[ad_1]
ভাবতেই অবাক লাগে SuperSu ডিসকন্টিনিউ হওয়ার ৫ বছর পেরিয়ে গেছে! ২০১৮ সালে শেষ রিলিজের পর ম্যাজিস্ক তার যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে যাত্রা শুরু করে।
SuperSu, Magisk, Kingroot এগুলো সব রুট পারমিশন ম্যানেজ করার অ্যাপ। মানে ডিভাইসে কোন অ্যাপস রুট পারমিশন নিচ্ছে, কোন অ্যাপস থেকে রুট হাইড করে রাখা দরকার, কিংবা রুট দিয়ে এক্সট্রা ফাংশনালিটি অ্যাডের ব্যাপার স্যাপারগুলো এসব অ্যাপস তদারকি করে। এক কথায় ইউজারকে সুপার পাওয়ার দেয় এরা।
ম্যাজিস্ক ওপেন সোর্স, ক্লিন, মডার্ন ইন্টারফেস যুক্ত একটি টুল যা সুপার ইউজার পারমিশন দেয়া থেকেও অনেক বেশি কিছু করতে পারে। ম্যাজিস্ক ছাড়া তো আজকাল চলেই না!
মডিউলসেই তো ম্যাজিস্কের আসল খেলা! ম্যাজিস্ক কোনো সিস্টেম ফাইলকে সরাসরি মডিফাই/ওভাররাইট না করে বিভিন্ন মডস অ্যাপ্লাই করে। তাই সিস্টেম ব্রেক করার সুযোগ কম। ম্যাজিস্ক আনইনস্টল করলে ফোন স্টক সেটিংসে ব্যাক করে কোনো ঝামেলা ছাড়াই। ম্যাজিস্ক ওপেন সোর্স প্রজেক্ট, তাই যেকেউ চাইলেই এখানে কন্ট্রিবিউট করতে পারে, নিজের মত বিভিন্ন মডিউলস বানাতে পারে।
Magisk module মূলত ডিভাইসে এক্সট্রা ফাংশনালিটি অ্যাডের ব্যবস্থা। পছন্দমতো মডিউল দিয়ে প্রায় সবকিছুই করা যায়, ব্লোটওয়্যার রিমুভ থেকে শুরু করে ফন্টস, আইকন চেঞ্জ – সব একজায়গা থেকেই। এমনই কিছু কুল মডিউলস নিয়ে আজকের আলোচনা।
কাঙ্ক্ষিত মডিউলসটি আগে ডাউনলোড করতে হবে। তারপর মডিউলস সেকশনে Install from storage থেকে জিপ ফাইলটি সিলেক্ট করে ইনস্টলের পর একটা রিবুট দিলেই কাজ শেষ। একইভাবে মডিউলস সেকশনে যেকোনো মডিউলসে Remove বাটনে ক্লিক করে আনইনস্টল সম্ভব। একসময় ম্যাজিস্ক থেকেই সুবিধাজনকভাবে মডিউলস সার্চ করা গেলেও নির্মাতার ভাষ্যমতেঃ
অনেক আগে থেকেই উনি মডিউলস রিপোজিটরি সরানোর মতলবে ছিলেন। কারন আজেবাজে মডিউলস মডারেট করার মত পর্যাপ্ত সময় ও শ্রম উনার নেই।
যদিও এটার ব্যবস্থা ট্রিকবিডিতে আরেক লেখক করে রেখেছেন তাই চিন্তার কিছু নেই, জাস্ট একটা মডিফাইড ম্যাজিস্ক ভার্শন ইউজ করলেই হবে। অবশ্যই অজানা সোর্স থেকে মডিউলস ইনস্টলের সময় একটু সতর্ক থাকবেন, বিকল্প কোনো মডিউলস পান কিনা একটু চেক দিবেন তাহলেই নিরাপত্তার নূন্যতম নিশ্চিত হবে।
যাই হোক। রুটের ব্যাপারগুলো একটু অ্যাডভান্সড, কিন্তু বুঝে শুনে করলে প্যারা কম।
যদি পছন্দের কোনো অ্যাপসকে সিস্টেম অ্যাপস বানাতে চান, তাহলে এই মডিউল আপনার জন্য। এটা সিস্টেম পার্টিশন মডিফাই না করেই যেকোনো থার্ড পার্টি অ্যাপসকে সিস্টেম অ্যাপে রূপান্তর করে। ফলে সিস্টেম পার্টিশন অক্ষত থাকে, আর অ্যাপসও সিস্টেমের অংশ হয়ে যায়, ওটাকে আর আনইনস্টল করা যায় না। মানে সাপও মরল, লাঠিও ভাঙ্গলো না 🐍
[embed]https://www.youtube.com/watch?v=2ZCh_GVt2BE[/embed]
যেকোনো অ্যাপকে সিস্টেম অ্যাপস বানানো দারুন ব্যাপার, কিন্তু যদি তার উল্টোটা লাগে? মানে আজাইরা কোনো সিস্টেম অ্যাপসকে হটানো? সেই ম্যাজিকও ম্যাজিস্কে আছে।
একই ডেভেলপারের তৈরী ডিব্লোটার মডিউল সহজে ও নিরাপদে সিস্টেম অ্যাপকে রিমুভ করবে। এটাও টার্মিনাল বেসড মডিউল, কমান্ড লাইন ইউজ করে তবে ইন্টারফেসটা ক্লিন।
[embed]https://www.youtube.com/watch?v=VKBdxR373ZM[/embed]
এমনি প্লে স্টোর থেকে অটো আপডেট অফ রাখা যায়, কিন্তু ওটা সব অ্যাপের আপডেট অফ রাখে। হয়তো একটা অ্যাপের আপডেট আপনার ভালো লাগেনি বা নতুন ভার্শনে গোলমাল আছে তাই পুরাতন ভার্শনেই থাকতে চান। কিন্তু প্লে স্টোর তো বারবার সব অ্যাপ অটো আপডেট করে ফেলে। তাহলে উপায়?
