ঈদগাঁওতে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের অবিলম্বে প্রত্যাবাসনের দাবী 

লেখক: Amadersomaj
প্রকাশ: ১ বছর আগে


স্টাফ রিপোর্টার॥ কক্সবাজারসহ ঈদগাঁওয়ের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে আশ্রয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের শনাক্ত পূর্বক ক্যাম্পে পাঠানোসহ প্রত্যাবাসনের দাবী উঠেছে। এমনকি তারা বিভিন্ন এলাকায় পূর্ব পরিচিত, নিকট আত্মীয় স্বজন বা ভাড়া বাসায় অবস্থান করছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, নাফ নদী পাড়ি দিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের বিষয়ে সিদ্বান্ত নেয়া জরুরী বটে। আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড সংগঠিত করে যাচ্ছে একের পর এক । উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন থেকে রোহিঙ্গাদের শনাক্ত করে ক্যাম্পে প্রেরন পরবর্তী প্রত্যাবাসনের দাবী। প্রশাসন যদি রোহিঙ্গাদের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেন, তাহলে এদের সরানো সম্ভব।

জানা যায়, ঈদগাঁওর বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় নানা ভাবে আশ্রয় নিল ওপার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা। উপজেলার আওতাধীন বিভিন্ন ইউনিয়নে নানা স্থানে তারা কৌশলে বসবাস করছে। গ্রামাঞ্চল থেকে তাদেরকে সনাক্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন এখন সময়ের গণদাবীতে পরিণত।

সম্প্রতি টেকনাফে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী কর্তৃক কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ ইউপির মোহাম্মদ ইউছুপ, চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের রুবেল, কক্সবাজার শহরের ইমরানসহ তিন যুবককে অপহরণ করে নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদে এবং জেলাবাসীর জানমাল রক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করলো সামাজিক সংগঠন আমরা কক্সবাজারবাসী। সে সাথে “হঠাও রোহিঙ্গা, বাঁচাও কক্সবাজার” শ্লোগানে জেলাব্যাপী ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের গ্রেফতার পূর্বক অবিলম্বে প্রত্যাবাসন করার দাবী জানান সামাজিক প্লাটর্ফম ঈদগাঁও ঐক্য পরিবার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদী আওয়াজ তুলেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।

এদিকে চুনতি মহিলা মাদ্রাসার সহযোগী অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমদ মুহসিন জানান, রোহিঙ্গা চক্ররা নানান ধরনের অপরাদ অপকর্মসহ এলাকার পরিবেশে নষ্ট করে যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সরুপ যেকোন ভাবে স্বদেশ প্রত্যাবাসন করা হউক।

পোকখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিউল আলম শফি জানান, রোহিঙ্গারা পরিবেশের জন্য হুমকি সরুপ। তারা অপরাদ সংগঠিত করতে বিন্দুমাত্র চিন্তা করেনা। প্রতিকারের জন্য এখন থেকে ব্যবস্থা না নিলে প্রভাব বিস্তার দিন দিন বৃদ্বি পাবে। সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে তাদেরকে প্রত্যাবাসন করা এখন সময়ের দাবী।

ঈদগাঁও ঐক্য পরিবার এডমিন রেহেনা নোমান কাজল জানান, রোহিঙ্গা দেশের জন্য হুমকি সরুপ। তারা একের পর এক আত্বীয়তা সৃষ্টি করে যাচ্ছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থায় প্রত্যাবাসন জরুরী বটে।

IT Amadersomaj