কোটচাঁদপুরে সরকারি এন্টিবায়েটিক দিয়ে হাতুড়ে চিকিৎসক রবিউলের চিকিৎসা, দেশে হচ্ছেটা কি!

লেখক: Amadersomaj
প্রকাশ: ১ বছর আগে


নিজস্ব প্রতিবেদক বাবলু মিয়া: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলায় ক্রয় বিক্রয় দণ্ডনীয় অপরাধ সরকারি ঔষধ হাতুড়ে চিকিৎসক রবিউল ইসলাম আপেলের ডাক্তারি খানায়, দিচ্ছেন চিকিৎসা গ্রামের সহজ সরল মানুষকে, দেশে হচ্ছেটা কি? প্রশ্ন সচেতন মহলের।

বাংলাদেশ সকাল এর প্রতিবেদক সরেজমিনে (১১ই-সেপ্টেম্বর) সোমবার কুশনা ইউনিয়ন হরিন্দীয়া বাজারে তালুকদার চিকিৎসালয়ে গিয়ে দেখেন সরকারি ঔষধে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন এলাকার গ্রাম চিকিৎসক রবিউল ইসলাম আপেল। তিনি গ্রাম চিকিৎসক হয়ে কিভাবে সরকারি সেপ্ট্রিয়াক্সন এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে পারেন। সরকারি ঔষধ শুধু সরকারি হাসপাতাল গুলোতে ব্যবহার করা হয় তাও আবার রেজিস্ট্রাট চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করা নিষেধ।

খোঁজ খবর নিয়ে জানাযায় গ্রাম চিকিৎসক রবিউল সরকারি সেপ্ট্রিয়াক্সান ১ গ্রাম ইনজেকশন, ইসোরাল ইনজেকশন সহ এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট ও দেদারসে বিক্রি করে যাচ্ছেন। সরজমিন সন্ধানে গেলে তার নিজ ঔষধের দোকান হরিন্দীয়া বাজারে হাতেনাতে ধরা হয় সরকারি ঔষধ ।

চিকিৎসক রবিউলের নিকট সরকারি ঔষধ বিক্রি ও রেজিস্ট্রাট চিকিৎসক বিহীন সেফ্ট্রিয়াক্সন এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যায় কি না জানতে চাইলে বলেন, “সরকারি ঔষধ আমি আনি নাই, রোগী নিয়ে এসেছে আমি ইনজেকশন পুষ করে দিয়েছি মাত্র, সে সরকারি ঔষধ কোথা থেকে এনেছে জানি না।” যাওয়া হয় সরকারি ঔষধ নিয়ে আসা রোগীর বাড়ি, তিনি জানান আমি রবিউলের নিকট থেকে কিনে নিয়েছি। রবিউল সাংবাদিকদের কাছে এবারের মত মাফ করে দেওয়ার জন্য জোরালো অনুরোধ করেন। আমি সরকারি ঔষধ বিক্রি করে ভুল করেছি এমনটা আর হবে না।

সরকারি ঔষধ ইনজেকশন সেবা পাবেন শুধু ভর্তি রোগী’রা আপনি কোথায় পেলেন অর্ধশত সেপ্ট্রিয়াক্সন ১ গ্রাম ইসোরাল ৪০ মিলি গ্রাম ইনজেকশন তার নাম পরিচয় বলুন। রবিউল বলেন আমি হাসপাতাল থেকে নিয়েছি। তিনি একেক সময় একেক রকমের কথা বলছেন। পরবর্তী তে তিনি বলেন আমি হাসপাতাল থেকে নিয়েছি তাকে চিনিনা। হাসপাতালে কে এই সরকারি ঔষধ বাড়িতে রোগী চিকিৎসা করতে আপনার হাতে অর্ধশত ইনজেকশন দিলেন তাহলে হাসপাতালে ভর্তি করার কি দরকার তাহলে তো যার যার বাড়িতে সরকারি ঔষধ পাঠানো হতো চিকিৎসা দেওয়া’র জন্য।

তিনি বলেন,  হরিন্দীয়া বাজারে হোটেল ব্যবসায়ী শরিফুলের ছেলে আল-আমিন নামে একটা ছেলে দিয়েছে। আল-আমিন এর নিকট জানতে চাইলে ইনজেকশন কি আপনি দিয়েছেন? তিনি জানান, হ্যা আমি দিয়েছি শুধু তাই নয় আর অনেকের এনে দিয়েছি। আমি ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নার্সিং ভর্তি হয়েছি তাই সব ঔষধ আমি আনতে পারি। আপনি তো চিকিৎসক না হয়ে ও সরকারি ঔষধ কিভাবে আপনি আনেন এবং সরকারি ভর্তি রোগী’র ঔষধ কিভাবে আপনি বাজারজাত করলেন। তিনি বলেন, আপনার কত লাগবে চলেন।

তাহলে প্রশ্ন জাগে, ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের ফার্মেসী’র দায়িত্ব কি?স্টোরের দায়িত্ব কি? সরকারি ঔষধ ইনজেকশন কি বাহিরে বিক্রি’র জন্য বা চিকিৎসা দেওয়ার জন্য হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক বা নার্সিং পড়ুয়া কেউ বিক্রি করতে পারবে কি না।

কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ জানান, এমন তথ্য পেলে জানান তার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হবে। সিভিল সার্জন ঝিনাইদহ নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন। কোন কর্মকর্তা কর্মচারী নার্স বা নার্সিং ইনস্টিটিউটের কেউ সরকারি ঔষধ বাহিরে কাউকে দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। হাতেনাতে ধরতে পারলে অবশ্যই জানাবেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতে জেল জরিমানা করা হবে।



Source link

IT Amadersomaj