টার্গেট নির্বাচন : বিরোধীদের ইন্ধনে সীমান্ত দিয়ে রিপনের অস্ত্র ও গোলাবারুদের পাহাড় মজুদ

লেখক: Amadersomaj
প্রকাশ: ১ বছর আগে


নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্বাচনকে সামনে রেখে সীমান্ত পথে আসছে অবৈধ অস্ত্র ও মাদক, এমনই ভয়ংকর তথ্য হাতে আসছে বাংলাদেশ সকাল এর নিকট।

সরজমিনে প্রকাশ কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানাধীন টিক্কারচর সেতুর উত্তর পাড়ের গোলাবাড়ী রোড, বিবির বাজার ও কটক বাজার রোডে সক্রিয় এই ভয়ঙ্কর সিন্ডিকেট।

একাধিক সূত্রে প্রকাশ: আন্তর্জাতিক কারবারি নগরীর চর্থার আমজাদ হোসেন রিপন অস্ত্র ও গোলাবারুদ মজুদ করেছেন।

এলাকাবাসী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান, রিপনের সৌদি মোবাইলের দোকান আছে বলে সবাই জানেন। আসলে না সে মূলত ব্যবসার আড়ালে স্বর্ণের বার, ইয়াবা, হিরোইন, ওয়াইন, দামী অস্ত্র এর ব্যবসা করে আসছে দীর্ঘদিন যাবত। ইন্ডিয়া থেকে আনেন আন অফিসিয়াল মোবাইলও। সে প্রতি মাসে ১৫ দিন থাকেন বাংলাদেশে আর ১৫ দিন থাকেন সৌদি সহ বিভিন্ন দেশে।

স্থানীয় একাধিক সিনিয়র সাংবাদিক জানান, কুমিল্লা আদর্শ সদরের গোলাবাড়ী সীমান্ত রোডের গোমতী সেতুর উত্তরপাড় শালধর চেকপোষ্টে ২ সেপ্টেম্বর অনুমান রাত ৭টার সময় সিন্ডিকেটের ০৩ টি বিলাস বহুল গাড়ি বহরে এক যোগে আসার পথে তল্লাশি করে মাল সহ ধরে-দফারফা শেষে ছেড়ে দেয়। এ সময় ভিডিও করতেছেন সন্দেহে ৩ সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে, হামলায় এক সাংবাদিক আহত হন ও প্রচুর পরিমান রক্ত ক্ষরণ হয়।

অনুসন্ধান সূত্র ধরেই প্রকাশঃ জেলা সদরের বিবির বাজার, কটক বাজার, অরণ্যপুর, শশীধল,বাগড়া, গোলাবাড়ি, আশাবড়ি, শংকুচাইল, শুয়াগাজী, কনেশতলা, এক বালিয়া ও ১৪ গ্রাম পর্যন্ত রয়েছে ভয়ঙ্কর ওই সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে।

ব্যবসা ম্যানেজ করতে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের দামী গিফট দেন, তোলেন ছবি। যখন যে দল ক্ষমতায় আসে ব্যবসার স্বার্থে সে দলকে করেন ম্যানেজ।

অনেকেই বলছেন, সে ঢাকার আলোচিত নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাট এর মতো নিজেকে প্রকাশ করতে চাচ্ছেন। অনলাইন ফেসবুকে এমপি ও বিভিন্ন  রাজনৈতিক নেতাদের ছবি ব্যবহার করে নিজেকে সরকার দলীয় লোক বলে প্রকাশ করার চেষ্টাও চালান। সরকার দলীয় এমপি ও নেতাদের নাম ব্যবহার করেন উপকূল বাস চালক মাহে আলমের পুত্র আমজাদ হোসেন রিপন।

সূত্র দাবি করেছেন, বর্তমান সরকার দলীয় নেতাদের সাথে আছে সখ্যতা আবার বিরোধীদের সাথে যোগসাজশে রিপন চক্র দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে লিপ্ত।  আন্ডার গ্রাউন্ডের তালিকাভুক্ত নেতাদেরকে পরিবার সহ সৌদিতে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে যান,  ফ্রিতে হজ্ব পালন সহ সব কিছুই আমজাদ হোসেন রিপন বহন করেন। তাদেরকে আসার সময় আবার নিজের কিছু মালামাল দিয়ে দেশে পাঠিয়ে দেন,  দেন আর্থিক যোগান।

সূত্র নিশ্চিত করেন, সামনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমজাদ হোসেন রিপন চক্র অস্ত্র ও কালো টাকার যোগান দিয়ে যাচ্ছেন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে।

এদিকে কুমিল্লায় সীমান্ত চেকপোস্ট পরিদর্শন শেষে বিজিবি মহাপরিচালক একেএম নাজমুল হাসান বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে সীমান্ত পথে গোলাবারুদ ও অবৈধ অস্ত্র প্রবেশ ঠেকাতে এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা জোরদার করতে বিজিবির রয়েছে সর্বাত্মক প্রস্তুতি।

অনুসন্ধান সূত্র জানা যায়, ওয়ারেন্টের আসামী আমজাদ হোসেন রিপন সিন্ডিকেটের অবৈধ লেনদেন চলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা সীমান্তের চেক পোস্ট দিয়ে।

আমজাদ হোসেন রিপনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে, রয়েছে গ্রেফতার ওয়ারেন্ট। প্রকাশ্যেই চর্থার এক লোককে কুপিয়ে অঙ্গ করার রেকর্ড আছে রিপনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর তার বাবা তাকে সৌদিতে পাঠিয়ে দেন।  অত্যন্ত একটি হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান রিপন সৌদিতে গিয়ে কালো বাজারীর সাথে সখ্যতা গড়ে এখন ফুলেফেঁপে হয়েছেন কালো টাকার পাহাড়।

এতই ক্ষমতাধর যে কাউকে তোয়াক্কা পর্যন্ত করেন না, তার ভাষ্য মতে, এমপি তার কথায় উঠবস করেন আর প্রশাসন আমার কাছ থেকে মাসিক নেন আমার কথা মতো চলে। মহা ক্ষমতাধর কালা রিপন (৩৮) এর নামে কোতয়ালী মডেল থানায়  এফআইআর হয়, যাহার  নং৮৭,তারিখ ২৫সেপ্টেম্বর২০১২ইং ধারাঃ৩২৩/৩২৬/৩০৭/৩৭৯পেনাল কোড ১৮৬০। কোতয়ালী মডেল থানার এফআইআর নং১৯, তারিখ ০৮ফেব্রুয়ারী২০১৪ইং ধারা ৩৭৯/৩২৩/৫০৬ পেনাল কোড-১৮৬০। এছাড়াও আরও মামলা তার নামে নথিভুক্ত আছে যার অনুসন্ধান চলমান।



Source link

IT Amadersomaj