মনোনয়নপ্রাপ্ত ২৯৮ প্রার্থীকে দলীয় প্রার্থিতার চিঠি দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আর জাতীয় পার্টি ২৮৭ আসনে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। এর আগে সরকারের সঙ্গে থাকা ১৪ দলের শরিক জাসদ (ইনু) ১৮১ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। গতকাল ১২৩ আসনে প্রার্থীর নাম প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন। নতুন নিবন্ধন পাওয়া তৃণমূল বিএনপি, বিএনএমসহ আরো কয়েকটি দলও মনোনয়ন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রয়াত এইচ এম এরশাদের জাতীয় পার্টি (জাপা), রাশেদ খান মেননের বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, হাসানুল হক ইনুর বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিকল্পধারা, সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারীর তরীকত ফেডারেশন এবং আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (জেপি) ৩৩টি আসনে জিতেছিল।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনাসংক্রান্ত কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ বলেন, ‘সব হিসাব মেলাতে এখনো সময় লাগবে। সময়মতো আমরা সবার সঙ্গে বসব। কথা বলব। শরিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গেও আলোচনা করব।’
গতকাল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমরা দেখছি কারা কারা (নির্বাচনে অংশ নিতে) চাইছে। আমাদের কৌশলগত সিদ্ধান্ত আছে, ১৭ তারিখ (ডিসেম্বর) পর্যন্ত সময় আছে। এর ভেতরে আমরা পরিবর্তন, সংশোধন করতে পারব।’
ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ‘৩০০ আসনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী থাকবে। তবে সমঝোতা হলে জোটের শরিকদের কিছু আসন ছেড়ে দেওয়া হবে। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত আমরা পর্যবেক্ষণ করব, সমন্বয় করব। যেখানে যা প্রয়োজন তা করব।’