সোলার প্যানেল তৈরীর অজুহাতে এক রাতেই তিস্তা চরের হাজার একর জমির মালিক

লেখক: Amadersomaj
প্রকাশ: ১ বছর আগে


মোঃ আনোয়ার হোসেন, (ডিমলা) নীলফামারী: নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তার চর মিথ্যা সোলার প্যানেল তৈরীর অজুহাত দেখিয়ে স্বাক্ষর নিয়ে ১হাজার ৩৯ একর জমির মালিক হয়েছেন রংপুরের সফিয়ার রহমান ও মেহেদী হাসান।

ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নে ছাতুনামায় তিস্তা নদীতে চর জেগে উঠলে সেখানে নদী ভাঙা প্রায় ২ হাজার পরিবার বসতি স্হাপন করে। কিন্তু উক্ত চর নিয়ে মহা ধুম্রজাল সৃষ্টি করে রংপুরের তারাগন্জ ও পীরগন্জ এলাকার সফিয়ার রহমান ও মেহেদী হাসান।

তারা উভয়ে তিস্তার চরের জমি দখলে নেয়ার পরিকল্পনা তৈরি করে এবং চরে সোলার প্যানেল তৈরি করে চরের মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে বলে চরের লোকজনকে ফুসলাইতে থাকে সফিয়ার রহমান ও মেহেদী হাসান। এরই প্রেক্ষিতে চরবাসূীরা কিছু না বুঝেই আমমোক্তার নামা বা পাওয়ার অব এ্যাটর্নির নামে স্বাক্ষর দেন।

এরপর সফিয়ার রহমান ও মেহেদী হাসান।

এই জমির বর্তমান মুল্য প্রায় ১শত কোটি টাকা।

তিস্তার চরের ২ হাজার পরিবার এখন জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে। পুরো তিস্তার চরের মালিক এখন সফিয়ার ও মেহেদী হাসান।

তিস্তার চরের জমি বেহাত করার ঘটনাটি ঘটেছে গত ২২জুন। ভুক্তভোগীরা প্রতারনার বিষয়টি জানতে পারেন আগষ্ট মাসের শেষ সপ্তাহে। এরপর জমির মালিকরা কোন উপায়ান্তর না পেয়ে তারা ঘটনার বিষয়ে স্হানীয় নেতৃবৃন্দসহ উপজেলা ও জেলা প্রশাসনে অভিযোগ দাখিল করেছে বলে জানা যায়।

এতে সহায়তা করেছে ডিমলা সাবরেজিস্টার অফিসের দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মতিউর রহমান চৌধুরী। ৫টি দলিলের মাধ্যমে জমির মালিকানা নির্ধারণ করা হয়। দলিল গুলি সম্পাদন করেন ডিমলা উপজেলার সাবরেজিস্টার মনিষা রায়।তার নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান নিয়ম অনুযায়ী তিনি দলিল সম্পাদন করেছেন।

দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মতিউর রহমান চৌধুরী জানান, জমির কাগজ দেখে সাবরেজিস্টার স্বাক্ষর করেছেন।



Source link

IT Amadersomaj