সুদে কারবারির হাত থেকে বাঁচতে সংবাদ সম্মেলন

লেখক: Amadersomaj
প্রকাশ: ১ বছর আগে


নিজস্ব প্রতিবেদক বাবলু মিয়া॥ ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে চিহৃিত সুদে ব্যবসায়ী বাকেরুজ্জামানের খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত আলমগীর হোসেন নামে এক ভুক্তভোগী।

(১৫ ই-মে) সোমবার দুপুর ২ টার সময় কোটচাঁদপুর মডেল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে পৌর শহরের ২নং ওয়ার্ডের মোঃ জাফর আলীর ছেলে আলমগীর হোসেন লিখিত অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করে বলেন,কোটচাঁদপুর মেইন বাসস্ট্যান্ডে আমার মোটরসাইকেল শৌ-রুম ছিলো। পৌর শহরের ২নং ওয়ার্ডের কাজী পাড়ার মৃত মুসা আলী সরকারের ছেলে বাকেরুজ্জামান একজন সুদে ব্যবসায়ী। বিভিন্ন লোকের টাকা দিয়ে মাসোয়ারা সুদের ব্যবসা করে। আমি ২০১২ সালে আমার ব্যবসায়ীক কাজের জন্য নগদ টাকা প্রয়োজন হলে আমার স্বাক্ষরিত সাদা ১ টি চেকের পাতা জমা রেখে বাকেরুজ্জামানের কাছ থেকে ১ লাখ ৫০,০০০ হাজার টাকা নিই। প্রতি মাসে লাখ প্রতি ৭ হাজার ৫ শত টাকা হারে মাসোয়ারা দিয়েছি। টাকা গ্রহন করার পর থেকে ৫ বছরে আমি বাকেরুজ্জামান কে সুদের টাকাসহ ৬ লাখ টাকা পরিশোধ করি। টাকা পরিশোধ করার পরও বাকেরুজ্জামান আমার গচ্ছিত সাদা চেক ফেরত না দিয়ে উল্টো আরো টাকা দাবী করে। আমার স্বাক্ষরিত ফাঁকা চেকে নিজের মতো ৫ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা লিখে মামলা দায়ের করেন। যার নং কোট সি আর ৩২৯/২২ এসসি ১৬৫/২৩ আইনের ১৩৮ ধারা।এই মামলায় আমি বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিনে আসার পর থেকে বাকেরুজ্জামান একের পর এক প্রাণ নাশের হুমকি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে বাকেরুজ্জামানের ভয়ে বাড়ি ঘর ছেড়ে ঢাকাতে গিয়ে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ নিয়ে কোন রকম জীবন যাপন করছি। শুধু তাই নয় আমার ওয়ার্ডের সাইদুর রহমান মিলন ও তার স্ত্রীর স্বাক্ষরিত সাদা চেকে ৯ লাখ ৫০,০০০ হাজার ও ৭ লাখ ৩০,০০০ হাজর টাকা লিখে বিজ্ঞ আদালতে তাদের স্বামী-স্ত্রীর নামেও ২টি চেকের মামলা করে। যাহার মামলা নং-৭৫/২১ ও ৭৬/২১,ধারা-এনআই এ্যাষ্টের ১৩৮। প্রাণ নাশের কথা শোনার পর জন্মদাতা পিতা দেড় বছর আগে মৃত্যু বরণ করায় তারা স্ব-পরিবারে পিতাকে দেখার জন্য ঢাকা থেকে বাড়ীতে যেয়ে পিতার দাফনে শরিক হয়। পিতার দাফন কাফনের পরের দিন সন্ধ্যায় বাকেরুজ্জামান আরও কিছু সুদেকারীদের নিয়ে তাদের গ্রামের বাড়ীতে এসে ১১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দাবী করে। এবং বলে টাকা না দিলে তাদের স্বামী স্ত্রীকে তুলে নিয়ে খুন জখম করবে বলে চাপসৃষ্টিও করে। তখন আশপাশ থেকে লোকজন ছুটে এলে ৩ দিনের মধ্যে টাকা না দিলে তাদের তুলে নিয়ে খুন করে লাশ গুম করবে বলে হুমকি দিয়ে যায়। ঐ দিন রাতেই তারা বাড়ী থেকে আবার ঢাকাতে পালিয়ে যায়। ঢাকাতে অতিকষ্টের সাথে দিন কাটাচ্ছেন তারা তাঁর উপর মিথ্যা মামলায় হয়রানি ।

এই সুদে ব্যবসায়ীর ভয়ে আমরা গ্রামের বাড়ীতে যেতে সাহস পাচ্ছেনা। আমরা সুদখোরের হাত থেকে বাঁচতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

IT Amadersomaj