খাগড়াছড়ি গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলীর খুঁটির জোর কোথায় !

লেখক: Amadersomaj
প্রকাশ: ১ বছর আগে


ক্রাইম রিপোর্টার॥  এমন কোনো অভিযোগ নেই যে, যা নেই খাগড়াছড়ি নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজীমের বিরুদ্ধে। সরকারি অর্থ লোপাট, ভুয়া নাম জারি করে টেন্ডারবাজী, রাজধানীসহ তার গ্রামে বিলাশ বহুল বাড়ি ও নারী কেলেঙ্কারি। এতোসব অভিযোগের ওপর ভর করে বহাল তবিয়তে আছেন তার কর্মস্থলে। শোনা গেছে সবই তার দু’হাতের খেল। তাই প্রকাশ্যে চালিয়ে যাচ্ছে অনিয়ম দুর্নীতি। ওপেন সিক্রেটে হজম করছেন ঠিকাদারি অর্থ।

জানা গেছে, ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে সরকারের উন্নয়ন মূলক কাজের পঞ্চাশ শতাংশ অর্থ ব্যয় না করে এপিপির বাকি অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। একক ক্ষমতা বলে চেক দিয়ে কাজ না করে চেকের মাধ্যমে তুলে নিয়েছে দেড় কোটি টাকারও বেশি। খাগড়াছড়ি দীঘিনালা মডেল মসজিদের বিশ শতাংশ কাজ সম্পন্ন না করেই ৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। মডেল মসজিদের জন্য বরাদ্দ এসেছিলো পাঁচ কোটি। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, মডেল মসজিদটির নির্মাণ কাজ এখনো ফাউন্ডেশন লেভেলে। নির্বাহী প্রকৌশলী ও সিলেটের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর শেলক রাজীব নন্দীরা মিলে সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থের পাঁচ কোটি টাকা ভাগাভাগি করে নিয়েছে। কাজ না করেই তুলে নিয়েছে চেক।

সূত্রটি আরও খাগড়াছড়ি গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বভার গ্রহণের পর তাকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। সকল অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করে কাড়ি কাড়ি অর্থের মালিক হয়েছেন। নামে বেনামে নিয়েছেন সম্পদ। গড়ে তুলেছেন বিলাশবহুল বাড়ি, গাড়িও। শুনা যায় নতুন আবার বিয়ে করে পেতেছেন নতুন সংসার। নতুন বউকে সময় দিতে সপ্তাহে অফিস করেন দুইদিন।সরকারি একজন নির্বাহী প্রকৌশলীর ধার্যকৃত বেতনে কিভাবে এতো সম্পদের মালিক বনে গেলেন তা তদারকির জন্য প্রশ্ন আমজনতার।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ঠিকাদারের অভিযোগ, রাজীব নন্দী নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজীমের ব্যবসায়িক পার্টনার। রাজীব একজন অতিরিক্ত নির্বাহী প্রকৌশলীর শেলক। এ সুবাধে খাগড়াছড়ি গণপূর্ত বিভাগে আধিপত্য বিস্তার করেন তিনি। আবার খাগড়াছড়ির মেয়রের ভাগিনা হিসেবে নিজেকে জাহিরও করেন।

ঠিকাদাররা জানান, নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে দহরম মহরম সম্পর্ক।অফিস রুমে ডুকে দরজাবন্ধ করে ঘন্টার পর ঘন্টা চলে ব্যবসায়ীক আলাপ, সাথে থাকে বিদেশি মদের বাহার। তাদের এইসব অপকর্ম যাতে ধরা না পরে তাই দিনের পর দিন অফিসের সিসিটিভি নষ্ট করে রেখেছেন। রাজীব নন্দীর কাছে থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তাকে দিয়েছেন খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের বড় দুটি কাজও। কোনো কাজ না করেই তার সার্ভিস বিল্ডিং নামের কাজে ৩৬ লাখ টাকা, পিসিআর ল্যাবের নামে ১৭ লাখ টাকা দিয়ে রেখেছেন। বাস্তবে এইসব কাজের কিংবা সাইটের কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সরকারি অর্থের ভারে বিএনপি ক্যাডার রাজীব নন্দী ও সরকার বিরোধী নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজীম এখন কোটিপতি । এদের মধ্যে অনেকের খাগড়াছড়িতে ৭লা বিশিষ্ট আলীশান বাড়ি রয়েছে। চলাফেরা করেন বিলাশবহুল গাড়িতে। তাদের এইসব কর্মকান্ডে পুরানো ঠিকাদার ও স্থানীয় বিভিন্ন অফিসের সরকারি কর্মকর্তারা ত্যক্তবিরক্ত। আর্থিক মন্দার এই দুর্দিনে সরকারি অর্থের এইভাবে আত্মসাৎ ও নয়ছয় ব্যবহার হলেও দেখার কেউ নাই।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কলটি রিসিভ করেননি।



Source link

IT Amadersomaj