নারী দিবস এক ভেল্কিবাজি নারী দিবস এক ধোঁকা,
নারীর নামে দিবস রেখে নারীকে বানায় বোকা।
উস্কে দেয় কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল নারীকে তার অধিকারের নামে,
দিবস পালন করতে গিয়ে তাই নারী তার অস্তিত্ব বেচে চড়া দামে।
ওহে ও নারী রুখে দাও তুমি ঠুকে দাও এ প্রহসন,
বলে দাও তুমি বজ্রকণ্ঠে;
নারীর জন্য লাগে না আলাদা দিবসের আয়োজন।
নারীর জন্য জন্ম সমান, সমান মৃত্যু ও জীবন,
নারীর জন্য মানুষ জীবন কায়েম হোক সর্বক্ষণ।
পুরুষ হও কিংবা হও যত বড়ো ক্ষমতাবান হে তুমি,
নারীর গর্ভে জন্ম তোমার;
সম্মানে বাঁচো মায়ের পা দুখানি চুমি।
নারীর কেন দিবস লাগবে সংখ্যায় গুনে এক!
সকল দিবস কার তবে ভাই একবার জিজ্ঞেস করে দেখ।
নারীর জন্য এক রং নির্ধারণ অপমানের সামিল ভারি,
পৃথিবীর সকল পবিত্র রঙে মাতবে বিজয়লক্ষ্মী নারী।
আল্লাহ, ঈশ্বর, প্রভু, স্রষ্টা নারীকে সৃষ্টি করেছেন মানুষ,
তবু কেন এত মত, এত পথ, এত বক ধার্মিকেরা উড়ায়;
নারীর জন্য অপমানের ফানুস।
জীবন সকলের, সভ্যতা সকলের, ধর্ম সকলের জন্য সমান,
জীবন সকলের তাই জীবনের সব রঙে রাঙুক সমান করে সকল প্রাণ।
বুঝে নাও নারী পন্য নও তুমি নও তুমি কারও কৃতদাস,
সৌন্দর্য তোমার শক্তি হোক নারী,
না হোক প্রদর্শনের আবাস।
নয় এক দিবস, নয় এক রং, নয় কোনো মানুষ প্রভুর গোলামি,
সৃষ্টিকর্তায় রাখো বিশ্বাস আর রুখে দাও নিজের নিলামি।
ওহে নারী!
তোমার স্বকীয় সত্তায় রাখো আস্থা,
আর রুখে দাও নিজের নিলামি;
নারী তুমি রুখে দাও নিজের নিলামি।
নাজনীন নাহার
সুন্দরবন কুরিয়ার
(রাজধানী মার্কেটের পাশে)
হাটখোলা শাখা
ঢাকা।
আমাদের সমাজ নাজনীন নাহার