ঝিকরগাছার পল্লীতে বৌমার হাতে শাশুড়ী নির্যাতিত : থানায় অভিযোগ 

লেখক: Amadersomaj
প্রকাশ: ১ বছর আগে


শাহাবুদ্দিন মোড়ল, ঝিকরগাছা : যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার ৪নং গদখালী ইউনিয়নের জাফরনগর গ্রামে বৌমার হাতে শাশুড়ী নির্যাতিত হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে মোছাঃ ময়না খাতুন (৫৫) নামের এক বৃদ্ধ মহিলা। তিনি জাফরনগর গ্রামের মোঃ হাসমত আলীর স্ত্রী। অভিযোগে বিবাদী হয়েছেন বৌমা, বিয়ান ও বিয়াই। তারা হলেন একই গ্রামের ইদ্রিস আলীর মেয়ে মোছাঃ বৈশাখী খাতুন (২০), ইদ্রিস আলীর স্ত্রী আনজু বেগম (৪৫) ও মৃত গরীব মোড়লের ছেলে ইদ্রিস আলী (৫৫)।

থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাদীর ছেলে তোফাজ্জেল হোসেনের সাথে ৫বছর পূর্বে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক ১নং বিবাদীর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। তাদের ওরশে একটি পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহণ করেন। বিবাহের পর হতে ১ নং বিবাদী প্রায় সময় বেপরোয়া ভাবে চলাফেরা করে বিভিন্ন লোকের সহিত মোবাইল ফোনে কথা বলে ও পরকীয়া প্রেমের লিপ্ত থাকে এমনকি বাদী ও বাদীর পরিবারের লোকের সহিত খারাপ ব্যবহার করে এবং বাদীকে মারপিট করে। বিষয়টি বাদী ২ ও ৩নং বিবাদীদের জানালে তারাও বাদীর কোন কথা শোনেনা এবং বাদীকে জীবন নাশের হুমকি প্রদান করে। বাদীর ছেলে দুবাই থাকাকালে ১ নং বিবাদী নিকট নগদ ৬ লক্ষ টাকা সহ ৪ ভরি স্বর্ণালংকার নেয়। বাদীর ছেলে অনুমান ৫ মাস পূর্বে দুবাই হতে বাড়ি ফিরে আসলে ১নং বিবাদী বাদীর বাড়িতে আসেনা ও বাদীর ছেলের কোন খোঁজ খবর নেয় না। ৩ মাস পরে ১নং বিবাদী বাদীদের বাড়িতে এসে বাদীর ছেলের সহিত ৭দিন থাকার পর আবারো পিতার বাড়ি চলে যায়। সর্বশেষ সোমবার (১৯জুন) রাত অনুমান ৮টার দিকে বিবাদীগণ বাদীর বসতবাড়ির উঠানে এসে ১ নং বিবাদের বিবাহের ৫ লক্ষ টাকা কাবিনের দাবি করে ও বাদীর ছেলেকে টাকা পরিশোধ করে তালাক প্রদান করিতে বলে। তখন বাদী ১ নং বিবাদী কে বাদীর ছেলের সহিত ঘর সংসার করিতে বললে সকল বিবাদীগণ ক্ষিপ্ত হয়ে বাদীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ বাদে চুলের মুঠি ধরে চড় থাপ্পড় সহ বাদীদের হাতে থাকা বাঁশের লাঠি ও কাঠের চলা দিয়ে মারপিট করে বাদীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা যখন করে। পরে স্থানীয়রা বাদীকে উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যান।

ঘটনার বিষয়ে বাদীর বৌমা ১নং বিবাদী মোছাঃ বৈশাখী খাতুনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি আমার শাশুড়ীকে মারিনি। তারা আরো আমাকে মারতে গিয়েছিলো। বিদেশ গিয়ে আমার স্বামী আমাকে কোন টাকা দেয়নি।

থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন ভক্ত বলেন, ঘটনার বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি আমলে নিয়ে সঠিক তথ্য বের করার জন্য এখন তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে। তদন্ত শেষে ঘটনার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



Source link

IT Amadersomaj