তাহিরপুরে দেবর কর্তৃক ধর্ষণে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা দু’সন্তানের জননী

লেখক: Amadersomaj
প্রকাশ: ১ বছর আগে


সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি॥ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় স্বামী সৌদি আরব প্রবাসী থাকার সুযোগে দেবর কতৃক জোড় পূর্বক ধর্ষনে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা দুই সন্তানের জননী। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (১৫জুন) সকালে তাহিরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

এমনি ঘটনা ঘটেছে উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের আমবাড়ি গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। তাহিরপুর থানা লিখিত অভিযোগ ও ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, প্রায় ১২ বছর পূর্বে উপজেলা উত্তর বড়দল ইউনিয়নের আমবাড়ি গ্রামের আলা উদ্দিনের মেয়ের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় বাদাঘাট ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে হানিফ মিয়ার সাথে। তাদের ৯ বছরের একটি মেয়ে ও ৭ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। হানিফ মিয়া গত গত ৭ বছর পূর্বে জীবিকার অন্বেষণে স্ত্রী ও সন্তাদের নিজ বাড়িতে রেখে সৌদি আরবের চলে যায়। এর মধ্যে গত কয়েক বছর ধরে হানিফ মিয়ার ছোট ভাই আকাশ মিয়া বিভিন্ন সময় তার বড় ভাই বৌকে কু প্রস্তাব দিয়ে আসে।

এই বিষয়টি গৃহবধূ শাশুড়ী কে জানালে উল্টো গালমন্দ করে। এরপর গত ১৪,১২,২০২২ তারিখে ঐ গৃহবধূ শশুরের কক্ষে ঘুমিয়ে গেলে রাত ২টার সময় আকাশ মিয়া ঘরে জোর করে ঢুকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। আর ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য ভয় দেখায়। এরপরও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আরও একাধিক বার বিভিন্ন সময়ে ধর্ষন করে।

গত ০৯.০৬.২০২৩ইং তারিখে শাশুড়ীকে শারীরিক অসুস্থতার কথা জানালে তিনি কোনো কর্নপাত করেনি। পরে ১২.৬.২০২৩ ইং তারিখ ঐ গৃহবধূ বাদাঘাট লাইফ কেয়ার মেডিকেল সার্ভিসস হাসপাতালে পরীক্ষা করালে ডাক্তার ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বার কথা জানায়।

ঘটনাটি শশুর বাড়ির লোকজন ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। এই ঘটনা ভুক্তভোগীর পিতা আলা উদ্দিনকে জানালে সম্প্রতি নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে ও তাহিরপুর থানায় বৃহস্পতিবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এরপর পুলিশ লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে দেবর আকাশ মিয়াকে রাতের আটক করে।

ধর্ষণের শিকার দু সন্তানের জননী জানান, আমি ন্যায় বিচার চাই তাই আইনের আশ্রয় নিয়েছি।

তাহিরপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন জানান,এই ঘটনায় দেবরকে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি যাচাই বাচাই করছে।



Source link

IT Amadersomaj