হাইকোর্ট ও নিম্ন আদালতের চোখ ফাঁকি দিত সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র, ফাঁকি দিতে পারেনি পিবিআই’কে

লেখক: Amadersomaj
প্রকাশ: ১ বছর আগে


মীর দিনার হোসেন॥ মহামান্য হাইকোর্ট ও নিম্ন আদালতের চোখ ফাঁকি দিয়ে  সংঘবদ্ধ একটি প্রতারক চক্র দীর্ঘদিন ধরে জামিন করে বেড়াত কিন্তু ফাঁকি দিতে পারেনি পিবিআই’র চোখ, ঠিক এমনই এক সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই, রংপুর।

পিবিআই রংপুরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, আবুল হোসেন মুহুরী (৪০), পিতা—মৃতঃ আজগর আলী, মাতা—মোছাঃ আয়েশা সিদ্দিকা, সাং—রাজবল্লব, থানা—পীরগাছা, জেলা—রংপুর গত ২৩/০৩/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ মহামান্য হাইকোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবি আল আমিন এর সহকারী মোঃ ওয়াহেদুজ্জামান এর সাথে যোগাযোগ করে বদরগঞ্জ থানার মামলা নং—০৮, তারিখ—০৮/০১/২০২২ খ্রিঃ, ধারা—২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১(ক)/৩০ এর কারাগারে আটককৃত প্রধান আসামী আব্দুল মুনিমকে হাইকোর্ট থেকে জামিন করানোর স্বার্থে সংশ্লিষ্ট মামলার এজাহার, বাদীর অভিযোগ, সুরতহাল রিপোর্ট, ভিসেরা রিপোর্ট, আসামী ফরোয়ার্ডিং, বিজ্ঞ আদালতের ক্রিমিনাল মিস কেস নং—৯৯/২০২৩ জাল করে জামিনের আবেদন এর লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র প্রেরণ করে। বিজ্ঞ আইনজীবি সেই অনুযায়ী হাইকোর্ট থেকে উক্ত আসামীর জামিনে ব্যবস্থা করে দেন।

কিন্তু পরবর্তীতে উক্ত মুহুরী কতৃর্ক দাখিলকৃত সমস্ত কাগজপত্র জাল, ভুয়া এবং সৃজনকৃত মর্মে হাইকোর্টের নজরে আসলে আসামী আব্দুল মুনিম এর জামিন বাতিল পূর্বক ডিএমপি শাহবাগ থানার মামলা নং—১৪/২৩ তারিখ—১৬/০৮/২০২৩ ইং ধারা—৪২০/৪৬৫/৪৬৭/৪৭১/১০৯ পেনাল কোড রুজু করে মহামান্য হাইকোর্ট মামলাটি পিবিআই, রংপুরকে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন। উল্লেখ্য যে, একই অপরাধের জন্য আসামী আবুল হোসেন মুহুরীর বিরুদ্ধে শাহবাগ থানার মামলা নং—১৮ ও ১৯, তারিখ—১৩/০৬/২০২৩ ইং (জিআর নং—২৩১/২০২৩ ও ২৩২/২০২৩), ধারা—৪২০/৪৬৫/৪৬৭/৪৭১/১০৯ পেনাল কোড পৃথক দুইটি মামলা রুজু হয়। মামলা দুইটি তদন্তাধীন রয়েছে।

মামলাটি প্রাপ্তি সাপেক্ষে ইন্সপেক্টর ফেরদৌস আহমেদ এর উপর তদন্তভার অর্পণ করা হলে পিবিআই, রংপুর এর একটি চৌকস টিম অভিযান পরিচালনা করে অদ্য ২৩/০৮/২০২৩ইং তারিখে ভোর ০৫:১০ ঘটিকায় ধনির বাজারে হইতে আত্নগোপনে থাকা অবস্থায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।

পরবর্তীতে আসামী আবুল হোসেন এর স্বীকারোক্তি ও সনাক্তমতে তদন্তে প্রাপ্ত অপর আসামী মোঃ মোক্তার আলীকে সাতদরগা বাজার হইতে অদ্য ২৩/০৮/২৩ ইং সকাল ১১:৩০ ঘটিকায় গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতের কাজগপত্র জালিয়াতির কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটার, স্ক্যানার ও প্রিন্টারসহ অন্যান্য মালামাল জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় উক্ত জাল জালিয়াতি চক্রের সদস্য মোক্তার হোসেন এর সহায়তায় আবুল হোসেন মুহুরী দীর্ঘদিন যাবত এ সমস্ত জাল—জালিয়াতির কর্মকান্ড করে আসছে। জাল—জালিয়াতির সংঘবদ্ধ চক্রের সকল সদস্যদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে বলে জানা গেছে।



Source link

IT Amadersomaj