১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংস্করণ:
এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও (কক্সবাজার)॥ কক্সবাজারের নবসৃষ্ট ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর খাঁন বীচ নামে নতুন বিনোদন স্পর্টে রুপলাভ করে ভ্রমন পিপাসুদের মাঝে। সড়কের দুপাশ জুড়েই পানির শব্দ। ইউনিয়নের খাঁনঘোনা জাপানি সড়কের স্কুল পয়েন্টটি মনোমুগ্ধকর দৃশ্যও বটে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভ্রমণ পিপাসুদের সারাক্ষণ আনাগোনা। একটু স্বস্তি নিতে মৃদু হাওয়া শান্তির পরশ পেতে ছুটে যান ঐ সড়কের তীরে।
বিশেষ করে, পড়ন্ত বিকেলে লোকারণ্য হয়ে যায় সড়কের দু’পাশ, সেটি স্থায়ী থাকে সন্ধ্যার আগ মুহুর্ত পর্যন্ত। বিশুদ্ধ বাতাসও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে ছুটে আসেন অসংখ্য ভ্রমনপিপাসু নরনারীরা। তাদের কেউ সড়কের তীরে বসে আড্ডা দেন, কেউবা প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করেন,কেউ বেড়ানোর জন্য ঘেরের নৌকায় উঠে, আর কেউ মনের মানুষকে সাথে নিয়েই বৈকালিক সময়টা পার করে। উপজেলার নানান স্থান থেকে ছুটে আসা ভ্রমন পিপাসু লোকজনের উপস্থিতি যেন লক্ষ্যনীয়।
খাঁন বীচ ঘুরে দেখা যায়, সড়কের দুই পাশের দৃষ্টিনন্দন চিংড়ি ঘেরের ছোট ছোট ঢেউ আর ডিঙ্গি নৌকা। মনোরম পরিবেশ ও ভাল লাগার জায়গা। বিকেলের পরপর সন্ধ্যার আগমুর্হুতে লোকজনে ভরপুর। নেই নিদিষ্ট বসার স্থান। ঘেরের তীরই বসার একমাত্র জায়গা। সড়ক দিয়ে হেঁটে অপরূপ সৌন্দর্য্য অবলোকন করে ভ্রমনপিপাসুরা। শীতল বাতাস ও পানির কলকাকলী শব্দে দর্শনার্থীদের প্রাণ জুড়ানোর দৃশ্য চোখে পড়ে।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় প্রতিদিনই লোকজনের আসা যাওয়া ইসলামপুরের বিনোদনের নতুন স্পর্ট খাঁন বীচে। বিশেষ ছুটির দিনগুলোতে থাকে উপচেপড়া ভিড়।
বেড়াতে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানান, বৈকালিক সময়ে বিনোদনের মজার স্পর্ট খাঁন বীচ। এখানকার বিশুদ্ধ বাতাস আর কোথাও নেই। তাই মাঝে মধ্যে ঘুরতে আসা। স্থানটি দৃষ্টিনন্দন। বেড়াতে আসা তরুন তরুনীর সংখ্যা কিন্তু কম নয়। বসার সু-ব্যবস্থার দাবী। গ্রাম্য বীচের মনোরম দৃশ্য আর বাতাস ,চিংড়ি ঘেরের নৌকাসহ পানির কলকাকলীর শব্দ যেন ভুলার নয়। একবার নয়,বারবার ছুটে যেতেই মন চাই। বাদাম খাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে বন্ধু বান্ধবদের আড্ডা যেন স্মৃতি হয়ে ভেসে বেড়ায়।
