প্রধানমন্ত্রীর নামের কলেজ জেলায় খ্যাতি অর্জন !

লেখক: Amadersomaj
প্রকাশ: ১ বছর আগে


রতন দে,মাদারীপুর প্রতিনিধি॥ একজন শিক্ষা উদ্যোক্তা হিসেবে সৈয়দ আবুল হোসেনের নাম শুধু মাদারীপুর জেলা জুড়েই নয়। শিক্ষাক্ষেত্রে তার অবদান জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। স্বাধীন বাংলাদেশ তার এ স্বীকৃতি অনেকের কাছে রূপ কথার গল্পের মতোই মনে হয়। শৈশবে নিজ এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাবে অনেক ছেলেমেয়ের পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যেতে দেখেছেন তিনি। সেকালের পড়ালেখার সেই দুরবস্তা এখনো নাড়া দেয় সৈয়দ আবুল হোসেনকে। সেই থেকে স্বপ্ন দেখতেন দেশে শিক্ষা প্রসারের জন্য অবদান রাখতে। সেই আলোকে কাজও করেছেন গত অর্ধ শতাব্দী।

বলা যায়, শিক্ষা বিস্তারে দেশে যারা কাজ করেছেন সৈয়দ আবুল হোসেন তাদের মধ্যে অন্যতম। গুণী এই মানুষটি লেখাপড়া শেষে কর্মজীবনের শুরু থেকেই কাজ শুরু করেন শিক্ষা বিস্তারে। নিজস্ব অর্থায়নে নিজ এলাকা মাদারীপুরে ৬টি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। এর মধ্যে ৪টি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ। প্রতিষ্ঠা করেন অসংখ্য মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ ১৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। পরে সরকারিকরণ করা হয় ওইসব স্কুল। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সুনাম কুড়িয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নামে প্রতিষ্ঠা করা সরকারি শেখ হাসিনা একাডেমী অ্যান্ড উইমেন্স কলেজ ও তার বাবার নামে করা ডি. কে আইডিয়াল সৈয়দ আতাহার আলী একাডেমী এন্ড কলেজ। যা সৈয়দ আবুল হোসেনের বাড়ি সংলগ্ন ও তার প্রিয় দুটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটিকে সাফল্যের দ্বারে পৌছে দিতে তার ছিল যোগ্যতা সম্পন্ন অধ্যক্ষ নির্বাচন। যা তিনি সঠিকভাবে করতে পেরেছেন বলেই সফলতার মুখ দেখেছে প্রতিষ্ঠান দুটি।

তার মধ্যে শেখ হাসিনা একাডেমী অ্যান্ড উইমেন্স কলেজটি সরকারী করন করা হয় গুনের বিচারে। সরকারী শেখ হাসিনা একাডেমি অ্যান্ড উইমেন্স কলেজের অধ্যক্ষ জাকিয়া সুলতানার নেতৃত্বে ও সৈয়দ আবুল হোসেনের দিক নির্দেশনায় কলেজটি জেলার অন্যতম বিদ্যাপিঠে পরিনত হয়েছে।

স্থানীয় সচেতন মহল ও শিক্ষানুরাগীরা মনে করেন যোগ্য শিক্ষা উদ্যোক্তা ও যোগ্য অধ্যক্ষের কারনেই ডাসার এলাকার শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই নয় সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অবহেলিত মানুষের জন্য কাজ করছেন অবিরত। যে কারনে তার পরিচিতির গন্ডি দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও পৌছে গেছে। যে কারনে স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ‘ক্যাম্পাস সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্র’ তাকে ‘যুগশ্রেষ্ঠ শিক্ষা উদ্যোক্তা স্বর্ণপদক ও সম্মাননা’র বিরল স্বীকৃতিতে ভূষিত করেন সৈয়দ আবুল হোসেনকে।

শিক্ষা প্রসারের পাশাপাশি দুর্যোগ কবলিত ও দুস্থ মানুষের পাশে থাকেন সৈয়দ আবুল হোসেন। এসব দুর্যোগে নগদ টাকা, জমিসহ নানা সাহায্য-সহযোগিতা করায় দানবীর হিসেবেও খ্যাত সৈয়দ আবুল হোসেন। লেখালেখিতেও অভ্যাস আছে তার। নানা বিষয়ে লিখেছেন বেশ কিছু বই।

