আমতলীতে কলেজ শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ 

লেখক: Amadersomaj
প্রকাশ: ১২ মাস আগে


আমতলী (বরগুনা) সংবাদদাতা: শালিসী বৈঠকে অংশ নেয়ায় একাধিক মাদক মামলার আসামী মাদকসেবী রিয়াজ মুন্সি আমতলী ইউনুস আলী খাঁন ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক আব্দুস সালামকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেছে। ঘটনা ঘটেছে আমতলী শহরের জেলা পরিষদ ডাকবাংলোর সামনে শুক্রবার সকালে।

জানা গেছে, গত দের মাস পুর্বে রিয়াজ মুন্সি ও ফারুক হাওলাদারের মধ্যে জমি-জমা বিরোধে শালিস বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে আমতলী উপজেলার ইউনুস আলী খাঁন ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক আব্দুস সালামকে শালিস মানা হয়। চিহিৃত মাদকসেবী রিয়াজ মুন্সি ওই শালিস বৈঠকে শিক্ষক ছালামকে যেতে নিষেধ করে। কিন্তু শিক্ষক আব্দুস সালাম ফারুক হাওলাদারের মানিত শালিস হওয়ায় তিনি ওই বৈঠকে অংশ নেয়। এতে ক্ষিপ্ত রিয়াজ মুন্সি। এ ঘটনার জের ধরে শুক্রবার সকালে কলেজ শিক্ষক আব্দুস সালাম শহর থেকে ওয়াবদা এলাকার বাসায় ফিরছিল। পথিমধ্যে আমতলী শহরের জেলা পরিষদ ডাকবাংলোর সামনে শিক্ষক আব্দুস সালামকে একা পেয়ে মাদকসেবী রিয়াজ মুন্সি তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, রিয়াজ মুন্সি কলেজ শিক্ষক আব্দুল সালামকে বেধরক মারধর করেছে।

আমতলী ইউনুস আলী খাঁন ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক আব্দুস সালাম বলেন, চিহিৃত মাদকসেবী রিয়াজ মুন্সি ও ফারুক হাওলাদারের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধে আমাকে ফারুক হাওলাদার শালিস মানেন। কিন্তু ওই শালিস বৈঠকে আমাকে উপস্থিত হতে নিষেধ করে রিয়াজ মুন্সি। আমি তার কথা না শুনে ওই শালিস বৈঠকে উপস্থিত হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারধর করেছে। আমি এ ঘটনার শাস্তি দাবী করছি।

রিয়াজ মুন্সি মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন কলেজ শিক্ষক আব্দুস সালাম আমার আত্মীয় হয়। জমিজমার বিষয় নিয়ে তার সাথে আমার কথা কাটাকাটি হয়েছে।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মেহেরিন আশ্রাফ বলেন, আহত শিক্ষককে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তার মুখমন্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহৃ রয়েছে।

আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

IT Amadersomaj