১৯ বছর পায়ে স্প্রিন্টার বহন করে বেড়াচ্ছেন গ্রেনেড হামলায় আহত সিদ্দিক

লেখক: Amadersomaj
প্রকাশ: ১ বছর আগে


আমতলী (বরগুনা) সংবাদদাতা: ১৯ বছর ধরে পায়ে স্প্রিন্ডার বহন করে বেড়াচ্ছেন গ্রেনেড হামলায় আহত তালতলী উপজেলার পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক সিদ্দিক তালুকদার। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তিনি সাহায্যের দাবী জানিয়েছেন।

জানাগেছে, ১৯৯৬ সালে জীবন জীবিকার তাগিদে তালতলী উপজেলার কলারং গ্রামের নুরুল ইসলাম তালুকদারের ছেলে মোঃ সিদ্দিক তালুকদার ঢাকা যান। ওই খানে তিনি রিক্সা চালকের কাজ নেন। কিশোর বয়স থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত ভক্ত ছিলেন সিদ্দিক। আওয়ামীলীগের সভা সমাবেশের খবর শুনলেই ছুটে যান তিনি। সিদ্দিকের দাবী আওয়ামীলীগের পক্ষ করায় বিএনপি জোট সরকারের আমলে তিনি হামলা ও মামলার শিকার হয়েছেন। ২০০৪ সালে ২১ আগষ্ট আওয়ামীলীগের সমাবেশের যান তিনি। মনযোগ সহকারে দলীয় নেতা ও সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ শুনছিলেন। এমন মুহুর্তে গ্রেনেড হামলা হয়। ওই হামলায় গ্রেনেডের স্প্রিন্ডার তার পায়ে বিদ্ধ হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় এক ব্যাক্তি তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই হাসপাতালে তিনি দুইদিন চিকিৎসা নেন। পরে তিনি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গ্রামের ফিরে আসেন। এরপর তিনি আর ঢাকায় যাননি। গত ১৯ বছর ধরেই পায়ে স্প্রিন্ডার বহন করে বেড়াচ্ছেন তিনি। পায়ে প্রচন্ড ব্যথায় হাঁটতে কষ্ট হয় তার। কিন্তু টাকার অভাবে তিনি চিকিৎসা করাতে পারছেন না। বর্তমানে এলাকায় তিনি অতিকষ্টে দিনমজুরীর কাজ করে জিবিকা নির্বাহ করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সহায়তার দাবী করেছেন তিনি।

গ্রেনেড হামলায় আহত সিদ্দিক তালুকদার সেই দিনের বিবেষিকাময় ঘটনার বর্ননায় বলেন, ২১ আগষ্ট বিকেলে বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউতে আওয়ামীলীগ অংশ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য শুরুর পরপরই শুধুই শব্দ আর শব্দ। বেশ কয়েকটি গ্রেনেডের স্প্রিন্ডার আমার পায়ে বিদ্ধ হয়। মানুষ ছুটাছুটি করে চলে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় এক ব্যাক্তি আমাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। দুইদিন ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম। পরে পালিয়ে বাড়ী এসেছি। আর ঢাকায় যায়নি। তিনি আরো বলেন, পায়ের স্প্রিন্ডার এখন মাংশের সাথে মিশে গেছে। মাঝে মাঝে পায়ে বেশ ব্যথা অনুভব করি। কিন্তু টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারি না। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে যাহায্যের দাবী জানাই। তিনি আমাকে সাহায্য করলে হয়তো আমি পুরোপুরি সেরে উঠতে পারবো।

প্রতিবেশী আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার বলেন, গ্রেনেড হামলায় সিদ্দিক তালুকদার আহত হওয়ার খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে যাই। ওই হাসপাতালে তার পাশে থেকে সেবাশুশ্রæষা করেছি।

তালতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ রেজবি-উল কবির জোমাদ্দার বলেন, সিদ্দিক পঁচাকোড়ালিয়া ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাথে জড়িত। গ্রেনেড হামলায় আহত সিদ্দিককে সার্বিক সহযোগীতা করা হবে।

IT Amadersomaj