এ ছাড়া দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে তার রাজনৈতিক পথচলা দীর্ঘদিনের। দলের হয়ে জনগনের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। দুই বার তাকে মন্ত্রিত্ব দেয়া হয়। দীর্ঘ সময় ধরে রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে সুনাম কুড়িয়েছেন। তিনি যোগযোগ মন্ত্রী থাকাকালে বাংলার মানুষের বড় স্বপ্ন পদ্মাসেতুর কাজে হাত দেয়া হয়। কিন্তু একটি চক্রান্তের কারনে তাকে সরে যেতে হয়।

তবে পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে সৈয়দ আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে যে কথিত অভিযোগ উঠেছে কানাডার আদালতে তা অসত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। তবুও এই গুণী মানুষটিকে তার উপযুক্ত মর্যাদা দেওয়া হয়নি বলে দুঃখ প্রকাশ করেন দেশ বরেণ্য ব্যক্তিরা।

মাদারীপুরের নব গঠিত একটি উপজেলার নাম ডাসার । সাবেক যোগযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ডাসার গ্রামের সন্তান হওয়ায় সেখানে তার উদ্যোগে গড়ে উঠেছে অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন স্থাপনা। জেলায় তার প্রতিষ্ঠিত স্কুল ও কলেজগুলো সুনামের সাথে ভাল ফলাফল করে আসছে প্রতি বছরই।

তার মধ্যে অন্যতম সরকারি শেখ হাসিনা একাডেমী অ্যান্ড উইমেন্স কলেজ ও ডি. কে আইডিয়াল সৈয়দ আতাহার আলী একাডেমী এন্ড কলেজ। যা সৈয়দ আবুল হোসেনের বাড়ি সংলগ্ন ও তার প্রিয় দুটি প্রতিষ্ঠান।

দক্ষিণবঙ্গের নারী শিক্ষার অনন্য বিদ্যাপীঠ হিসেবে সুনাম রয়েছে সরকারি শেখ হাসিনা একাডেমী এন্ড উইমেন্স কলেজের। ১৯৯৫ সালে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।

তবে ২০০১ সালে পাঠদানের মধ্য দিয়ে এর যাত্রা শুরু হয়। গ্রামের অবহেলিত, পিছিয়ে পড়া নারীদের শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।

কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা যুগ শ্রেষ্ঠ শিক্ষা উদ্যোক্তা এবং সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন। তার প্রতিষ্ঠিত কলেজের মধ্যে ডাসারে ডি.কে আইডিয়াল সৈয়দ আতাহার আলী একাডেমী এন্ড কলেজটি ও স্বমহিমায় উদ্ভাসিত।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নামে প্রতিষ্ঠিত সরকারি শেখ হাসিনা একাডেমী এন্ড উইমেন্স কলেজে বর্তমানে তিন হাজরের অধিক ছাত্রী অধ্যয়নরত।

এখানে উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক পাস,ও স্নাতক সন্মান শ্রেণি রয়েছে। কলেজটিকে বর্তমান অবস্থানে পৌছে দিতে প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ আবুল হোসেনের পরে যার অবদান উল্লেখযোগ্য তিনি হলেন কলেজটির অধ্যক্ষ জাকিয়া সুলতানা ।

অধ্যক্ষ জাকিয়া সুলতানা সরকারি শেখ হাসিন একাডেমী এন্ড উইমেন্স কলেজে যোগদান করেন ২০১১ সালের মার্চ মাসের ১ তারিখে। যোগদান করেই তিনি হোস্টেলে ছাত্রীদের এবং অনাবাসিক ছাত্রীদের হাতে মোবাইল সম্পুর্নরূপে নিষিদ্ধ করেন। পাশাপাশি পরীক্ষায় অকৃতকার্য ছাত্রীদের তিনি আলাদা মনিটরিং এর ব্যবস্থা করেন। ফলে ২০১১ সালেই পাসের হার হয় শতভাগ। ২০১১ সাল থেকে পনেরো সাল পর্যন্তএ ধারা অব্যাহত থাকে এবং ২১ সাল পর্যন্ত কখনোই পাশের হার ৯৮ এর নিচে নামেনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৬ সাল থেকে ধারাবাহিক পাঁচ বছর কলেজ টি মাদারীপুর জেলায় শ্রেষ্ঠ কলেজ ও শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষের খেতাব অর্জন করে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড অঞ্চলে কলেজটি দুইবার শ্রেষ্ঠ কলেজের খ্যাতি অর্জন করে। মহামান্য রাষ্ট্রপতির উপস্থিতিতে ২০১৮ সালের রোভার মুট প্রোগ্রাম গাজীপুরে মহা তাবু জলসায় বাংলাদেশের সকল কলেজের মধ্যে কলেজটি দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে।

IT Amadersomaj