কালিয়ায় তদন্ত কমিটির কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ সাবেক জাপা নেতার বিরুদ্ধে

লেখক: Amadersomaj
প্রকাশ: ১ বছর আগে


মোঃ হাচিবুর রহমান, কালিয়া (নড়াইল)॥ নড়াইলের কালিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিষয়ে গঠিত ডিসি অফিসের তদন্ত কমিটির কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাবেক নড়াইল জেলা জাতীয় পার্টির সাধারন সম্পাদক ও মিলটন মোল্যার বিরুদ্ধে।

তার পোষা গুন্ডা বাহিনী ও নিজের কাছে থাকা অস্ত্রের মোহড়া দিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে তদন্ত বন্ধ করার ষড়যন্ত্র করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থাণীয়রা।

১২ আগষ্ট (শনিবার) দুপুরে খাশিয়াল গ্রামে দক্ষিন খাশিয়াল ঘের সংলগ্ন ফাঁকা জায়গায় এ ঘটনা ঘটে। মিলটন মোল্যা ওই গ্রামের উকিল মোল্যার ছেলে।

স্থাণীয় বিল্লাল মোল্যা, আনিচুর রহমান, রুবেল বিশ্বাসসহ অনেকে জানান, ওই এলাকায় মিলটন ও স্থাণীয় বি এম কাবির হোসেন সরকারী জমিতে য়ৌথ ইজারা নিয়ে ঘেরের ব্যবসা করে আসছিলেন। পরবর্তীতে ইজারা নবায়ন করতে গিয়ে বি,এম কাবিরের নামে মিথ্যা না দাবী পত্র দিয়ে কাবিরকে বঞ্চিত করে শুধু নিজের নামে নবায়ন সম্পন্ন করে নেন সাবেক জাপা নেতা মিলটন মোল্যা। পরে বিষয়টি জানতে পেরে কাবির হোসেন অর্ধেক ইজারা নবায়ন বাতিলের জন্য বিগত ১১ মে জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), ইউএনও কালিয়া ও উপজেলা সহকারী (ভূমি) বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ১২ আগষ্ট ডিসি অফিসের নির্দেশনায় তদন্তে আসেন সার্ভেয়ার হাবিবুর রহমান। এ সময় মিলটনের নির্দেশে তার অনুসারীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তদন্তে বাঁধা দিতে আসলে তদন্ত কমিটির সঙ্গে তাদের কথা কাটকাটি হয়।

প্রতক্ষদর্শি ইয়ার বিশ্বাস বলেন, মিলটন কাবিরের জায়গা জ্বাল করে নেওয়ার অভিযোগের কারণে ওই দিন ডিসি অফিস থেকে তদন্ত আসে। তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সামনে দেশী অস্ত্র নিয়ে সরকারী কাজে বাঁধা প্রদানকারী ব্যক্তি খাশিয়াল গ্রামের হিমু শিকদারের ছেলে ওসমান সিকদার। সে মিলটনের পক্ষ নিয়ে এসেছিল। তদন্ত কর্মকর্তাদের সাথে ওই ছেলের কথা কাটাকাটিও হয় ভিডিওতে দেখা যাবে।

ভুক্তভোগী বি এম কাবির হোসেন বিশ্বাস বলেন, বাংলা ১৩৭৩ সাল থেকে ১৪২৭ সাল পর্যন্ত বকেয়া আদায় করে আমাদের দু’জনের নামে আধাআধি ২.৫৯ শতকের ডিসিআর পাই। ওই মেয়াদ শেষ হলে আমার অজান্তে মিলটন মোল্যা তঞ্চকতা করে ১৪২৮ ও ১৪২৯ সালের নবায়ন নিজের নামে করে নেয়। পরবর্তীতে আমি বিষয়টি জানতে পেরে ডিসি অফিস বরাবর দরখাস্ত করি। পরে আমাদের ডিসি অফিসে ডেকে নিয়ে শুনানী হয় এবং কিভাবে সে একার নামে করলো এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন। ওই জমির দক্ষিন ও পশ্চিম পাশে আমার পৈত্রিক সম্পত্তি রয়েছে। অতঃপর ১২ আগষ্ট তদন্ত কমিটি আসলে তার নিজস্ব লোকজন ও তার ব্যবহৃত শর্টগান নিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে স্থাণীয়দের ভয়ভীতি দেখিয়ে নিজের পক্ষে রিপোর্ট নেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে নড়াইল জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা মিলটনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এগুলো সাজানো নাটক, দেশীয় অস্ত্রসহ যাকে দেখা যাচ্ছে সে তার লোক নয়। এ ছাড়া তার লাইসেন্সকৃত বন্দুক দিয়ে মোহড়া বা ভিতী সঞ্চার করা এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। নিজের নিরাপত্তার স্বার্থে বন্দুক তিনি কাছে রাখের বলে জানান।

এ বিষয়ে ডিসি অফিসের তদন্তকারী সার্ভেয়ার হাবিবুর রহমানের সাথে তার মুঠোফোনে কথা হলে বলেন, তদন্তকালে শুনানীর সময় মিলটন মোল্যার পক্ষের একটি লোক দেশীয় অস্ত্রসহ আসে। এতে বড় ধরনের কোন অঘটন ঘটেনি তবে তদন্ত কাজে বাঁধার সম্মুখীন হয়েছি। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হবে।



Source link

IT Amadersomaj