শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের শ্রদ্ধা

লেখক: Amadersomaj
প্রকাশ: ১ বছর আগে


স্টাফ রিপোর্টার॥ জাতীয় শোক দিবসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি ও ১৫ আগষ্ট নিহত সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী জেলা শাখা।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সকালে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মোঃ আনাস মোল্লা এর নেতৃত্বে মোহনপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তারা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

এছাড়া মোহনপুর উপজেলা পরিষদের ভিতরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগ নেতা আনাসের পক্ষে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পন করেন জেলা ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী। এ সময় রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মোঃ আনাস মোল্লা বলেন:- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ তৎকালীন বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছাত্রাবস্থায় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ৫২’র ভাষা আন্দোলনে তিনি ছিলেন সংগ্রামী নেতা। শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির মুক্তি সনদ ৬ দফার প্রণেতা ছিলেন। সত্তরের নির্বাচনে অংশ নিয়ে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগকে এ দেশের গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীকে পরিণত করেন।

পাকিস্তানের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তুলে ষাটের দশক থেকে তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের অগ্রনায়কে পরিণত হন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার উত্তাল সমুদ্রে বঙ্গবন্ধু বজ কণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ এ ঘোষণায় উদ্দীপ্ত, উজ্জীবিত জাতি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ছিনিয়ে আনে দেশের স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর অমর কীর্তি এ স্বাধীন বাংলাদেশ।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির ইতিহাসের সবচেয়ে কালিমাময় দিন। রক্তঝরা এই দিনে জাতি হারিয়েছে তার গর্ব, ইতিহাসের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে সেদিন ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বরে নিজ বাসভবনে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তাঁর পরিবার-পরিজনকেও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হয়েছিল। তাই আমাদের আজকের দিনে শোক কে শক্তিতে পরিণত করে শপথ নিতে হবে, আমরা আগামীতেও বাংলাদেশ সরকার কাঠামোতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী কাউকে অধিষ্ঠিত হতে দেবনা।

IT Amadersomaj