বাংলাদেশ সকালে সংবাদ প্রকাশের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে অপহৃত কিশোরী’কে উদ্ধার করল র‌্যাব 

লেখক: Amadersomaj
প্রকাশ: ১ বছর আগে


মোহাম্মদ জুবাইর॥ ফটিকছড়ি হতে অপহৃত কিশোরী’কে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীর জিইসি মোড় এলাকা হতে উদ্ধার; মূল অপরণকারী মিনহাজুল আলম রাহী’কে ০১ জন সহযোগীসহ গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭ চট্টগ্রাম। আলোচিত এই বিষয়টি জনপ্রিয় অনলাইন পোর্টাল বাংলাদেশ সকালে গুরুত্বসহকারে প্রকাশিত হয়।

অপহৃত ভিকটিম ১৭ বছর বয়সের সনাতন ধর্মাবলম্বী কিশোরী এবং স্থানীয় একটি স্কুল থেকে ২০২৩ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে। অপহৃত ভিকটিমের সাথে আসামী বখাটে মিনহাজুল আলম রাহী (১৯) এর মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় এবং এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিষয়টি জানতে পেরে ভিকটিমের পরিবার আসামী মিনহাজুল আলম রাহীর পরিবারকে অবগত করেন। এতে মিনহাজুল আলম রাহী ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিম এর পিতা-মাতাকে হুমকি দেয় যে, সে যেকোন সময় তার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যাবে।

পরবর্তীতে গত ০৯ আগস্ট ২০২৩ ইং তারিখ সকাল আনুমানিক ৬০৩০ ঘটিকায় ভিকটিম পূজার ফুল তুলার জন্য তার বসত ঘরের পিছনে ফুল বাগানে গেলে সেখানে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে উৎপেতে থাকা আসামী মিনহাজুল আলম রাহী এবং অজ্ঞাত ২/৩ সহযোগী ভিকটিমকে অপহরণ করে একটি সিএনজি যোগে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।

উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে গত ১০ আগস্ট ২০২৩ ইং তারিখ চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানায় মিনহাজুল আলম রাহী’কে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে আসামী করে একটি অপরহণ মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-১১, ধারা-২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সং/২০২০) এর ৭/৩০।

জনপ্রিয় অনলাইন পোর্টাল বাংলাদেশ সকালে প্রচারিত হলে এবং মেয়েকে উদ্ধার এবং অপহরণকারীদের গ্রেফতারের জন্য ভিকটিমের মা র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করলে উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম ভিকটিমকে উদ্ধার এবং অপহরণকারীদের গ্রেফতারের লক্ষে গোয়েন্দা নজরধারী এবং ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে।

নজরধারীর এক পর্যায়ে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, অপহরণ মামলার প্রধান আসামী চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী থানাধীন জিইসি মোড় এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ১১ আগস্ট ২০২৩ইং তারিখে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি অভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মিনহাজুল আলম রাহী (১৯) এবং ২। মিরাজুল আলম (৩৩), উভয়ের পিতা-মাহাবুল আলম, সাং-হাইদচকিয়া, থানা-ফটিকছড়ি, জেলা-চট্টগ্রামদের’কে আটক এবং ভিকটিম এর মা’র সনাক্ত মতে তার কিশোরী মেয়েকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা এজাহার নামীয় আসামী মর্মে স্বীকার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

IT Amadersomaj