পাথরঘাটায় সন্তানের শোক সইতে না পেরে মায়ের মৃত্যু !

লেখক: Amadersomaj
প্রকাশ: ১ বছর আগে


তাওহীদুল ইসলাম শুভ, পাথরঘাটা বরগুনা॥ বরগুনার পাথরঘাটায় তিন মাস বয়সী রাফিয়া নামের এক মেয়ে সন্তানের মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে মা তন্নী বেগমের (২২) মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) দুপুর ১২টার সময় মা ও সন্তানের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়। এর আগে বুধবার রাত ৮টার দিকে রাফিয়া এবং পরের দিন সকাল ৭টার দিকে মা তন্নী বেগমের মৃত্যু হয়।

মৃত তন্নী বেগম একই এলাকার করম পহলানের ছেলে মো: রিয়াজের স্ত্রী। তাদের সংসারে রাফিয়া প্রথম সন্তান ছিল।

এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর কুপধন এলাকায়। স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

রাফিয়ার বাবা মো: রিয়াজ পহলান জানান, ৪ জুলাই রাফিয়ার শরীরে জ্বর দেখে স্থানীয় ফার্মেসিতে নিলে সেখান থেকে শিশু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। রাফিয়ার বাবা রিয়াজসহ বরগুনার শিশু বিষেশজ্ঞ চিকিৎসক সোহরাব হোসেনের কাছে নিয়ে যান পরিবার। সেখান থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি এলে রাফিয়া কিছুটা সুস্থ হয়। পরে আবারো তার জ্বর বেড়ে যায়। এরপর ৫ জুলাই সন্ধ্যার দিকে বেশি অসুস্থ হলে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে রাফিয়ার মৃত্যু হয়।

তিনি আরো বলেন, রাফিয়ার লাশ বাড়িতে নিয়ে পরের দিন সকালে দাফনের জন্য রাখা হয়। সকালে তার মা তন্নী বেগমের শ্বশুর করম পহলানকে তার জন্য ২ রাকাত নামাজ পরে দেয়া করার কথা বলে সন্তানের লাশের সামনে গিয়ে লুটিয়ে মাটিতে পড়ে যান। মায়ের অবস্থা খারাপ দেখে চিকিৎসককে ডেকে আনার সাথে সাথেই তার মৃত্যু হয়।

তিনি বলেন, আমার কলিজার টুকরাটি চলে যাওয়ার পরে তার মাকে নিয়ে থাকব তাও আল্লাহ নিয়ে গেল। আমার সাথে এমন কেন হলো। আমি এখন কি নিয়ে বাঁচব!

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: গোলাম মোস্তফা জানান, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক একটা বিষয়। শুনে খুবই খারাপ লেগেছে। সন্তান চলে গেলে স্ত্রীকে ধরে বেঁচে থাকার চেষ্টা করা হয়। আল্লাহ রিয়াজের দুজনকেই নিয়ে গেছে। আমি গতকাল থেকেই তাদের পরিবারের খোঁজখবর রাখছি।

IT Amadersomaj