ফকিরহাট মৎস্য অবতরণ উপকেন্দ্রে নারী শ্রমিকের সংখ্যা বাড়লেও বৈষম্য মজুরিতে

লেখক: Amadersomaj
প্রকাশ: ১২ মাস আগে


আমতলী (বরগুনা) সংবাদদাতা: বরগুনার তালতলী উপজেলার ফকিরহাট মৎস্য অবতরণ উপকেন্দ্র ঘাটে নারী শ্রমিকদের কদর বেড়েছে। নদীতে ইলিশ, রুপচাঁদা, পোয়া, ফ্যাহা, রামসোস, জাবা, ছুরি, ডাডি, ট্যাংরা, লটিয়া, সোনাপাতা, কাওইন ও চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতি মাছ ধরা পড়ছে জেলেদের জালে। এই মাছ বাছাই করার জন্য প্রয়োজন হয় নারী শ্রমিকের। এতে নারী শ্রমিকদের কদর বেড়েছে। সারা বছরই নারী শ্রমিকদের আনাগোনা থাকে এই ঘাটে।

জানা যায়, উপজেলার একমাত্র মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ফকিরহাট মৎস্যঘাট। ইতিমধ্যে ফকিরহাট মৎস্যঘাটে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) মৎস্য অবতরণ উপকেন্দ্র চালু হয়েছে। একটি ড্রামের ভেতর রুপচাঁদা, পোয়া, ফ্যাহা, রামসোস, জাবা, ছুরি, ডাডি, ট্যাংরা, লটিয়া, সোনাপাতা, কাওইন ও চিংড়িসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ থাকে। এসব মাছ বাজারজাত করার জন্য মাছগুলো আলাদা করতে হয়। প্রতি ড্রাম ২০০ টাকা চুক্তিতে নারী শ্রমিকদের দেওয়া হয়। দৈনিক ৫ থেকে ৬ জন নারী শ্রমিক ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টায় ২৩টি ড্রামের মাছ আলাদা করে বাজারজাত করার জন্য প্রস্তুত করতে পারেন। এ জন্য ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা মজুরি পেয়ে থাকেন তাঁরা। বর্তমান বাজারের সকল পন্য এর দাম বেশি হওয়াতে কিছুটা সমস্য হচ্ছে এই নারী শ্রমীকদের।

মজুরী নিয়ে নারী শ্রমিক আছিয়া বেগম বলেন, এত অভাবে থাকি তবুও কারও কাছে হাত পাতি না। ভোর রাতে এ মৎস্যঘাটে কাজ করতে আসছি। আমাদের ঘর আছে কিন্তু ঘরের চাল নেই। আমার পরিবারের রোজগারের একমাত্র উপায় এটাই। তাই আমি কাজ না করলে পেটে ভাত দেওয়ার লোক নেই। তবে মজুরী নিয়ে আপত্তি একটু থেকে যায় কারণ বর্তমান বাজারের যে অবস্থা তাতে ১২ থেকে ১৪ ঘন্টা কাজ করলে ৩০০ টাকায় কিছু হয় না। মজুরী একটু বেশি হলে ভালো হয়।

আরেক নারী শ্রমিক চান ভানু বলেন, এ ঘাটে কাজ করতে এলে অনেক সময় মানুষ নানা রকম বাজে কথা বলে। তখন খুব কষ্ট হয়। কিন্তু তখন নিজের মনকে বুঝ দিই যে, অসুস্থ স্বামী ও পরিবারের কথা চিন্তা করে এখানে কাজ করতে আসি।

আড়তৎদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান ফরাজী বলেন, এই ঘাটে সব সময়ই নারী শ্রমিকদের কদর বেশি থাকে। তবে শীত মৌসুমে নারী শ্রমিকদের একটু চাহিদা বেশি থাকে। সারা বছর নদী থেকে বিভিন্ন জাতের মাছ শিকার করা হয়। এগুলো দেশের অনেক স্থানে সরবরাহ করা হয়। এই মাছ বাছাই করার জন্য নারী শ্রমিক দরকার হয়।তবে বর্তমান বাজারের যে অবস্থা তাতে এই মজুরীতে হয় না তাদের। আমরা সকল ব্যবসায়ীরা মিলে খুব দ্রুত এবিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, মজুরীরর বিষয়ে ওখানের ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করে ঠিক করা হবে।

IT Amadersomaj