ঈদগাঁওতে দীর্ঘবছর ধরে ফায়ার সার্ভিস স্থাপনের দাবী উপেক্ষিত 

লেখক: Amadersomaj
প্রকাশ: ১ বছর আগে


এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও (কক্সবাজার)॥ কক্সবাজারের দ্বিতীয় বৃহৎ বানিজ্যিক উপশহর ঈদগাঁও বাজারে ফায়ার সার্ভিস স্থাপনের দাবী দীর্ঘবছর ধরে উপেক্ষিত। বাস্তবায়নের দাবী জানান ঐক্য পরিবার নামের একটি সামাজিক প্লাটফর্ম।

৩৩ কিলোমিটার দূরবর্তী কক্সবাজার কিংবা চকরিয়া থেকে দমকল বাহিনী আসার আগে অগ্নিকান্ড কবলিত স্থান পুড়ে ছারখার হয়ে যায়। বৃহত্তর ঈদগাঁওর বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করে এলাকাতে ফায়ার সার্ভিস স্থাপনের দাবী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট। প্রতিবছর বৃহত্তর এলাকায় কোন না কোন স্থানে অগ্নিকান্ডের ভয়াবহ থাবায় লাখ লাখ টাকার সম্পদ পুড়ে মাটি হয়ে যাচ্ছে।

পোকখালী, জালালাবাদ, ইসলামাবাদ, ইসলামপুর, ঈদগাঁওর প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলে বসতবাড়ী, দোকানপাঠসহ অন্যান্য জিনিসপত্র অগ্নিকান্ডে ধংস হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিস বাস্তবায়নে জন্য দীর্ঘকাল ধরে বৃহৎ জন গোষ্টি আন্দোলন সংগ্রাম করেও আজ অবধি পর্যন্ত কিছুই হয়নি। ঈদগাঁওবাসীর স্বপ্ন যেন স্বপ্নই থেকে গেল। কিন্তু দীর্ঘবছরও কাজের কাজ কিছু না হওয়ায় হতাশ এলাকাবাসী। আশ্বাসে সীমাবদ্ব রয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

দক্ষিন চট্রলার বৃহৎ বানিজ্যিক কেন্দ্র ঈদগাঁও বাজারসহ কোন এলাকায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলেই দূরর্বতী থেকে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা কখনো সম্ভব নয়। ঐখান থেকে ফায়ার সার্ভিস আসতে না আসতেই সবকিছু পুড়ে অঙ্গার হয়ে যায়। জনগুরুত্বপূর্ণ ঈদগাঁও বাজারে ব্যাংক,বীমা, দোকান পাঠ, ঘরবাড়ী ও জনবসতি বেশী বলে জানা গেলেও অদ্যবধি পর্যন্ত অগ্নি নিবার্পন ফায়ার সার্ভিস স্থাপনে আলোর মুখ দেখেনি।

ফায়ার সার্ভিস স্থাপন জরুরী বলে মনে করেন সামাজিক সংগঠন ঈদগাঁও ঐক্য পরিবারের নেতৃবৃন্দরা। অগ্নিদূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে ফায়ার সার্ভিস অতীব জরুরী। এটি স্থাপন হলে নতুন করে আশার আলো খুঁজে পাবে বৃহৎ এলাকার নানান শ্রেনী পেশার লোকজন।

ঈদগাঁও ঐক্য পরিবারের এডমিন ও পল্লী চিকিৎসক রেহেনা নোমান কাজল জানান, বৃহত্তর এলাকার জনসংখ্যার কথা বিবেচনা করেই ফায়ার সার্ভিসের দাবীদার ঈদগাঁওবাসী।

দু’এক ব্যবসায়ীরা জানান, এই বাজারে প্রায় ৪ হাজারের মত ব্যবসা প্রতিষ্টানসহ বৃহত্তর এলাকার বিপুল সংখ্যক লোকজন ও ঘরবাড়ীর কথা মাথায় রেখে যদি একটি দমকল বাহিনী স্থাপন করা যায়, তাহলে এলাকাবাসী উপকৃত হবে।

সচেতন মহল জানান, বৃহত্তর ঈদগাঁওর ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে আলাদা উপজেলা করা হয়েছে। সেহেতু এলাকাতে যদি ফায়ার সার্ভিস স্থাপন করা হয়, তাহলে উপকৃত হবে জনগন।

IT Amadersomaj