এর ব্যবস্থা করেছে ডিট্যাচ। এই মডিউল প্লে স্টোর থেকে কাঙ্ক্ষিত অ্যাপকে ডিট্যাচ – অর্থাৎ বিচ্ছিন্ন করে দিবে। ফলে প্লে স্টোরে Apps and features সেকশনে ঐ অ্যাপটি দেখাবে না আর আপডেটও হবে না।
মাঝে মাঝে দেখা যায়, প্লে স্টোরের কিছু অ্যাপস ফোনে ইনস্টল করা যায় না কারন এগুলোর ডিভাইস সাপোর্ট নেই।
যদিও অনেক পপুলার অ্যাপের পোর্টস মডাররা করে থাকে কিন্তু সরাসরি প্লে স্টোর থেকেই ডাউনলোড করা গেলে কেমন হতো? xmlpak মডিউলটি বানানো হয়েছে সে উদ্দেশ্যেই। ভেন্ডর স্পেসিফিক অ্যাপসগুলো আনলক করা যায় এটা দিয়ে।
যেমন স্যামসাং নোটস অ্যাপটা আমার অনেক পছন্দ, কিন্তু অন্য ফোনে ইউজ করা যায় না। xmlpak দিয়ে সহজেই এটা অন্য ফোনে ইনস্টল করা যাবে। স্যামসাংয়ের ফাইল ম্যানেজার, সনির লাউঞ্চার, গুগলের জিক্যাম, মটোরোলা ক্লক উইজেট, হুয়াইয়ের গ্যালারী অ্যাপ প্রায় সবই চালানোর একটা সম্ভাবনা আছে।
নোটঃ সবসময় যে সব অ্যাপস কাজ করবে তা গ্যারান্টিড না। কারন অনেক অ্যাপস নির্দিষ্ট ফোনের পেছনে লক করে দেয় তাই অন্য ডিভাইসে ওগুলো ইনস্টল হয় না, হলেও ক্র্যাশ করে।
আধুনিক মোবাইল চিপসেট অনেক পাওয়ারফুল পারফরমেন্স দেয়। গেমসও অনেক ডিমান্ডিং হয়ে গেছে, হাই গ্রাফিক্সে খেলতে ভালো একটা ডিভাইস দরকার পড়ে। কিন্তু হাতে থাকা বর্তমান ফোনটাকেই যদি আরেকটু পুশ করে এক্সট্রা কিছু FPS পাওয়া যেত, তাহলে কেমন হয়?
পিসিতে তো ওভারক্লক করার অনেক ইউটিলিটি আছে, কিন্তু অ্যান্ড্রয়েড রুটিংও পিছিয়ে নেই। GPU Turbo Boost স্ন্যাপড্রাগন ফোনের জিপিউ পাওয়ার ৭৫% পর্যন্ত বাড়াতে সক্ষম, যা আপনাকে দিতে পারে একটি ল্যাগ ফ্রী গেমিং এক্সপেরিয়েন্স।
নোটঃ একটাই সমস্যা, এটা শুধু স্ন্যাপড্রাগন বেজড ফোনের জন্য। অন্য চিপসেটে কাজ করতেও পারে, কিন্তু সেটা গ্যারান্টিড না।
এই ছিল আজকের মত ৫টি magisk module. ভবিষ্যতে আরো চমৎকার কিছু মডিউল নিয়ে হাজির হওয়ার চেষ্টা রাখবো। উল্লিখিত কোন মডিউলস আপনি ইউজ করেন কিনা, বা আপনার কোনো পছন্দের মডিউল থাকলে কমেন্টে জানাতে পারেন।
Keep rooting! 🌳
[ad_2]
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ শেখ কামালউদ্দিন স্মরণ
নির্বাহী সম্পাদক : মোহাম্মদ শেখ শাহিনুর রহমান
সোহরাওয়ার্দী এভিনিউ বারিধারা ঢাকা 1212
অফিসঃ 09638152617 │বিজ্ঞাপনঃ 01701884405│বিজ্ঞাপনঃ 01701884405
ইমেইল : info@amadersomaj.com│ওয়েবসাইট : amadersomaj.com
স্বত্ব ©২০২৪ আমাদের সমাজ