ঝিকরগাছায় মিস্টির দোকান বন্ধ করতে ইটের পাহাড় 

লেখক: Amadersomaj
প্রকাশ: ১ বছর আগে


শাহাবুদ্দিন মোড়ল, ঝিকরগাছা : যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার ১নং গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়ের ছুটিপুর জামতলা মোড়ের শ্যামলী মুসলিম হোটেল নামের একটি মিস্টির দোকান বন্ধ করতে দোকানের সামনে ইটের পাহাড় দাড় করিয়ে রেখেছে জমির কথিত মালিক পক্ষ। জমির মালিক দোকান থেকে দোকানীকে উচ্ছেদ করতেই এই অনৈতিক কাজ করেছে বলে দোকান মালিকের অভিযোগ তুলেছে।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, বিগত প্রায় ২৫/৩০ বছর পূর্ব হতে গুলবাগপুর গ্রামের মৃত আওয়াল হোসেনের ছেলে বিল্লাল হোসেন নামের এক ব্যক্তি ছুটিপুর গ্রামের মৃত আরাতন মন্ডলের ছেলে আইয়ুব হোসেন ও কোহিনুর হোসেনের নিকট থেকে মৌখিক ভাবে বেশ কিছুটা জমি ভাড়া নিয়ে নিজ খরচে স্থাপনা নির্মাণ করে শ্যামলী মুসলিম হোটেল চালু করেন। গত কয়েকমাস ধরে জমির মালিকেরা বিল্লাল হোসেনকে জায়গা খালি করে দিতে বিভিন্ন ভাবে চাপ দিতে থাকে। এটা নিয়ে স্থানীয় বাজার কমিটির মধ্যস্থতায় কয়েকবার সালিশও হয়েছে। সর্বশেষ শনিবার সারাদিন দোকানদারী করে রাতে হোটেল বন্ধ করে বাড়ি চলে যাওয়ার পর আয়ুব-কোহিনুর গং রাতের আঁধারে হোটেলের সামনে ইটের গাদা দিয়ে প্রবেশ পথের সবটা বন্ধ করে দিয়েছে। তবে উক্ত জমির মালিক যশোর জেলা প্রশাসকের ১/১নং খতিয়ানের অন্তভূক্ত বলে জানা গেছে।

হোটেল মালিক বিল্লাল হোসেন বলেন, প্রায় ২৫/৩০ বছর আমি এই স্থানে দোকানদারী করে আসছি। আমার দোকানের মধ্যে দুধ, ছানা, দই, কয়েক মন মিষ্টি সহ মিষ্টি তৈরির কাচামাল রয়েছে। তারা আমার সাথে যে কাজ করছে তাতে করে আমাকে তারা পথের ভিখারি করার চেষ্টা করছে। জমির মালিক কোহিনূর হোসেন বলেন, তাকে অনেক আগে ঘর ছেড়ে দিতে বলা হলেও ছাড়েনি। অবশেষে বাজার কমিটির সবার সাথে কথা বলে হোটেল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

ছুটিপুর বাজার কমিটির সভাপতি হায়দার আলী বলেন, গত বৃহস্পতিবার আমরা বিষয়টি নিয়ে বসেছিলাম। বিল্লালকে ৩০ জৈষ্ঠ্য পর্যন্ত সময় দেওয়া ছিলো। দোকানের সামনে ইট রাখার বিষয়টি শুনেছি। আমি জমির মালিককে অনুরোধ করবো আরও কিছুদিন সময় দেওয়ার জন্য।

গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান ঝন্টু বলেন, জমির মালিককে আমরা সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে আরও ৬ মাসের সময় দিতে অনুরোধ জানিয়েছিলাম কিন্তু তারা আমাদের অনুরোধ রাখেনি।

গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (নায়েব) মোঃ আবুল খায়ের বলেন, আমরা জমির মালিকদের কে একটা চিঠি দিয়ে ছিলাম। কিন্তু আমাদের আদের্শের বিপক্ষে তারা আপিল করেছেন।

IT Amadersomaj