবাদ প্রকাশ করা হলেই অপরাধীরা সাংবাদিকদের অকারণে নির্যাতন ও নিপীড়ন করে। বস্তুনিষ্ট সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা দায়ের করা হয়। যাহা সাংবাদিকতাকে বাকরুদ্ধ করায় শামিল বলে মনে করেন আবুল বাশার।

তিনি বলেন, সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের পর যদি কোন ষড়যন্ত্রমুলক সংবাদ প্রকাশ করা হয়, তাহলে মানহানি মামলা করতে পারবে। কিন্তু বাস্তবে এখন সাংবাদিকরা কোন ধরনের সংবাদ প্রকাশের স্বাধীনতা পাচ্ছে না।সমাজের সকল স্তরের অসংগতি দূরীকরণ ও সকল অপরাধীকে চিহ্নিতকরণ এবং নির্মূল করাই সাংবাদিকদের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার ও আইনটি বাতিল করতে হবে। সাংবাদিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে মুক্ত স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।সাংবাদিকদের উপর হামলা হলে সাংবাদিকদের চিকিৎসার দায়ভার রাষ্ট্রের বহন করতে হবে।

তিনি সাংবাদিক নাদিম সহ সকল হামলার শিকারে মৃত্যু বরন কারী সকল সাংবাদিক এর পরিবারের ভরনপোষণ ও ক্ষয়-ক্ষতি রাষ্ট্রকে বহন করতে হবে বলে দাবী জানান।

তিনি আরও বলেন, মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ও সকল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।সাংবাদিকদের আবাসন সুচিকিৎসার জন্য জন্য সাংবাদিক হাসপাতাল নির্মাণ করতে হবে।

সংগঠনটির চেয়ারম্যান আবুল বাশার বলেন, দেশের একমাত্র পেশায় বিনা বেতনে বেশির ভাগ সাংবাদিক তার সবকিছু বিসর্জন দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করেন।সাংবাদিকদের বিনা সুদে বা অল্প সুদে ঋণের ব্যাবস্থা করতে হবে। আমাদের দাবি মানতে হবে কারন আমাদের দাবি যৌক্তিক ও বাস্তব। তাই বলছি সকল সাংবাদিক সংগঠন গুলো একটি কাঠামো তৈরি করে আমাদের দাবি আদায় করতে আন্দোলন গড়ে তুলি। দেশের নীতি নির্ধারকের কাছে আমাদে দাবি দাওয়া পেশ করি নিজেদের মধ্যে হিংসা বিদ্বেষ ভুলে কাঁধে কাঁধ রেখে সাংবাদিকদের উন্নয়নে সহযোগিতা করি।

IT Amadersomaj