ক্যামেরার প্রকারভেদ চলুন জেনে নেই।

লেখক: Amadersomaj
প্রকাশ: ৯ মাস আগে


আসসালামু আলাইকুম।

আশা করি সকলে অনেক ভাল আছেন।

আজ আমি আপনাদের মাঝে ক্যামেরার প্রকাভেদ নিয়ে আলোচনা করব। চলুন বেশি কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।

ক্যামেরার প্রকারভেদ:

ফটোগ্রাফিক পুরাতন ক্যামেরাগুলো দুই প্রকার যথা:

১. টিএলআর

২. এসএলআর

টিএলআর ক্যামেরা কি?

পূর্নরুপ হলো টুইন ল্যান্স রিফ্লেক্ট ক্যামেরা। শুরুর দিকের কমপ্যাক্ট ক্যামেরাগুলোতে এই টিএলআর ব্যাবহৃত হতো। এতে দুটি ল্যান্স থাকতো।একটি ল্যান্স দিয়ে ফটোগ্রাফার সাবজেক্ট কে দেখতেন। আর অন্যটি ব্যাবহৃত হতো এক্সপোজার হিসেবে।

তবে, এক্ষেত্রে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, যেমন ফটোগ্রাফার ভুলবসত নিচের এক্সপোজারের ক্যাপ বা ঢাকনা না খুললে এক্ষেত্রে কোনো ছবি উঠে না। এই সমস্যার সমাধানেই পরবর্তীতে আসে এসএলআর ক্যামেরা।

এসএলআর ক্যামেরা কি?

এর পূর্নরুপ হলো সিঙ্গেল ল্যান্স রিফ্লেক্স ক্যামেরা। এই ক্যামেরাটিতে একটি ল্যান্সের মাধ্যমেই সাবজেক্ট ফোকাস এবং ছবি তোলার কাজ দুটিই হয়ে থাকে।

এবার আসা যাক ডিজিটাল ক্যামেরার দিকে।

ডিজিটাল ক্যামেরায় এসএলআর এর বৈশিষ্ট্য থাকে যেগুলোয় সেগুলো ডিএসএলআর। অর্থ ডিজিটাল সিঙ্গেল ল্যান্স রিফ্লেক্স ক্যামেরা।

ডিএসএলআর আবার দুই প্রকার

১. কমপ্যাক্ট

২. ইন্টার চেন্জঅ্যাবল

কমপ্যাক্ট ক্যামেরাতে ল্যান্স এডজাস্ট করা যায় না ।আর ইন্টার চেন্জঅ্যাবল ক্যামেরাতে বিভিন্ন মাপের ল্যান্স ব্যাবহার করা যায়।

ক্যামেরা এর উপকারিদিক বনাম অপকারী দিক:

আশা করছি উপরের সম্পূর্ন লেখা পড়ার পর, উপকারি দিকের আর কোনো কিছু বলার থাকে না। সবকথার এক কথা, ছবি তোলা চাই! সে যাই হোক। উৎসব হোক বা উৎসব না হোক। ছবি প্রায় প্রতিদিনই তোলা হয়। কেউ প্রকৃতির ছবি তোলে, কেউ পছন্দ করে রাস্তার ধারের জীবন জীবিকা গল্প তুলে ধরতে।

এবার আসি অপকারী দিক। এছাড়া আমরা চাইলেই কিন্তু এই একটা মোবাইলের ক্যামেরা দিয়েই কিন্তু ধারন করতে পারি সমাজের নানান অসঙ্গতিমূলক কর্মকাণ্ড এবং তুলে ধরতে পারি আমাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

ক্যামেরার শক্তি এতটাই যার মাধ্যমে কিন্তু অনেক বড় বড় কর্ম সিদ্ধি করা যায়। অসহায় দুস্থ মানুষের সাহায্য এর জন্য দরকার বড় ফান্ড । কোথা থেকে আসবে এত টাকা! এর সমাধান ও কিন্তু ক্যামেরার কাছে। ক্যামেরার মাধ্যমে বন্দি করুন দৃশ্য এবং তুলে ধরুন জনসমাজের কাছে।

এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে প্রত্যেকটা জিনিস এর ভালো খারাপ দিক থাকে। ক্যামেরাও তার বাইরে নয়। বর্তমানে হিডেন ক্যামেরা বা গোপন ক্যামেরা এর মাধ্যমে সহজেই কিছু অসাধুচক্র মানুষের ব্যাক্তিগত বিষয় অবগত হয়ে ব্ল্যাকমেইল করছে। এছাড়াও ক্যামেরার ব্যাটারি পরিবেশের ক্ষতি করে থাকে। এছাড়া এর আরো নানারকম অপকারী দিক আছে।

আপনার একটি ছবি হাজারো শব্দের প্রকাশ ঘটায়। তাই তো বিশ্ব জুড়ে এই যন্ত্রটির উন্নয়নে কাজ করছে শত শত প্রতিষ্ঠান। মোবাইল কোম্পানিগুলো প্রতিযোগিতামূলক প্রয়োগ ঘাটাচ্ছে শুধুমাত্র ক্যামেরা এর উপর।

কারন? এর উত্তর একটাই, আমরা ভালোবাসি ছবি তুলতে, মুহূর্তকে ধরে রাখতে। মুহূর্ত টা তো ধরে রাখতে পারিনা, শুধু ছবি রাখতে পারি। তাই এত আয়োজন। সেই দুইশত বছর আগের ক্যামেরায় বিষয়টি কিন্তু থেমে নেই। এর উন্নয়ন চলছেই, কে জানে! আগামী কয়েক বছরে ভবিষ্যতের ক্যামেরাটি হবে আরো অনেক বিস্ময়কর। আমরা সেই অপেক্ষায় রইলাম।

 

সকলের জন্য শুভকামনা জানিয়ে আজকের মত এখানেই শেষ করছি।সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, নিজের যত্ন নিবেন।
আল্লাহ হাফেজ।



IT Amadersomaj