বর্ষা এলেই, তোমাকে খুব পড়ে মনে
বড্ড বেহায়া ছিলাম আমি-
তোমাকে জোর করে
বৃষ্টি ভেজা উঠোনে নিয়ে যেতাম;
বৃষ্টির পানি আর উঠোনের কাদামাটি
শরীরের কাপড় বড্ড লেপ্টে যেত!
এখানেই যুগল প্রেমের কাব্য শুরু।
তারপর দু’জন রমনার বটমূলে
সময় যতো যাচ্ছে-
প্রেম ততই গভীর হচ্ছে;
কলেজ ফাঁকি দিয়ে চুপটি করে দেখা
তোমাকে ছাড়া আমার,ভালো লাগে না একা
মনের অজান্তে শুরু হলো
তোমার শহরে আমার বসবাস;
বিশ্বাস ভেঙে তুমি করেছো আমার সর্বনাশ।
আবারও বর্ষা এলে-
বৃষ্টি ভেজা উঠুনে,তোমাকে খুঁজি
কাঁদা মাঠিতে লেপ্টে যাওয়া শরীরে-
এখনও তোমাকেই বুঝি!
তুমি কতো হৃদয়হীনা,বুঝেছো নিজের স্বার্থ
ভেঙে কমল হৃদয়,খুঁজেছো অর্থ।
অর্থ কি সকল অনর্থের মূল?
এ প্রশ্নের জবাব তুমি কি দিতে পারবে?
না,তোমার পক্ষে অন্তত এ জবাব সম্ভব না!
কারণ, অর্থের মোহে তুমি অন্ধ হয়ে গেছো।
এখনও বর্ষা এলে-
গাছে গাছে ফুটে কদম ফুল
এখনও বর্ষা এলে-
অজুর-ধারা ঝরে বৃষ্টি;
এখনও বর্ষা এলে-
বৃষ্টিতে ভেজে তোমার পদতলের উঠুন
এখনও বর্ষা এলে-
অজস্র ঝর্ণায় ঝরে চোখের জল;
এখনও বর্ষা এলে-
বেহায়া মনটা খুঁজে তোমায়।
এখনও বর্ষা এলে-
মনে প্রশ্ন জাগে,কি ক্ষতি করেছি তোমার?
এখনও বর্ষা এলে-
মনে প্রশ্ন জাগে,কোন মোহে হয়েছিলে আমার;
এখনও বর্ষা এলে-
কেঁপে কেঁপে কাঁদি রোজ
এখনও বর্ষা এলে-
বৃষ্টি স্নাত উঠুনে করি তোমার খুঁজ।
তুমি পালিয়ে গেছো,আমার জীবন থেকে
পালাতে পারবে কী তুমি পৃথিবী থেকে?
যেদিন পৃথিবী থেকে পালাবে-
সেই দিন আমায় করিও স্মরণ
আবারও তোমায় নিয়ে-
বর্ষার বৃষ্টিতে ভিজবো আমরা দু’জন
এক সাথে হোক দু’জনের মরন…!