দেবহাটার পারুলিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

লেখক: Amadersomaj
প্রকাশ: ১ বছর আগে


দেবহাটা প্রতিনিধি॥ দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে বিদ্যালয়টির সাবেক সভ্পতি, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের প্রয়াত সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদের ছেলে রাজিব আহম্মেদ সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ দিলে জেলা প্রশাসক উক্ত নিয়োগ স্থগিত করেছেন।

সূত্র মতে, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের প্রয়াত সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদের অক্লান্ত পরিশ্রমে ১৯৯৫ ইং সালে প্রতিষ্ঠিত হয় পারুলিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। আমৃত্যু বিদ্যালয়টির সভাপতির দায়িত্ব পালন করে গেছেন প্রয়াত মুনসুর আহমেদ। তিনি মৃত্যুবরণ করার পরে বিদ্যালয়ে নতুন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন মোসলেহ উদ্দীন মুকুল। ম্যানেজিং কমিটিতে মোসলেহ উদ্দীন মুকুল সভাপতি পদ পাওয়ার পরপরই মেতে ওঠেন নিয়োগ বাণিজ্যে।

সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের প্রয়াত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদের ছেলে ব্যাংক কর্মকর্তা রাজীব আহমেদ কর্তৃক সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর প্রেরীত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ের ৫টি (পাঁচ) শূণ্য পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্নের জন্য বিদ্যালয়ের সভাপতি মোসলেহউদ্দীন মুকুল কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্যে নেমেছেন।

রাজীব আহমেদের অভিযোগ সূত্রে আরো জানা যায়, বিদ্যালয়ে সভাপতি পাঁচটি শূণ্য পদের বিপরীতে ৫জন প্রার্থীর কাছ থেকে গোপনে অর্থ লেনদেন করেছেন। সম্ভাব্য অর্থ লেনদেনকারী প্রার্থীগণ হচ্ছে প্রধান শিক্ষক পদে আহমেদ শরীফ ইকবাল, সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে শাহাবুদ্দীন, অফিস সহায়ক পদে সন্দীপ কুমার, নিরাপত্তা কর্মী পদে সভাপতির নিজের ভাইপো সোহাগ হোসেন ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে সভাপতির নিজের বউমা খাদিজা খাতুনকে নিয়োগ দানের লক্ষ্যে পাতানো নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার জন্য ০৪/০৪/২০২৩ ইং তারিখ নিয়োগ পরিক্ষার ধার্য্য দিন ছিলো।

কিন্তু রাজীব আহমেদ পাতানো নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধের ১৪/০২/২০২৩ইং তারিখ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৭/০৩/২০২৩ সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মৌখিকভাবে সভাপতির কাছে উক্ত নিয়োগ পরিক্ষা স্থগিত করার কথা জানান।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি মোসলেহউদ্দীন মুকুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি ০৪/০৪/২০২৩ইং তারিখে নিয়োগ পরিক্ষা স্থগিত হওয়ার বিষয়টি সঠিক বলে জানান।

বিদ্যালয়ের কয়েকজন অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির কয়েকজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত হলেও বিদ্যালয়ের সভাপতি নিয়োগ প্রক্রিয়া সচল করার লক্ষ্যে দৌড়ঝাপ অব্যাহত রেখেছেন। এছাড়া বর্তমানে তিনি স্কুলের অফিস সহকারী পদে নিজের ছেলে সাদিক হোসেনকেও নিয়োগ দানের চেষ্টা অব্যহত রেখেছেন।

বিদ্যালয়ের সভাপতি মোসলেহউদ্দীন মুকুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ে ১২বছর যাবৎ প্রধান শিক্ষকের পদ শূণ্য ছিলো। ২বছর যাবৎ অফিস সহকারী ছিলোনা এবং ৭/৮জন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য ছিল। এমতাবস্থায় বিদ্যালয়ের শতশত ছাত্রীদের পড়াশুনার সুবিধার জন্য তিনি (সভাপতি) বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সকল সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে সরকারি নিতিমালা অনুসরণ করে সুষ্ঠ নিয়োগ প্রক্রিয়া করেছিলাম।

সভাপতি বলেন, বিদ্যালয়টি বাচানোর জন্য ০৫টি শূণ্য পদে নিয়োগ দিয়েছি। এতে অনেকে মনে করতে পারে আমি টাকা নিচ্ছি। কিন্তু আমি কোন টাকা নিচ্ছিনা। টাকা নেওয়ার প্রমান কেউ দিতে পারবে না। এ ব্যাপারে শিক্ষক নিয়োগ পরিক্ষায় দূর্নীতি না করে যোগ্য মেধাবী শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বিদ্যালয়ের অভিভাবকবৃন্দরা।

IT Amadersomaj