কুলিয়ায় সহকারী শিক্ষিকা কর্তৃক বেদম প্রহারে স্কুল ছাত্র আহত হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি

লেখক: Amadersomaj
প্রকাশ: ১২ মাস আগে


আব্দুল্লাহ আল মামুন: কুলিয়ার সুবর্ণাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সন্ধা রানী কর্তৃক মারপিটে এক স্কুল ছাত্র আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন আছে। আহত স্কুল ছাত্রের নাম রাফসান রাফি (১০)। সে উক্ত বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেনির ছাত্র। ঘটনাটি ঘটেছে ২৬ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়ের শ্রেনি কক্ষে সাড়ে বারোটার সময়।

আহত ছাত্রের পিতা উক্ত বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক সানা জানান, ২৬সেপ্টেম্বর আমার পুত্র রাফসান (রাফি) প্রতিদিনের ন্যায় নিয়মিত স্কুলে গিয়ে ক্লাস করতে থাকে। ঘটনারদিন ১২.৩০ হইতে ১.১০ ঘটিকা পর্যন্ত সহকারী শিক্ষিকা সন্ধা রানীর ইংরেজি ক্লাস ছিলো। আমার পুত্র পড়া ভালো বলতে পারিনি বলে তাকে শক্ত কাঠের ডাস্টার দিয়ে পিঠে ৫-৬টি আঘাত করে। পরে রাত্রে ব্যথা বাড়ার সাথে সাথে বুকে শ্বাস কষ্ট শুরু হলে স্থানীয় গ্রাম ডাক্তার দ্বারা প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসায় সুস্থ না হওয়ায় ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে রাফসান শিশু চিকিৎসক ডাঃ রেহানার অধীনে চিকিৎসাধীন আছে। এব্যাপারে আমি বাদী হয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) জগদীশ সরকার জানান, সহকারী শিক্ষিকা সন্ধা রানীর প্রহরের কারনে ছাত্র রাফসান অসুস্থ হওয়ার বিষয়ে আমি শুনেছি। তিনি আরো জানান, ওই শিক্ষিকা অত্যন্ত বেপরোয়া। ইতিপূর্বে চতুর্থ শ্রেনির ছাত্র ফেরদাউস ও মাসুম সহ অনেক শিক্ষার্থীর অবিভাবক মারির ব্যাপারে আমার কাছে অভিযোগ করেছিলো। তাছাড়াও কোন একটা ব্যাপারে জনসম্মূখে আমার গায়ে হাত তুলেছিলো। এব্যাপারে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষিকা সন্ধা রানী জানান, আমার ছাত্র রাফসানকে ভালোবাসি বলে তাকে ভালোবেসে ক্লাস নেওয়ার সময় পিঠে একটা চড় মেরেছিলাম। আমাকে ফাঁসানোর জন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে। এলাকাবাসী ও ছাত্র ছাত্রীদের অবিভাবক সুত্রে জানা যায়, উক্ত শিক্ষিকার বিদ্যালয়ের নিকটবর্তী বাড়ি হওয়ায় সময় মতো ক্লাস না নিয়ে নিজের কাজে ব্যাস্ত থাকে এবং ক্লাস নেওয়ার সময় ছাত্র ছাত্রীদের উপর চড়াও হয়ে প্রায় মারধর করে। যার কারনে ইতিমধ্যে ৬জন ছাত্র অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য তাদের ছাড়পত্র নিয়েছে। আরোও অবিভাবকরা বলেন, উক্ত শিক্ষিকা থাকলে এই বিদ্যালয়ে আমরা আমাদের সন্তানদের পড়াবোনা।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার (এ.টি.ইও) মনির আহম্মেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এব্যাপারে একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

IT Amadersomaj