বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৩০ পূর্বাহ্ন

চিলমারীর বাঁধবাসী: উচ্ছেদই যখন আইন

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময়: শনিবার, ৭ জুলাই, ২০১৮
  • ৫৪৫ টাইম ভিউ

১৯৮৮ সালের মহাপ্লাবনের পরেও যাঁরা জন্মেছেন, তাঁরাও বিলক্ষণ জানেন কী ভয়াবহ বন্যা ছিল সেটা। কমবেশি প্রায় ছয় সপ্তাহ ডুবেছিল সারা দেশ। বিমানবন্দর সেনানিবাস—কিছুই শুকনো ছিল না সেবার। তারপর অনেকগুলো দশক পেরিয়ে গেছে। ৮৮’র বন্যাকে স্মরণ করে রাখার জন্য সে সময় জন্ম নেওয়া শিশুর নাম অনেকেই বন্যা বা প্লাবন রেখেছিলেন। সেসব বন্যা আর প্লাবন নামের অনেকেই বড় বড় পাস দিয়ে এখন দেশে-বিদেশে কাজ করছেন। পরিবর্তন এসেছে জীবনযাপন, ব্যয়, ভোগ, উদ্‌যাপনের রীতিনীতিতে। এককথায় ৮৮’র বাংলাদেশ হারিয়ে গেছে। আমাদের উন্নয়ন আর উন্নতির জলে বদলেছে অনেক কিছু, শুধু বদলায়নি কুড়িগ্রাম, জামালপুর, গাইবান্ধাসহ বিভিন্ন নদীসংলগ্ন জনপদের প্রান্তিক মানুষদের ভাগ্য। এঁদের অনেকেই সেই ভয়াবহ বন্যায় আর এর পরের নদীভাঙনের শিকার হয়ে ভাসতে ভাসতে বিভিন্ন বাঁধে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন। খেটে খাওয়া নিঃস্ব এসব মানুষের ঢাকায় চলে আসারও সাহস হয়নি।

গ্রামগঞ্জে-চরে খেটে, এনজিওদের কিস্তি টেনে কোনোমতে বেঁচে আছে তারা। এবার উন্নয়নের ঝাপটা তাদের এক অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে। বাঁধের ওপর সাজানো সংসার, মাচাভরা শিম, লাউ, গরু-ছাগল আর মুরগির বাক্স নিয়ে তাদের চলে যেতে বলেছে প্রশাসন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তারা নোটিশও ঝুলিয়ে দিয়েছে। উচ্ছেদে কোথায় যাবে তারা? উন্নয়নের ছোবলে ছোবলে নীল হয়ে যাওয়া এসব মানুষের কাছে কোনো উত্তর নেই।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
স্বত্ব © ২০২৫ আমাদের সমাজ |