ঈদগাঁওতে গ্রাম পুলিশ কর্মচারী ইউনিয়ন জেলা শাখার অভিষেক অনুষ্ঠান 

লেখক: Amadersomaj
প্রকাশ: ১ বছর আগে


এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও: বাংলাদেশ গ্রাম পুলিশ বাহিনী কর্মচারী ইউনিয়ন কক্সবাজার জেলা শাখার নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক ও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

৯ সেপ্টেম্বর শনিবার ঈদগাঁও পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে নবনির্বাচিত কমিটিকে শপথ বাক্য পাঠ করান ঈদগাহ রশিদ আহমদ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ জসীম উদ্দীন। সংগঠনের নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি, ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার নূর মোহাম্মদের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ছৈয়দ আলম, ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুরুল আলম, ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জের প্রতিনিধি এসআই মোঃ জুয়েল সরকার, ঈদগাহ জাহানারা ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও অত্র সংগঠনের উপদেষ্টা গিয়াস উদ্দিন, ঈদগাঁও প্রেস ক্লাব সভাপতি ও অত্র সংগঠনের উপদেষ্টা মোঃ রেজাউল করিম, কক্সবাজার জেলা পোল্ট্রি শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি আবু তৈয়ব চৌধুরী, কক্সবাজার সদরের পিএমখালী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার জামাল উদ্দিন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, গ্রাম পুলিশ সদস্যরা সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে তাদের ভূমিকা অপরিসীম। তৃণমূল পর্যায়ে তারা সরকারের সহযোগী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তবে দিনরাত পরিশ্রম করেও তারা যথাযথ সম্মান ও সম্মানীটুকু পান না। ১৯৭৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক তাদের চাকরিটা জাতীয়করণের পরিপত্র জারি করা হলেও এখনো পর্যন্ত তা কার্যকরে কেউ এগিয়ে আসেননি। অথচ পরিবার পরিজন নিয়ে খেয়ে না খেয়ে তারা তৃণমূল পর্যায়ে সরকারের মহতি উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন। নানা বঞ্চনা এবং লাঞ্ছনার মধ্যেও সমাজ ও সমাজের মানুষকে শান্তি এবং নিরাপদে রাখতে তাদের ভূমিকা অব্যাহত রয়েছে। আলোচকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দেশ ডিজিটালি অনেক এগোলেও গ্রাম পুলিশের কোন উন্নতি হয়নি। তাদের নেই কোন অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তা। তাই তাদেরকে সরকারি চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর মতো বেতন দিতে হবে বলে জানান তারা। এতে জেলার ৮ উপজেলা থেকে শতাধিক গ্রামপুলিশ সদস্য অংশ নেন। এদের মধ্যে ৩১ সদস্যের কমিটির ৩০জন উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা দেশের অর্ধ লক্ষাধিক গ্রাম পুলিশ সদস্য দের চাকুরি জাতীয়করণ, মহামান্য আদালতে চলমান জাতীয়করণের আইনি প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেয়া, তাদেরকে জাতীয় বেতন স্কেলের ১৯ ও ২০ তম গ্রেড প্রদান করা, দফাদার- মহল্লাদারদের চাকুরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করা সহ যৌক্তিক সকল দাবি-দাওয়ার প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেন।

IT Amadersomaj