পাবনায় গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে আন্তঃজেলা ডাকাতচক্রের ১০ সদস্য গ্রেফতার

লেখক: Amadersomaj
প্রকাশ: ১০ মাস আগে


উজ্জল প্রধান, স্টাফ রিপোর্টার: পাবনা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অভিযানে পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা ডাকাতচক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক সহ লুট করা বিপুল পরিমাণ মালামাল।

শনিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে পাবনা গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম।

তিনি বলেন, গত ৯ নভেম্বর রাতে পাবনার আমিনপুর এলাকায় ব্যবসায়ী ফরমান সরদারকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তার মুদি দোকানে ডাকাতি করে একদল ডাকাত। এ ঘটনায় পরদিন ১০ নভেম্বর আমিনপুর থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় পাবনা গোয়েন্দা পুলিশ। তারা গত দুইদিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা ডাকাতদলের মূল হোতা ও পরিকল্পনাকারী সেলিম হোসেনসহ চক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেফতার করে।

এ সময় তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক, ২৯ বস্তা চাউল, ২০০ লিটার মোবিল, ৫টি গাড়ির টায়ার, ২৩ টি গ্যাস সিলিন্ডার, নগদ দুই লাখ দশ হাজার টাকা।

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন, পাবনার বেড়া উপজেলার আমিনপুর গ্রামের সেলিম শেখ (৪৯), লক্ষীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানার নলডগী গ্রামের রিয়াজ ওরফে মফু (৩১), নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার হরেকৃষ্ণপুর গ্রামের জাফর আলী (২৯), পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ছোট বালিয়াতলী (লালুয়া) গ্রামের নুর সায়েদ খন্দকার ওরফে শাহেদ (৫৭), বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠি গ্রামের সোহেল হাওলাদার (২৯), ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার পিনগ্রি গ্রামের মনির ব্যাপারী (৩২), সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার বাসুরিয়া গ্রামের হাফিজুল ইসলাম ওরফে আকাশ (২৯), সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চন্ডিদাশ গাঁতী গ্রামের সালাউদ্দিন ওরফে সম্রাট (৩৮), একই উপজেলার শিবনাথপুর গ্রামের রুবেল শেখ (৩৪) ও নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার ইয়াসিন আরাফাত (৪২)।

গ্রেফতারকৃতদের বরাত দিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম আরও জানান, তারা দুটি ট্রাকে করে মহাসড়কে ঘুরে বেড়ায়। দলে সদস্য থাকে ১২ থেকে ১৫ জন। তাদের একেকটি ট্রাকই যেন ঘরবাড়ি। একবারে ৮-১০ দিনের জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় তারা। তারপরে চলতে থাকে বিভিন্ন জেলায় রাস্তার আশপাশের বাজার, দোকানে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি।

ডাকাতি করার আগে তারা দিনে ওই এলাকায় নজরদারি করে আর রাতের বেলায় ডাকাতি করে থাকে। আবার তাদের সেই ডাকাতি করার মালামাল কেনার মহাজনও আছে জেলায়-জেলায়। তাই ডাকাতরা তাদের কুকর্ম নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে পারে।

ডাকাতদলের এ সকল সদস্যদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি, ছিনতাইসহ একাধিক মামলা রয়েছে। শনিবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।



Source link

IT Amadersomaj